প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই বগুড়ায় চলছে পোড়াদহ মেলা
করোনার বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে বগুড়ার গাবতলীতে শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মেলা। মেলার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন। এদিকে মেলা কর্তৃপক্ষ বলছে, ৪০০ বছরের ঐতিহ্য ধরে রাখতে তারা প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মেলা হচ্ছে।
গাবতলী উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের এ মেলা প্রায় ৪০০ বছর ধরে হয়ে আসছে। গ্রামীণ ঐতিহ্য ধরে রাখতে উপজেলার ইছামতি নদীর তীরে পোড়াদহ এলাকায় প্রতি বছর মাঘের শেষ বুধবার এ মেলার আয়োজন করা হয়। মেলার মূল আকর্ষণ বিশাল আকারের বাঘাইড় মাছ। তবে এবার মহাবিপন্ন এ বাঘাইড় মাছ কেনাবেচা নিষিদ্ধ হওয়ায় মেলায় উঠানো হয়নি।
মেলা ঘুরে দেখা গেছে, নারী, শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষ মেলায় এসেছেন। মেলায় আসা অধিকাংশ দর্শনার্থীকে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ কিনতে দেখা গেছে।
মেলায় আসা শেরআলী জানান, মেলা উপলক্ষে তার বাড়িতে ব্যাপক আয়োজন করা হয়েছে। তিনি ২৪ কেজি ওজনের দুটি মাছ কিনেছেন। ৫ কেজি মিষ্টি কিনেছেন। এক দিনের জন্য তিনি খরচ করেছেন ২০ হাজার টাকা।
আব্দুল্লাহ আল নোমান নামে আরেক দর্শনার্থী জানান, মেলার মূল আকর্ষণ বাঘাইড় মাছ। প্রতি বছর বিশাল আকারের বাঘাইড় মাছ উঠলেও এবার বাজারে নেই।
মাছ ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম জানান, তিনি দেড় লাখ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নিয়ে এসেছেন। প্রতি বছর তিনি বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নিয়ে আসেন। এবার তিনি ২৫ কেজি ওজনের মাছ নিয়ে এসেছেন। এর দাম প্রতি কেজি ১ হাজার ২০০ টাকা।
মিষ্টি ব্যবসায়ী মোরশেদ আলম জানান, তার কাছে মাছ আকৃতি, পাতা আকৃতিসহ বিভিন্ন আকৃতির সর্বোচ্চ ১২ কেজি ওজনের মিষ্টি রয়েছে। মাছ আকৃতির মিষ্টির ওজন ১২ কেজি। তার দাম ৫০০ টাকা। প্রতি বছর মেলায় তিনি মিষ্টি দোকান বসান। মেলার আগের দিন থেকে পরদিন পর্যন্ত মিষ্টি বিক্রি হয়। এখন পর্যন্ত তিনি ৪ লাখ টাকার মিষ্টি বিক্রি করেছেন।
গাবতলী উপজেলার মহিষাবান ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ মণ্ডল জানান, করোনার কারণে এবার মেলার অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। তবে এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনমতি দিতে। মেলা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই করা হচ্ছে।
এসএন