এইচএসসি’র ফল
দিনাজপুরে পাসের হার ৯২ দশমিক ৪৩ শতাংশ
এবার এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৯২ দশমিক ৪৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ হাজার ৩৪৯ জন। ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীরা জিপিএ-৫ এর দিক দিয়ে এগিয়ে আছে।
এবারে বিজ্ঞান বিভাগের পাসের হার ৮৮ দশমিক ২৬ শতাংশ, মানবিক বিভাগে পাসের হার ৯৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পাসের হার ৮২ দশমিক শূন্য শতাংশ।
রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কামরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় এ বোর্ডের অধীনে রংপুর বিভাগের আট জেলার ৬৬৭টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। ২০৩টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় বসে এক লাখ ১৫ হাজার ৯৮৬ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে এক লাখ চার হাজার ৪৮৪ জন পাস করেছে। এবারে বোর্ডের অধীনে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ হাজার ৩৪৯ জন। এর মধ্যে ছাত্র সাত হাজার ২৩২ জন এবং ছাত্রীর সংখ্যা আট হাজার ১১৭ জন। বোর্ডের অধীনে ৫৩টি প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে। তবে দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো ছাত্র পাস করতে পারেনি। প্রতিষ্ঠান দুটি হচ্ছে- রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলার বরাইবাড়ী কলেজ ও ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার পীরগঞ্জ কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
রংপুর জেলায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ছয় হাজার ৭৫ জন, দিনাজপুর জেলায় দুই হাজার ৮৪৮ জন, নীলফামারীতে এক হাজার ৭০০ জন, গাইবান্ধায় এক হাজার ৬৭২ জন, কুড়িগ্রামে এক হাজার ৬২ জন, লালমনিরহাটে ৬৪৯ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ৯৪৩ জন এবং পঞ্চগড়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪০০ জন।
দিনাজপুর বোর্ডের অধীনে পাসের হারে প্রথম অবস্থানে রয়েছে রংপুর জেলা। পাসের হার ৯৪ দশমিক ৮৫ শতাংশ। আর সর্বশেষে অবস্থানে রয়েছে পঞ্চগড় জেলা। পাসের হার ৮৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এ ছাড়া ৯৪ দশমিক ৫৮ পাসের হার অর্জন করে দ্বিতীয় অবস্থানে লালমনিরহাট জেলা, ৯৩ দশমিক ২৩ শতাংশ পাসের হারে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে নীলফামারী জেলা, ৯২ দশমিক ৫১ শতাংশ পাসের হারে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে দিনাজপুর জেলা, ৯১ দশমিক ৬৫ শতাংশ পাসের হার নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে কুড়িগ্রাম, ৯০ দশমিক ৪৮ শতাংশ পাসের হারে ষষ্ঠ অবস্থানে গাইবান্ধা এবং ৯০ দশমিক ৪৬ শতাংশ পাসের হার নিয়ে সপ্তম অবস্থানে রয়েছে ঠাকুরগাঁও জেলা।
দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর তোফাজ্জুর রহমান বলেন, প্রকাশিত ফলাফলে কোনও ভুল ত্রুটি পরিলক্ষিত হলে আগামী ৩০ দিনের মধ্যেই লিখিতভাবে জানাতে হবে। আবদেন প্রাপ্তির পর সেই বিষয়ে সংশোধনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এমএসপি