গ্রাম পুলিশের ওপর হামলা, ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বরগুনার তালতলীতে গ্রাম পুলিশ হারুন খানকে কুপিয়ে-পিটিয়ে জখম ও হাত ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় তালতলী থানায় ১৮ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাখাওয়াত হোসেন তপু।
এর আগে বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে পুলিশকে গরু চুরির তথ্য দেওয়ার সন্দেহে গ্রাম পুলিশ হারুন খান (৩৮) ও তার ভাতিজা রুবেল খানকে (২৫) পিটিয়ে ও কুপিয়ে হাত ভেঙে দেয় একদল মানুষ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের জাকিরতবক গ্রামের বাচ্চু মৃধা, মাসুম মৃধা ও কবির মৃধাসহ ১৮ থেকে ২০ জনের একটি দলের গরু চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে ওই এলাকার গ্রাম পুলিশ হারুন খান থানা পুলিশকে তথ্য দেওয়ার বিষয়ে সন্দেহ করেন অভিযুক্তরা।
বুধবার বিকালে ওই অভিযুক্তরা হারুনেকে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তার বাম হাত ভেঙে দেয়। খবর পেয়ে তার ভাতিজা রুবেল খান চাচাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাকেও কুপিয়ে জখম করে এবং পিটিয়ে ডান হাত ভেঙে দেয়।
পরে স্থানীয়রা হারুন ও রুবেলকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তবে অবস্থার অবনতি হলে ওই রাতেই তাদের বরিশাল শেরে-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক চন্দ্রিমা মন্ডল জানান, গ্রাম পুলিশ ও তার ভাতিজার হাতে, পিঠে আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাদের অবস্থা খরাপ হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল প্রেরণ করা হয়েছে।
আহত গ্রাম পুলিশ হারুন খান মুঠোফোনে বলেন, 'বাচ্চু মৃধা, কবির মৃধা ও মাসুম মৃধাসহ ১৮ থেকে ২০ জন দীর্ঘদিন ধরে গরু চুরি ও মাদকের সাথে জড়িত। কে বা কারা পুলিশকে এ তথ্য দিয়েছে সে জন্য আমাকে সন্দেহ করে মারধর করে হাত ভেঙে দিয়েছে। আমাকে বাঁচাতে আসায় আমার ভাতিজা রুবেলকেও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে হাত ভেঙে দিয়েছে। আমি এ ঘটনার জড়িত সকলের বিচার চাই।'
তবে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত বাচ্চু মৃধা ও অন্যান্য অভিযুক্তরাও হামলার কথা অস্বীকার করেন এবং তারা মাদক কারবার ও গরু চুরির সঙ্গে জড়িত না বলেও দাবি করেন।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, আহত গ্রাম পুলিশ হারুন খানের বড় ভাই হানিফ খান বাদি হয়ে ১৮ জনের বিরুদ্ধে তালতলী থানায় একটি মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
টিটি/