বসন্ত-ভালোবাসা, পাঁচ গুণ দামেও গোলাপ বিক্রির ধুম
ঘুরতে ঘুরতে এল ফাল্গুন। একই দিনে উদযাপন করা হবে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। ভ্যালেন্টাইন্স ডে ও ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন মানেই প্রিয়জনকে ফুল উপহার দেয়া ও নানা ফুলে বাসন্তের রঙে সাজা। ফুলের দোকানগুলোতে তাই এখন ক্রেতাদের ঢল। আর এ সুযোগে ফুল বিক্রেতারাও বাড়িয়ে দিয়েছেন সব ধরনের ফুলের দাম।
বরগুনার একমাত্র খুচরা ও পাইকারি ফুল বিক্রির বাজার হিসেবে পরিচিতি স্থান পৌর শহরের নাথ পট্টি এলাকা। বসন্ত ও ভ্যালেন্টাইন্স ডে উপলক্ষে এখানকার ফুলের দোকানগুলো সেজেছে গোলাপসহ নানা ফুলে। সড়কের পাশে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায়ও ছোট পরিসরে নানা ফুলের পসরা সাজিয়ে বসেছেন সৌখিন ও অস্থায়ী ব্যবসায়ীরাও। তবে সচারাচর দামের চেয়ে বেশি দামে ফুল বিক্রির অভিযোগ ক্রেতা সাধারণের। ক্রেতারা বলছেন, ১০ টাকার গোলাপ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম পাঁচ গুণ বেশি হলেও মানুষ গোলাপ কিনছেন প্রিয়জনের জন্য।
অপরদিকে বিক্রেতারা বলছেন, বসন্ত আর ভালোবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে ফুলের পাইকারি দাম বেড়ে গেছে। তাই বেশি দামে গোলাপ বিক্রি করতে হচ্ছে।
রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ও শনিবার রাতে সরেজমিনে বরগুনার ফুলের দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায়, গোলাপ বিভিন্ন ভাগে ও দামে ভাগ করে সাজিয়েছেন বিক্রেতারা। সাধারণত একটি গোলাপের দাম ১০ টাকা হলেও বর্তমানে সর্বনিম্ন দামই চাওয়া হচ্ছে ৫০ টাকা। আর নেটে পেচানো চাইনিজ গোলাপ সাইজ অনুযায়ী বিক্রি করা হচ্ছে ৩০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত।
ক্রেতা তারিকুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ করে ১০ টাকার গোলাপ ৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। শুধু মাত্র দিবসটি ভালোবাসার হওয়ায় মানুষ ফুল কিনতে তাই কৃপণতা করছেন না।
গোলাপ কিনতে আসা বরগুনা মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী লিমা আক্তার বলেন, রাতারাতি ফুলের দাম কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। তাই শিক্ষার্থীদের অনেকেই পছন্দের ফুল কিনতে পারছি না।
আরেক ক্রেতা বরগুনা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী আরিফ হোসেন বলেন, ভেবেছিলাম গোলাপ দিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ প্রিয় মানুষদের শুভেচ্ছা জানাবো। কিন্তু দাম বেশি থাকার কারনে চাহিদা মতো গোলাপ কিনতে পারছি না।
স্বপ্নের ঠিকানা পুস্প ঘর দোকানের মালিক অজয় কুন্ডু বলেন, একদিকে করোনা অন্যদিকে অসময়ের বৃষ্টিতে ফুল চাষিদের অবস্থা খারাপ। আবার বসন্ত ও ভ্যালেন্টাইন্স ডে উপলক্ষেও চাহিদা অনুযায়ী ফুলের পাইকারি দাম বেড়ে গেছে। আগে যে ফুলের দাম ছিলো ১০ টাকা তা এখন ২৫ টাকায় পৌঁছেছে। চাইনিজ গোলাপের পাইকারি দামও এখন ২০টাকা থেকে বেড়ে ৪০ টাকায় পৌঁছেছে। তাই টিকে থাকতে আমাদেরও বেশি দামে কিনে বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।
কেএফ/