আগুনে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা, আদালতে স্বীকারোক্তি সাবেক স্বামীর
হত্যাচেষ্টার উদ্দেশ্যে সাবেক স্ত্রীর সাথী আক্তারের মুখে পেট্রল ছিটিয়ে তাতে দিয়াশলাইয় দিয়ে আগুন দিয়েছিলেন সাবেক স্বামী নাঈম। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে একথা জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) সাথী আক্তারকে আগুনে ঝলসে দেওয়ার পর থেকে পলাতক ছিলেন নাঈম। মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গার্মেন্টস কর্মী সাথী আক্তার মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া ফেরাজীপাড়ার নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। শুক্রবার মধ্য রাতে ভাঙা জানালা দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে সাথী আক্তারের শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেন নাঈম। গুরুতর আহতাবস্থায় দ্রুত সাথীকে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। বুধবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে নাঈম আগুনে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টার কথা স্বীকার করেছেন।
সাথী আক্তারের পরিবার জানায়, দুই বছর আগে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বেতিলা গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে নাঈমের সঙ্গে বিয়ে হয় সাথীর। তবে বিয়ের পর থেকেই যৌতুক চেয়ে অত্যাচার করে আসছিলেন নাঈম। নাঈম নেশাগ্রস্ত বলেও অভিযোগ তাদের। একারণে ছয় মাস আগে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। বিচ্ছেদের পর থেকেই নাঈম পুনরায় সংসার করার কথা জানাতে থাকে। সাথী তার সঙ্গে পুনরায় সংসার না করলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন তিনি। এরই জের ধরে নাঈম গত শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) মধ্যরাতে ঘরের ভাঙা জানালা দিয়ে সাথীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করে বলে পরিবার জানায়। আগুনে সাথীর হাত-মুখসহ শরীরের অনেকাংশ ঝলসে গেছে।
সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, আসামি নাঈমকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হলে বিজ্ঞ আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সে এখন জেল হাজতে রয়েছে। পেট্রল দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে সাথীকে হত্যাচেষ্টার কথা স্বীকার করে আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
কেএফ/