১১ দফায় ভাসানচর যাচ্ছে আরও ১৬৫৪ রোহিঙ্গা
কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরগুলো থেকে ১১ দফায় আরও ১ হাজার ৬৫৪ জন রোহিঙ্গা নোয়াখালীর ভাসানচরে যাচ্ছেন।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে ৩২টি বাসে করে তারা ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা হন।
এর আগে সকাল থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তার মাধ্যমে রোহিঙ্গারা উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে আসতে থাকেন। পরে ৩২টি বাস তাদের চট্টগ্রামের উদ্দেশে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাদের ভাসানচরে নেওয়া হবে।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছুদ্দৌজা জানান, এবার ১ হাজার ৬৫৪ জন রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাদের ভাসানচরে পৌঁছার কথা। আরও কিছু রোহিঙ্গা ভাসানচরে যাওয়ার জন্য রাজি হয়েছেন। তাদের পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
এ বিষয়ে ভাসানচরে অবস্থানরত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের প্রতিনিধি জহিরুল ইসলাম বলেন, “ভাসানচরের উদ্দেশে ১ হাজার ৬৫৪ জন রোহিঙ্গা উখিয়া থেকে যাত্রা করেছেন। আরও কিছু রোহিঙ্গা আসার কথা।”
“সব মিলিয়ে কতজন রোহিঙ্গা এবার এখানে আসছে, সেটি এখনই বলা মুশকিল। এখানে পৌঁছানোর পর তাদের নিজ নিজ সেন্টারে তুলে দেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।”
এর আগে গত ৩০ জানিয়ারি ১০ দফায় ৯১৯ জন রোহিঙ্গা কক্সবাজার থেকে নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচরে যান। বর্তমানে প্রায় ২০ হাজার রোহিঙ্গা ভাসানচরে বসবাস করছেন।
এ ছাড়া গত বছর মে মাসে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করা ৩০৬ রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে সেখানে নিয়ে রাখা হয়।
জানা গেছে, নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের জন্য সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। ভাসানচরের পুরো আবাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আছে নৌবাহিনী।
এমএসপি