কক্সবাজারে মেহেদী হত্যায় পাঁচ বন্ধুর যাবজ্জীবন
কক্সবাজারে মেহেদী হত্যা মামলায় পাঁচ বন্ধুর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেকের পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন এ রায় দেন। অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোজাফফর আহমদ হেলালী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, অর্থদণ্ডের টাকা থেকে ১০ হাজার সরকারি কোষাগারে জমা হবে। বাকি টাকা ভিকটিমের মা রোজিনা আক্তারকে দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কক্সবাজার শহরের বাহারছড়ার বাসিন্দা ফরিদ আহামদের ছেলে মোহাম্মদ ফারুক প্রকাশ ওমর ফারুক, আবুল বশরের ছেলে শাহেদ, মধ্যম বাহারছড়ার তৈয়বুর রহমানের ছেলে সাগর, জহির আহমদের ছেলে মিঠু ও আমির হোসেনের ছেলে ওয়াসিম।
রায় ঘোষণার সময় মোহাম্মদ ফারুক ও শাহেদ উপস্থিত ছিলেন। অপর তিনজন পালাতক রয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বন্ধুদের সঙ্গে বাকবিতাণ্ডার জেরে ২০১০ সালের ২০ এপ্রিল রাত ১০টায় কক্সবাজার শহরের শহীদ মিনার রোডে (বন বিভাগের সামনে) হামলার শিকার হন মধ্য বাহারছড়া এলাকার বাসিন্দা ও আদালতের সাবেক পেশকার মৃত মোহাম্মদ সোলাইমানের ছেলে মেহেদি হাসান। পরে আহত অবস্থায় চমেক হাসপাতালে মারা যান তিনি।
অতিরিক্ত (পিপি-১) মোজাফফর আহমদ হেলালি বলেন, ছেলেকে হত্যার দায়ে ২০১০ সালের ২২ এপ্রিল ৫ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় মামলা করেন নিহতের বাবা। দীর্ঘ তদন্ত শেষে এজাহারভুক্ত আসামি হুমায়ুনকে বাদ দিয়ে মধ্যম বাহারছড়ার তৈয়বুর রহমানের ছেলে সাগরকে যুক্ত করে মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা। সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) তাদের যাবজ্জীবন সাজার রায় দেন আদালত।
আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন, মোহাম্মদ জাকারিয়া, তৌহিদুল আনোয়ার, আমির হোসেনসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী।
রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আইনজীবী মোহাম্মদ জাকারিয়া জানান, আমরা উচ্চ আদালতে যাবো।
টিএ/এমএসপি