সেন্টমার্টিনে অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অর্ধশতাধিক অবৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত দ্বীপের জেটিঘাটসহ সৈকতের পাড়ে গড়ে উঠা অর্ধশতাধিকের বেশি অবৈধ দোকান ও ফিশারি উচ্ছেদ করা হয়।
এ ছাড়া সৈকতে ময়লা আবর্জনা ফেলার দায়ে পাঁচটি দোকান মালিককে জরিমানা করা হয়েছে।
এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাসিম আহমেদ ও টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী প্রমুখ।
একইদিন পরিবেশ অধিদপ্তরের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাঈদা পারভীনের নেতৃত্বে আরেকটি দল সেন্টমার্টিন দ্বীপের সরকারি নির্দেশনা অমান্য করায় বেশ কিছু দোকান মালিককে জরিমানা করেছে।
সম্প্রতি প্রবাল দ্বীপটি রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ১৩টি সম্ভাব্য সুপারিশ বাস্তবায়নে নির্দেশের পর এখানে তৎপরতা দেখা যায় সংশ্লিষ্ট অধীনস্থ সংস্থার।
এ বিষয়ে টেকনাফের ইউএনও পারভেজ চৌধুরী বলেন, সৈকতের পাড়ে ও বাজারে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দোকান, ফিশারিসহ ৫০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। তবে উচ্ছেদ হওয়া লোকজনকে অন্য কোনো জায়গায় পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি সরকারের প্রবাল দ্বীপের মহা-পরিকল্পনা বাস্তবায়নে উচ্ছেদসহ এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
সেন্টমার্টিনে এর আগেও অবশ্য অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালানো হয়েছিল। কিন্তু পরে আবারও এ ধরনের স্থাপনা গড়ে উঠে বলে অভিযোগ করেন পরিবেশবাদীরা।
টিটি/