ঘরে বসেই ইউরোপ-আমেরিকায় কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব: পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, “দেশের ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে ৭০ শতাংশ মানুষের বয়স ৩৫ বছরের নিচে। তাদের মধ্যে প্রতি বছর ২০ লাখ যুবক শিক্ষাজীবন শেষে কর্মজীবনে প্রবেশ করে। এতো যুবককে সরকারের পক্ষে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব না। তবে শিক্ষিত যুবকদের রাজধানীমুখী না হয়ে প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ নিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব। নিজ জেলা অথবা ঘরে বসেই প্রযুক্তিতে দক্ষ হয়ে ইউরোপ-আমেরিকার মতো বড় বড় দেশের মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব।”
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ৪টার দিকে জেলার ঘিওরে পঞ্চরাস্তার মোড়ে লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ফ্রিল্যান্সারদের মধ্য ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পলক এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমরা সারাজীবন বিদেশে গিয়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অর্থ উপার্জন করতে চাই না। আমরা চাই, আমাদের দেশকে প্রযুক্তিনির্ভর করতে। দেশে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ যুবক ফ্রিলান্সার কাজ করছে এবং বাৎসরিক ৭০০ মিলিয়ন ডলার আয় করছে। এখন তাদের আর বিদেশে যেতে হচ্ছে না কাজের জন্য। আমরা তাদের জন্য স্বল্পসুদে ঋণের ব্যবস্থা করছি। যেন প্রত্যেককে উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করা যায়।”
তিনি আরও বলেন, “২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকার ক্ষমতায় এসে কোনো উন্নয়ন না করে লুটপাট ও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। দুর্নীতিতে বিশ্বে ৫ বার চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাংলাদেশকে কলঙ্কিত করেছিল।”
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে মানিকগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয়, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ, ঘিওর উপজেলার চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান হাবিব, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হামিদুর রহমান, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নীনা রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এমএসপি