টাঙ্গাইলে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলা: সাবেক মেয়রের জামিন
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও আলোচিত মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি শর্ত সাপেক্ষে অন্তবর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে প্রথম অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ মাসুদ পারভেজ জামিন মঞ্জুর করেন। জমিনের বিষয়টি অতিরিক্ত পিপি মনিরুল ইসলাম গণমাধ্যমকর্মীদের নিশ্চিত করেছেন।
মনিরুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ছিল। ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেওয়া চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিউলী রাণী দাসের সাক্ষ্য গ্রহণ ছিল।
কিন্তু সাক্ষি আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় আসামি পক্ষের আইনজীবীরা সুচিকিৎসার দাবিতে আসামির জামিন আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি মনিরুল ইসলাম এবং বাদী পক্ষের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম জামিনের বিরোধিতা করেন।
পরে বিচারক শর্ত সাপেক্ষে মুক্তিকে অন্তবর্তীকালীন জামিন দেন। জামিন মঞ্জুরের সময় মুক্তি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এ মামলার পরবর্তী তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি।
মুক্তি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার ভাই এবং একই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খানের ছেলে।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ তার কলেজপাড়ার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার হয়।
এ ঘটনার তিন দিন পর ফারুকের স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে টাঙ্গাইল সদর থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলায় তৎকালীন সাংসদ আমানুর রহমান খান রানা, তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন এবং ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে।
এরপর অভিযুক্তরা আত্মগোপনে চলে যান। অভিযুক্ত মুক্তি দীর্ঘ ছয় বছর পলাতক থাকার পর ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
/এমএমপি