অর্থ আত্মসাতের মামলা
বাগেরহাট পৌর মেয়রের জামিন নামঞ্জুর
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় বাগেরহাট পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খান হাবিবুর রহমান ও সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল করিমের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাগেরহাটের জেলা ও দায়রা স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. রবিউল ইসলাম শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালত থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমানসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে প্রায় আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে গত বছরের ২৫ নভেম্বর পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে দুদক। চাকরিতে লোক নিয়োগ এবং আবাহনী ক্রীড়া কমপ্লেক্স ও ডায়াবেটিস হাসপাতাল নির্মাণ না করে সেই টাকা আত্মসাতের দায়ে এ মামলা করা হয়। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সম্মিলিত খুলনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমান ও সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল করিম জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে তাদের ৩ সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
২০২০ সালে হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। পরে তাদের বিরুদ্ধে সরকারের অর্থ আত্মসাতের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের ২ নম্বর দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় দুটি মামলা করা হয়।
এদিকে জামিন নামঞ্জুর করায় জেলা আওয়ামী লীগের নেতাসহ কয়েক হাজার কর্মী আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে আদালত প্রাঙ্গণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সড়কে বেরিকেড থাকায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মেয়রকে জেলহাজতে নিতে পারেনি পুলিশ। বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক আদালতের সামনে থেকে মহাসড়কের বেরিকেড অপসারণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এসএন