ভূঞাপুরে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর লোকমান ফকির মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হাসান আলী সরকারের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে ক্ষুব্ধ প্রার্থীরা ঘুষের টাকা ফিরত চেয়ে কলেজে গিয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে।
মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে লোকমান ফকির মহিলা ডিগ্রি কলেজে অধ্যক্ষের অফিস কক্ষে এমন ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, লোকমান ফকির ডিগ্রি কলেজে সরকারি নিয়ম বর্হিভূতভাবে ২০১৮ সালে কম্পিউটার কাম অফিস সহকারী পদে ৭ লাখ, জীববিজ্ঞান প্রদর্শক পদে ১৫ লাখ এবং কম্পিউটার প্রদর্শক পদে ৬ লাখ টাকার বিনিয়মে নিয়োগ দেয় কলেজের অধ্যক্ষ হাসান আলী সরকার। তবে কলেজে কম্পিউার কাম অফিস সহকারী পদ খালি না থাকলেও অতিরিক্ত পদ দেখিয়ে টাকার বিনিময়ে কর্নেল নামের এক জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
এ ছাড়া জীববিজ্ঞান প্রদর্শকে কাউছিয়া নাসরিনকে ও কম্পিউটার প্রদর্শকে আরও একজনকে সরকারি নিয়ম বর্হিভূত কলেজ কর্তৃপক্ষ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেয়। এতে দীর্ঘদিনেও বেতন না হওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রার্থীরা অধ্যক্ষের কাছে ঘুষের টাকা ফেরত চেয়ে কলেজে যায়।
এ সময় ঘুষের টাকা ফেরত নেওয়াকে কেন্দ্র করে কলেজে অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি হয়। পরে নিয়োগ প্রার্থীরা অধ্যক্ষের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এ ছাড়া কলেজের ৭ জন শিক্ষকের পদোন্নতির জন্য ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে।
ভুয়া নিয়োগ পাওয়া ক্ষুব্ধ প্রার্থীরা জানান, অতিরিক্ত পদ বানিয়ে এবং নিয়মবর্হিভূতভাবে অধ্যক্ষ কলেজ থেকে তিনটি পদে নিয়োগ দেয় মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে। নিয়োগের তিন বছর অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত বেতন হয়নি।
পরে জানতে পারি নিয়োগগুলো অবৈধ ছিল। তাই নিয়োগ নিতে অধ্যক্ষকে দেয়া টাকা ফেরতের জন্য কলেজে গিয়েছিলাম। কিন্তু অধ্যক্ষ আবার বেতন হওয়ার আশ্বাস দিয়ে সময় চেয়েছেন।
লোকমান ফকির মহিলা ডিগ্রি কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল গোলাম রব্বানী রতন জানান, নিয়োগকৃতরা তাদের ঘুষের টাকা ফেরত নিতে কলেজে আসে। এ সময় অধ্যক্ষের সঙ্গে তার কক্ষে টাকা দেওয়া-নেওয়াকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হয়। এ সময় অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে লোকমান ফকির মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হাসান আলী সরকার বলেন, ‘নিয়োগকৃতদের কাছ থেকে নেওয়া টাকার বিষয়টি ভিত্তিহীন। একটি চক্র আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও লোকমান ফকির মহিলা ডিগ্রি কলেজ পরিচালন পর্ষদের সভাপতি মোছা. ইশরাত জাহান বলেন, নিয়োগে টাকা লেনদেনের বিষয়টি জানা নেই। তবে এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এফএস/এমএসপি