আটপাড়ায় সরকারি দামে সার না পাওয়ায় বিপাকে কৃষক
নেত্রকোনার আটপাড়ায় বোরো মৌসুমের শুরু থেকে কৃষকদের জিম্মি করে অতিরিক্ত দামে সার বিক্রি করেছেন ডিলাররা। এতে কৃষকরা বিপাকে পড়েছেন। অভিযোগ রয়েছে- নির্ধারিত দামের বিষয়ে প্রতিবাদ করলে কৃষকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হচ্ছে।
আটপাড়ার বানিয়াজানের কৃষক মহিম মিয়া বলেছেন, “ডিজেলের দাম বেড়েছে। এতে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে। তারপরও বাড়তি দামে সার কেনায় ধানের উৎপাদনের খরচ আরও বেড়ে যাচ্ছে।”
কৃষক সুমন সরকার মনে করছেন কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবে ডিলাররা বেশি দামে বিক্রির সাহস পাচ্ছে। এ বিষয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন, “কোনোদিন কোনো উপজেলার অফিসার এ বিষয়ে কাউকে কিছু বলতে শুনি নাই। আমরা কী করে বাঁচবো? মৌখিকভাবে অনেক অফিসে গিয়ে অফিসারদের সারের বাড়তি দাম নিয়ে কথা বলছি। কোনো কাজ হয়নি।”
উপজেলার বানিয়াজান গ্রামের কৃষক রাসেল খানও দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, “সারের দাম এবার অনেক বেশি। বাংলা ডিএপি সার কিনতে হয়েছে ১৮০ টাকা দরে। প্রতি কেজির দাম পড়েছে ৩৬ টাকা। এভাবে চলতে থাকলে ধান চাষ করে লোকসান গুনতে হবে। আমরা সার কিনতে গিয়ে ঋণ করছি। অনেকেই সুদের ওপর টাকা ধার নিচ্ছে মহাজনদের কাছ থেকে।”
তবে আটপাড়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আশিকুর রহমান জানান ভিন্ন কথা।
তিনি বলেন, “সারের দাম বেশি নেওয়ার সুযোগ নেই। আমাদের মনিটরিং কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। তারপরও যদি কেউ বেশি দামে সার বিক্রি করার লিখিত অভিযোগ করেন, তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকার নির্ধারিত মূল্য প্রতি কেজি টিএসপি ২২ টাকা, ডিএপি ১৬ টাকা, পটাশ ১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়ার কথা।“
এ বিষয়ে আটপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহফুজা সুলতানা বলেন, “সারের দামের বিষয়ে আমাদের সজাগ দৃষ্টি আছে। উপজেলা কৃষি অফিসের সমন্বয়ে মনিটরিং টিমের মাধ্যমে তদারকি কার্যক্রম অব্যাহত আছে। কোনো অভিযোগ পেলে দায়ি ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
এমএসপি