আমরা কারো কাছে হাত পাতি না: পরিকল্পনামন্ত্রী
উন্নয়নের ঢেউয়ে শরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, দলমত নির্বিশেষে সবাই আসেন নেত্রীর সঙ্গে উন্নয়নে সামিল হই। আমি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে কাজ করি। আমাদের বাজেটের পুরো টাকা আমাদের। হ্যা আমরা ঋণ নেই। আমরা আইডিবি বিশ্ব ব্যাংক থেকে ঋণ নেই এবং সেই ঋণ সুদে-আসলে আমরা আবার পরিশোধ করে দেই।
তিনি আরো বলেন, আজকে পবিত্র দিন শুক্রবার এই দিনকে স্বাক্ষী রেখে বলছি। আমরা কারো কাছে হাত পাতি না। এখন সব নিজেদের টাকা। অনেকেই বলেছিল পদ্মা সেতু হবে না কিন্তু আর কিছু দিন পর এই সেতু দিয়ে গাড়ি চলবে। অনেকেই বলেছিল দেশ দেওলিয়া হয়ে যাবে। কিন্তু ঠিক তার উল্টো হয়েছে। আমাদের এখন অনেক রিজার্ভ রয়েছে।
শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে সুনামগঞ্জ শহরের মল্লিকপুরে জনতা চক্ষু হাসপাতালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
এম এ মান্নান বলেন, সব কিছুর মূল কারিগর হচ্ছে জনগণ, কৃষক মজুর। তারা মূল নায়ক আর সকল কিছুর প্রধান নেতা হলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সব কিছুর জন্য একটা নেতৃত্ব দরকার। সেই নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের নিশ্চয় মনে আছে কেউ দেখেছি কেউ আবার ইতিহাস পড়ে জেনেছি বঙ্গবন্ধু কিভাবে যুদ্ববিদ্ধস্ত দেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য কাজ করেছেন। এখন তারই মেয়ে দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের দ্রারিদ্র্যের কলঙ্ক, গরিবী কলঙ্ক, হাত পাতার কলঙ্ক, বিদেশি পঁচা গম খাওয়ার কলঙ্ক সব কিছু মুছে গেছে। দেশ সমৃদ্ব হচ্ছে শেখ হাসিনা নেতৃত্বে।
তিনি আরও বলেন, আমি এখানে আমার নেতা শেখ হাসিনার সার্টিফিকেট দেওয়ার জন্য এসব কথা বলছি না। বয়স্ক মানুষ হিসেবে বলছি। মন্ত্রী না থাকলে কিছু হবে না অনেক সম্মান পেয়েছি আপনাদের কাছ থেকে। আপনাদের দোয়ায় মন্ত্রীত্ব না থাকলেও খাওয়ার ব্যবস্থা আছে।
এম এ মান্নান বলেন, এখনও পানির সমস্যা রয়েছে। হয়তো বা দু-এক বেলা খাবার পায় অন্য বেলা পায় না সেটা খুব সামান্য লোক। সরকার কাজ করছে এসব সমস্যা নিরসনে। কিন্তু এখন গ্রামেগঞ্জে কমিউনিটি ক্লিনিক। বাড়ির পাশে স্কুল, সব কিছু রয়েছে। এগুলো গত বছরে সরকার করে দিয়েছে।
এ সময় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আপনাদের অনেক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে কিন্তু কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন। আমি গ্রামের মানুষ আমি আমার এলাকার খবর জানি- শহরে থাকেন অনেকই। এখান থেকে শান্তিগঞ্জ উপজেলা ৩০ মিনিটের দূরত্ব সহজেই যাওয়া যায়। দয়া করে আপনারা ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অফিস করবেন। এ জন্য আমাদের জনগণকেও সচেতন হতে হবে। যারা সরকারি বেতন ভোগ করেন কিন্তু কাজ করে না তাদের বিরুদ্বে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যারা বিদেশে শ্রমিকের কাজ করে তার হাড়ভাঙ্গা খাটুনি খাটে। বসিয়ে রেখে এরাবিয়ান বা বিদেশিরা টাকা দেয় কাজ করার পর। অমানবিক পরিশ্রম করে তাদের রোজগার করতে হয়। কিন্তু সরকারি লোকজন সেটা বুঝতে চান না। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কথা টাকা নেন কাজ করেন। এ জন্য মূলত সরকারি লোকদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, জেলা প্রশাসক মো.জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট, সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা.আহম্মদ হোসেন, জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম শামীম, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খাইরুল হুদা চপল প্রমুখ।
এমসি/এসআইএইচ