টাঙ্গাইলে বালুরঘাট দখলে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আটক ১০
টাঙ্গাইলের কালিহাতীর ধলেশ্বরী ও পুংলী নদী খনন প্রকল্পের কাজের অবৈধ বালুঘাট দখলে রাখতে ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে দুই গ্রুপের ১০ জনকে আটক করেছে কালিহাতী থানা পুলিশ।
শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার গোহালিয়াবাড়ি ইউনিয়নের জোকারচর গ্রামে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদ-নুরুল ইসলাম মেম্বার ও অপর আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক মেম্বার সুলতান গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরে হেলমেট পরে সুলতান গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মাসুদ-নুরুল ইসলামের বালুরঘাটে অতর্কিত হামলা চালায়। পরে মাসুদ গ্রুপের লোকজনও পাল্টা হামলা চালায়। এসময় দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ চলে।
সংঘর্ষের এক পর্যায়ে সাবেক মেম্বার সুলতান ও তার ভাইয়ের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় মাসুদ গ্রুপের লোকজন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে পুলিশ দুই গ্রুপের ১০ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে সাবেক মেম্বার সুলতান বলেন, 'জোকারচর এলাকার মাসুদ সরকার ও নুরুল ইসলাম মেম্বারের লোকজন আমার ও আমার ভাইয়ের বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর করে। এ সময় আমার ঘরের ভিতরে থাকা আলমারি ভেঙে নগদ ১৫ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। আমি সরকারের কাছে এর বিচার চাই।'
অপরদিকে, মাসুদ সরকার অভিযোগ করে বলেন, 'বালুর ঘাটে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সুলতান মেম্বারের লোকজন আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। পরে আমরা তাদের বাধা দিলে সংঘর্ষ হয়। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়। আর নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটের ঘটনা একটি সাজানো নাটক।'
এ ঘটনায় কালিহাতীর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোল্লা আজিজুর রহমান বলেন, উপজেলার গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়নের
জোকারচর এলাকায় বালুরঘাট দখলকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় দুই গ্রুপের ১০ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
টিটি/