ঝিকরগাছায় খাস জমি ও রাস্তা দখল করে পাকা ঘর নির্মাণ
যশোরের ঝিকরগাছায় খাস জমি ও মসজিদে যাওয়ার রাস্তা দখল করে দোকান ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগ উপজেলার শংকরপুর কুলবাড়িয়া গ্রামের হোটেল ব্যবসায়ী আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে।
মসজিদ কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুস ছাত্তার স্বাক্ষরিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উল্লেখিত মসজিদের সামনে দিয়ে একটি রাস্তা ও সরকারি খাস জমি দীর্ঘদিন ধরে পুকুর অবস্থায় ছিল এবং সেটি লিজ নিয়ে মসজিদ ভোগদখল করছিল। মসজিদের মুসল্লিদের জানাজাসহ অন্যান্য ধর্মীয় সভা-সমাবেশ করতে এবং পুকুরের মধ্যে মসজিদ ভাঙনের হাত থেকে রক্ষার জন্য ওই জমি প্রায় ১০ লাখ টাকা খরচ করে মাটি ভরাট করা হয়।
আলাউদ্দীন তার নিজস্ব জমির সঙ্গে থাকা রাস্তা ও খাস জমি অবৈধভাবে দখল করে পাকা ঘর নির্মাণ করছেন। এরই মধ্যে ঘর নির্মাণের প্রায় অর্ধেক কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে।
বাঁকড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ দুই দফা ঘটনাস্থলে এসে কাজ বন্ধ করে চলে যাওয়ার পরদিন পুনরায় কাজ চালিয়ে যান আলাউদ্দীন।
তারপর ভূমি অফিস থেকে বলায় কয়েকদিন কাজ বন্ধ ছিল। সম্প্রতি ঝিকরগাছা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যাওয়ার পর আবার পুরোদমে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন আলাউদ্দীন।
লিখিত অভিযোগের এক সপ্তাহ পার হলেও কাজ বন্ধ হওয়া তো দূরের কথা, দোকান নির্মাণ অব্যাহত রেখেছেন আলাউদ্দীন। ফলে স্থানীয়দের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
অভিযোগ দেওয়ার পরও কিসের জোরে সরকারি রাস্তা ও খাস জমি দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ করছে আলাউদ্দীন, এমন আলোচনা এখন সবার মুখে মুখে।
তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা অর্থের বিনিময়ে ইন্ধন যোগাচ্ছেন।
অভিযুক্ত আলাউদ্দিন বলেন, ‘ক্রয় করা জমিতে বাড়ি নির্মাণ করছি। শংকরপুর গ্রামের সাবেক মেম্বার আহসানের কাছ থেকে ওই জমি আমি কিনেছি। সরকারি জমিতে ঘর নির্মাণের অভিযোগ ভিত্তিহীন।'
এ ব্যাপারে সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বাঁকড়া ভূমি অফিসের কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আলাউদ্দীন জানিয়েছেন, তার কেনা জমিতে নির্মাণ কাজ করছেন। মসজিদ কমিটির অভিযোগের প্রেক্ষিতে সবাইকে নিয়ে দুই-এক দিনের মধ্যে বসে সমগ্র বিষয়টির একটি তদন্ত প্রতিবেদন উপজেলা ভূমি কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবুর হক বলেন, ‘বিষয়টি জমি সংক্রান্ত। গত ৩০ জানুয়ারি এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর শংকরপুর ইউনিয়নের ফেরিঘাট জামে মসজিদের কমিটির পক্ষে একটি অভিযোগ করা হয়। অভিযোগটি সহকারী কমিশনার (ভূমি) দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এমএম/এমএসপি