বরগুনায় ‘সুন্দরবন দিবস’ পালিত
১৪ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবন দিবস। দিবসের প্রতিপাদ্য 'বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে সুন্দরবনকে ভালোবাসুন'।
২০০১ সাল থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবনের আশপাশের পাঁচ জেলার মানুষ সুন্দরবন সুরক্ষার আহ্বানে 'সুন্দরবন দিবস' পালন করে আসছে।
তারই ধারাবাহিকতায় বরগুনায় আজ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়েছে। সুন্দরবন দিবসে পালিত হওয়া কর্মসূচির মধ্যে ছিল- বাইসাইকেল র্যালি, মানব শোভাযাত্রা, মানববন্ধন, সভা ও সমাবেশ।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) তালতলী শাখার উদ্যোগে সুন্দরবন দিবস উপলক্ষে 'সুন্দরবন বাঁচলে, বাংলাদেশ বাঁচবে' শ্লোগানে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কমপ্লেক্স বরগুনা থেকে সকাল সাড়ে ১০টায় সাইকেল র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
সাইকেল র্যালিতে বরগুনা সাইকেলিং কমিউনিটির সদস্যরা ছাড়াও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও পরিবেশ কর্মীরা অংশগ্রহণ করে।
র্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে গোলবুনিয়া-সহ উপকূলীয় পথ ধরে দুপুরে তালতলীর শুভসন্ধ্যায় গিয়ে শেষ হয়।
ছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে বিকালে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) তালতলী শাখা।
সুন্দরবন দিবসের কর্মসূচিগুলোয় পরিবেশকর্মী, উন্নয়কর্মী, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশ নেন।
বরগুনা সাইক্লিং কমিউনিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সহসভাপতি এহসান আহমাদ নোমান বলেন, ‘সুন্দরবনকে বাংলাদেশের ফুসফুস বলা হয়। সুন্দরবনের সুরক্ষায় জাতীয়ভাবে ‘সুন্দরবন দিবস’ পালনে সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।’
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) তালতলী শাখার সমন্বয়ক আরিফুর রহমান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতবিক্ষত হয়েও উপকূলীয় বাসিন্দাদের সুরক্ষা দিচ্ছে। তবে সুন্দরবন এখন নিজেই ভালো নেই। পরিবেশ দূষণসহ ম্যানগ্রোভ এ বনের জীববৈচিত্র্য এখন হুমকির মুখে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পানির উচ্চতা বৃদ্ধিসহ চোরা-শিকারী ও কাঠ পাচারকারীদের কারণে সুন্দরবন এখন অস্তিত্ব সঙ্কটে। সুন্দরবন সুরক্ষায় ও জাতীয়ভাবে ‘সুন্দরবন দিবস’ পালনে সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।’
এমএসপি