শেরপুরে ট্রলির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিহত ২
শেরপুরের শ্রীবরদীতে ট্রলির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৩জন।
মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার কলাকান্দা-দিয়ারচর এলাকার ব্রীজের নিচে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইসমাইল হোসেন (১৭) পূর্ব খড়িয়াকাজির চর এলাকার আবু তালেব ও সাইদুল ইসলাম (১৯) একই এলাকার সেলিম মিয়ার ছেলে। আহতরা হচ্ছেন- একই এলাকার ফরিদ মিয়ার ছেলে সাগর (১৭), আক্কাস আলীর ছেলে রাশেদুল (১৮), নূরে আলমের ছেলে আরিফ (২২), আমিজ উদ্দিনের ছেলে মামুন (১৭), শরাফত আলীর ছেলে লোকমান (১৭), আব্দুল কাদেরের ছেলে মুশফিকুর (১৭), বিল্লাল হোসেনের ছেলে স্বাধীন। আহতরা শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও শেরপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তারা সবাই শিক্ষার্থী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে তারা ১৫জন শ্রীবরদীর পূর্ব খড়িয়াকাজিরচর এলাকা থেকে পিকআপ দিয়ে পিকনিকের উদ্দেশে ঝিনাইগাতী উপজেলার গজনী অবকাশে যান। পিকনিক শেষে সন্ধ্যার দিকে গজনী অবকাশ থেকে ফিরে শ্রীবরদী বাজার আসেন। পরে বাজার থেকে একটি ট্রলি নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিলে রাত সাড়ে ১১টার দিকে কলাকান্দা-দিয়ারচর এলাকার ব্রীজের কাছে গেলে ট্রলি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে সবাই গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানেই ৪ জনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় শেরপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুইজন মারা যায়। ঘটনার পর ট্রলির চালক জুয়েল মিয়া কৌশলে পালিয়ে যায়।
শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. সৈয়দা তোহরা তুজ আলম বলেন, ট্রলির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ১৫জন আহত রোগী আসেন চিকিৎসা নিতে। পরে সেখান থেকে ৪ জনের অবস্থা গুরতর হওয়ায় সদর হাসপাতালে প্রেরণ করি। সেখানে চিকিৎসাধীন দুইজন মারা যায়। বাকিরা শ্রীবরদী ও সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবুল হাশেম বলেন, আমরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠিয়ে আহতদের উদ্ধার করে শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনি। সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুইজনের মৃত্যুর খবর পাই। আমরা ঘাতক ট্রলিকে জব্দ করি। কিন্তু চালক জুয়েল মিয়া কৌশলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় শ্রীবরদী থানায় পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। চালককে ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
টিটি/