শিক্ষার্থীদের হাত খরচের টাকায় পথশিশুদের নিয়ে পিঠা উৎসব
পঞ্জিকা অনুযায়ী শীত বিদায়ের ঘণ্টা বেজে গেছে। দুয়ারে কড়া নাড়ছে ফাল্গুন। তবে প্রকৃতিতে এখনো রয়েছে শীতের আমেজ। এমন সময়েই টাঙ্গাইলে ব্যতীক্রমী পিঠা উৎসব করেছে তরুণদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘দশমিক’। এ উৎসবের অতিথি ছিল পথশিশুরা।
শীতকালে ঘরে পিঠা-পায়েসের উৎসব হলেও সমাজের ছিন্নমূল ও পথশিশুরা বঞ্চিত হয় এসব আয়োজন থেকে। খাওয়াও হয় না শীতের পিঠা। টাকার অভাবে যেতেও পারেন না কোনো পিঠা উৎসবে। এসব কথা চিন্তা করেই এমন মহৎ আয়োজন দশমিকের। এ সংগঠনের তরুণ শিক্ষার্থীরা তাদের হাত খরচের টাকায় পিঠা উৎসবের আয়োজন করেন তারা।
শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপী পৌর টাঙ্গাইল শহরের কাগমারী কলেজ মাঠে বস্তি এলাকার ও পথশিশুদের নিয়ে পিঠা উৎসবের আয়োজন করে সংগঠনটি। এতে পথশিশুরা আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠে।
পিঠা উৎসবে ছিল- চিতোই, ভাপা, পাটিসাপটা, পুলি, নকশি, তেলের পিঠাসহ আরও কয়েক ধরনের আঞ্চলিক পিঠা।
পিঠা উৎসবে অংশ নেয়- হিউম্যান রাইটস্ রিভিউ সোসাইটি টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি রাশেদ খান মেনন, মানুষের ক্যলাণে মানুষ ফাউন্ডেশনের সভাপতি পারুল মাহাবুব খান, দশমিক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মিনারুল ইসলাম প্রমুখ।
এ ছাড়াও সংগঠনের সহসভাপতি আশিকুর রহমান, মহাসচিব আমেনা আক্তার তিলোত্তমা, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রাপ্ত সাহা, কোষাধ্যক্ষ নিলয় সাহা, চিকিৎসা বিষয়ক সম্পাদক ত্রিজান চৌহান, জয় সাহাসহ অন্য সদস্যরা উসবে ছিলেন।
আয়োজকরা জানান, দশমিক ফাউন্ডেশনের অতিথি ভোজনের অংশ হচ্ছে এ পিঠা উৎসব। ছিন্নমূল শিশুরাই আমাদের বিশেষ অতিথি। সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা এসব পিঠা থেকে হয়তো বঞ্চিত থাকে। তাই দশমিক পাঠশালায় যেমন শিশুদের বিনামূল্যে শিক্ষাদানে সময় দেওয়া হয়, ঠিক তেমনি শিশুদের জন্য বিভিন্ন আয়োজন করা হয়। আমরা ভিন্ন স্বাদে শীতের বিভিন্ন মুখোরোচক পিঠার আয়োজন করেছি তাদের জন্যে। আগামীতে আরও বড় পরিসরে এ ধরনের আয়োজন করা হবে।
এসএন