সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

টাঙ্গাইলে ২ হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্পে গ্রামাঞ্চলে আশার আলো

টাঙ্গাইলে ২ হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্পে গ্রাম অঞ্চলে আশা আলো

টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) দুই হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্প গ্রহণ করেছে।

এরমধ্যে ৮৬৫ কোটি টাকার প্রকল্প নীতিগতভাবে অনুমোদন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ১২টি উপজেলায় প্রায় ২০০ কোটি টাকার প্রকল্পের প্রাক্কলন তৈরি পূর্বক দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে উন্নয়ন কাজ শুরু করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে জেলার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে মাইলফলক রচিত হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টাঙ্গাইলের ৮টি সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্যদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে চাহিদা বিশ্লেষণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ‘গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প: টাঙ্গাইল’ নামে একটি মেগা প্রকল্প গ্রহণ করে। স্ব-স্ব স্থানীয় সংসদ সদস্যদের ডিও লেটারের (ডেসপাস লেটার) অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে ওই প্রকল্প নীতিগতভাবে অনুমোদন করা হয়। এতে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়।

কিন্তু পুরো প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থসংস্থান অপ্রতুল হওয়ায় প্রাথমিক পর্যায়ে ৮৬৫ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দিয়ে প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ করা হয়েছে। এলজিইডির প্রকৌশলী মোল্লা মিজানুর রহমান ওই প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। প্রকল্প পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এ পর্যন্ত প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২টি উপজেলায় প্রায় ২১০টি প্রকল্পের প্রাক্কলন তৈরি করে দরপত্র আহ্বানের জন্য টাঙ্গাইলের নির্বাহী প্রকৌশলীকে নির্দেশনা দিয়েছেন।

অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- গোপালপুর উপজেলায় ১২ কোটি ৫৭ লাখ ১৪ হাজার টাকা ব্যয়ে ১৬টি প্রকল্পের মাধ্যমে ১৩ দশমিক ৯৯ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক পাকাকরণ, নাগরপুরে ৩১ কোটি ১৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয়ে ১৯টি প্রকল্পের মাধ্যমে ৩৩ দশমিক ২২ কিলোমিটার, ঘাটাইলে ১৬ কোটি ৫৬ লাখ ৬৩ হাজার টাকা ব্যয়ে ২০টি প্রকল্পের মাধ্যমে ১৮ দশমিক ৪১ কিলোমিটার, ভূঞাপুরে ৭ কোটি ৭২ লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে ৯টি প্রকল্পের মাধ্যমে ৮ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার, টাঙ্গাইল সদরে ১৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৬টি প্রকল্পের মাধ্যমে ২১ দশমিক ৫০ কিলোমিটার, কালিহাতীতে ১৪ কোটি ৭৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ১৫টি প্রকল্পের মাধ্যমে ১৫ দশমিক ৮৫ কিলোমিটার, বাসাইলে ৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ৮টি প্রকল্পের মাধ্যমে ৬ দশমিক ৬০ কিলোমিটার।

এ ছাড়াও সখীপুরে ২১ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ২১টি প্রকল্পের মাধ্যমে ২২ দশমিক ৫৫ কিলোমিটার, মধুপুরে ২৮ কোটি ৯৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে ২২টি প্রকল্পের মাধ্যমে ৩২ দশমিক ২৩ কিলোমিটার, ধনবাড়ীতে ১৬ কোটি ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে ২১টি প্রকল্পের মাধ্যমে ১৭ দশমিক ৮২ কিলোমিটার এবং মির্জাপুর উপজেলায় ১৮ কোটি ৭৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ২৩টি প্রকল্পের মাধ্যমে ২০ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার কাঁচা গ্রামীণ সড়ক পাকাকরণ। এরমধ্যে দেলদুয়ার উপজেলায় ১০টি প্রকল্পের মধ্যে ইতোমধ্যে ৩টি প্রকল্পের অনুমোদন হয়েছে এবং বাকিগুলো অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

টাঙ্গাইল এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ‘গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প: টাঙ্গাইল’- এর বাস্তবায়নে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন। কিন্তু অর্থ অপ্রতুলতার কারণে প্রাথমিক পর্যায়ে ৮৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। এলজিইডি থেকে ইতিমধ্যে প্রায় ২০০ কোটি ব্যয়ে ২১০টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ অর্থবছরে অন্তত ৫০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।

তিনি জানান, জেলার সংসদ সদস্যদের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে এ মেগা প্রকল্পটি বাস্তবায়নে গ্রামীণ ছোট ছোট সড়কগুলো পৃথক পৃথক প্রকল্পের মাধ্যমে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে জেলার গ্রামীণ অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর হওয়ার মাধ্যমে স্থানীয় জনসাধারণের জীবনমানের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটবে।

টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম (ভিপি জোয়াহের) এমপি জানান, প্রধানমন্ত্রীর স্লোগান ‘গ্রাম হবে শহর’- এর আলোকে গ্রাম-গঞ্জের সকল রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কার্লভাট তথা অবকাঠামোগত উন্নয়নে এসব প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে গ্রাম ও শহরের মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকবে না।

এফএস/টিটি

Header Ad

বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না চিকিৎসকরা

ছবি: সংগৃহীত

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীনে কর্মরত চিকিৎসকরা সভা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় অংশ নিতে বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন না। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে তাদের এই নতুন নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।

রোববার (২৪ নভেম্বর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ আবদুল হাই স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ নীতিমালা প্রকাশ করা হয়।

এতে বলা হয়, পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীন দপ্তর কিংবা সংস্থায় কর্মরত চিকিৎসকদের বৈদেশিক অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে এই নীতিমালা অনুসরণ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থী বছরে (সর্বশেষ ১২ মাস) সর্বোচ্চ দুইবার বৈদেশিক সেমিনার, সভা, সিম্পোজিয়াম, প্রশিক্ষণ কিংবা কর্মশালা ইত্যাদিতে যেতে পারবেন। প্রার্থী যে বিষয়ে অভিজ্ঞ বা যে বিষয়ের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত (দায়িত্ব পালনরত), কেবল সেই বিষয়ে আমন্ত্রিত হতে পারবেন। প্রার্থী যে বিষয়ে অধ্যয়নরত সেই বিষয়ে আমন্ত্রিত হয়ে গমন করতে পারবেন।

আমন্ত্রণকারী সংস্থার নিজস্ব ডোমেইনভুক্ত ওয়েবমেইল থেকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ওয়েবমেইলে (secretary@hsd.gov.bd, cc: admin1@hsd.gov.bd) আমন্ত্রণপত্রের অনুলিপি বা কপি পাঠাতে হবে। আমন্ত্রণকারী সংস্থা যাবতীয় খরচ (ভিসা ফি, উভয় পথের বিমানভাড়া, আবাসন ব্যবস্থা বা খরচ ইত্যাদি) বহন করবেন বলে সংস্থা থেকে প্রত্যয়নপত্র প্রমাণক হিসেবে দাখিল করতে হবে।

এ ছাড়া বৈদেশিক প্রমাণস্বরূপ প্রোগ্রামে যোগদানের ও সমাপ্তি দিনের ছবি দাখিল করতে হবে। যথাযথ মাধ্যমে অগ্রায়নকৃত আবেদনে প্রতিষ্ঠান বা দপ্তর প্রধান ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুপারিশ থাকতে হবে। অগ্রায়নের আগে প্রতিষ্ঠান বা দপ্তর প্রধান প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্র ১ নম্বর থেকে থেকে ৯ নম্বর শর্ত যাচাই করে সঠিক পাওয়া গেলো (ভেরিফায়েড অ্যান্ড ফাউন্ড ওকে) লিখে প্রত্যয়ন করতে হবে। এ ছাড়া অন্যান্য বিষয়, যা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বিবেচ্য মনে করেন।

অফিস আদেশে আরও বলা হয়, উপরিউক্ত নির্দেশনাসমূহ আগামী ১ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ থেকে চিকিৎসকদের আমন্ত্রণের ভিত্তিতে বিদেশে সেমিনার, সভা, সিম্পোজিয়াম, প্রশিক্ষণ বা কর্মশালা ইত্যাদিতে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ আদেশ জারি করা হলো।

Header Ad

বুবলীকে টয়লেট দিবসের শুভেচ্ছা অপুর

ছবি: সংগৃহীত

শাকিব খানকে কেন্দ্র করে তাঁর দুই সাবেক স্ত্রী অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর দ্বন্দ্বটা নতুন কিছু নয়। ঢালিউড সিনেমার দুই নায়িকা অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর সম্পর্কটা কেমন, সেটা একেবারেই অজানা নয় ভক্তদের। বর্তমানে যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও বৈরিতায় রূপ নিয়েছে।

সবশেষ শবনম বুবলীর জন্মদিনকে কেন্দ্র করে এই দুই নায়িকার কোন্দলের চিত্র আরও একবার প্রকাশ্যে এসেছে। গত ২০ নভেম্বর ছিল বুবলীর জন্মদিন। দিনটিতে পরিবারের মানুষদের নিয়েই ঘরোয়া পরিবেশে কেক কেটেছেন তিনি। সেই মুহূর্ত তুলে ধরেছেন ফেসবুকে। যেখানে ভালোবাসা জানিয়েছেন ভক্তরা।

তবে বুবলীর জন্মদিনের তিনদিন পর রোববার (২৪ নভেম্বর) অপু বিশ্বাস ফেসবুক প্রোফাইলে লেখেন, ‘লেট পোস্ট। হ্যাপি টয়লেট ডে, ২০ নভেম্বর।’ সঙ্গে একটি অট্টোহাসির ইমোজি জুড়ে দেন তিনি।

সরাসরি কিছু না বললেও পরোক্ষভাবে বুবলীর জন্মদিন নিয়েই ঠাট্টা করেছেন এই নায়িকা। যেটা বুঝতে কষ্ট হয়নি ভক্তদের। কারণ ২০২২ সালেও বুবলীর জন্মদিনে খোঁচা দিয়েছিলেন অপু বিশ্বাস। ওই বছর বুবলী গণমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, জন্মদিন উপলক্ষ্যে শাকিব খানের কাছ থেকে ডায়মন্ডের নাকফুল উপহার পেয়েছেন তিনি।

সেই খবর ফেসবুকে শেয়ার করে অনেকগুলো হাসির ইমোজি দিয়ে অপু লিখেছিলেন, ‘কী যে মজা’! চুপ থাকেননি বুবলীও। দুজনে জড়িয়ে পড়েন ভার্চুয়াল যুদ্ধে। একজন অন্যজনকে নিয়ে নানা রকম কটু মন্তব্যও করেন।

সেই ঘটনার দুই বছর পর আবারও বুবলীর জন্মদিনে তাকে খোঁচা দিতে গেল অপু বিশ্বাসকে। যা মোটেও ভালোভাবে নেননি নায়িকার ভক্তরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সমালোচনার শিকার হচ্ছেন তিনি।

অপুকে উদ্দেশ্য করে কেউ লিখেছেন, বুবলীকে নিয়ে আপনার হিংসা কমছে না। কারো মন্তব্য, আপনাদের কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করুন। কেউ আবার অপুর মানসিকতার ধরণ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে গোপনে বিয়ে করেন শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস। এরপর ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর জন্ম নেয় তাদের প্রথম সন্তান আব্রাম খান জয়। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে অপু বিশ্বাসের সঙ্গে ডিভোর্সের পর একই বছরের ২০ জুলাই বুবলীকে বিয়ে করেন শাকিব খান। সেই সংসারে ২০২০ সালের ২১ মার্চ সন্তান শেহজাদ খান বীরের জন্ম হয়। এর কয়েক বছরের মাথায় তাদের বিচ্ছেদের খবর শোনা যায়।

Header Ad

কেজি দরে বিক্রি হওয়া ভাস্কর্যটি মুক্তিযোদ্ধার নয়, আওয়ামী লীগের অপপ্রচার

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীতে একটি ভাস্কর্য ভাঙারির দোকানে বিক্রি হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। তবে ভাস্কর্যটি মুক্তিযোদ্ধার নয়, বরং এটি পাক আর্মির আদলে হওয়ায় নিজেই এটি বিক্রি করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভাস্কর অধ্যাপক ড. আমিরুল মোমেনীন চৌধুরী ওরফে জোসি।

রোববার (২৪ নভেম্বর) গণমাধ্যমের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন তিনি।

তিনি অভিযোগ করেন, ‘ঘটনাটিকে বিকৃত করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। তবে এটিকে একটি মহল রাজনৈতিক ইস্যু বানানোর অপচেষ্টা করছে।’

তিনি বলেন, ভাস্কর্যটির ঠিকমতো রূপ দেওয়া যায়নি। তাই এটি কাজে লাগানোর সুযোগ নেই। তাই ওয়েস্টেজ (অপচয়) হিসেবে আমি বিক্রি করে দিয়েছিলাম। রোববার আবার ফেরত নিয়ে এসেছি।

কিন্তু এই প্রচারণাকে অসত্য ও রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি বলে দাবি করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাফিকস ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. আমিরুল মোমেনীন চৌধুরী। তিনি জানিয়েছেন, এক যুগ আগে নওগাঁর জেলা পরিষদের চাহিদার প্রেক্ষিতে ঠিকাদারের কথায় ভাস্কর্যটি নির্মাণ করেছিলেন। কিন্তু শর্ত না মেনে নির্মাণ করায় তারা এটি গ্রহণ করেনি। পরে তাদের রড-সিমেন্ট দিয়ে আরেকটি ভাস্কর্য নির্মাণ করে দেন। এরপর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারু অনুষদের পেছনে মেহেরচণ্ডী মধ্যপাড়ায় তার নিজের স্টুডিওতে রাখা ছিল এটি। নিজের জায়গাতেই এ স্টুডিওটি। এখানে নানা শিল্পকর্ম নির্মাণ করেন ড. আমিরুল মোমেনীন।

ড. আমিরুল মোমেনীন আরও বলেন, মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের ভাস্কর্যটিও কর্তৃপক্ষ পছন্দ করেনি। এ জন্য হস্তান্তর করা যায়নি। বেশ কয়েক বছর ধরে এখানে রাখা আছে। কিন্তু এখন স্টুডিওর এই জায়গাটি বিক্রির চেষ্টা করছি। তাই স্টুডিওর সব ওয়েস্টেজ বিক্রি করে দিচ্ছি। কয়েক দিন আগে কয়েকজন এসে বলল, মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্যটি কিনতে চায়। তাদের কাছে ভাঙারি লোহার মতো কেজি দরে নামে মাত্র টাকায় বিক্রি করেছিলাম। আমি তখন জানতাম না তারা ভাঙারির দোকানের জন্য কিনছে। পরে পত্র-পত্রিকায় দেখেছি এ ঘটনা। তারা আসল ঘটনা না জেনেই এগুলো লিখেছে। আমি কখনোই কাউকে বলিনি, বর্তমান পরিস্থিতিতে মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্য বিক্রি করা বা রাখা যাবে না। বর্তমান সরকার তো মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী নয়। আর কোথাও এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। কিন্তু একটি মহল অপপ্রচার চালিয়ে এ ঘটনাকে রাজনৈতিক ইস্যু বানানোর চেষ্টা করছে। আমি এটার প্রতিবাদ করছি।

উল্লেখ্য, গেল ৫ আগস্টের পর বর্তমান প্রেক্ষাপটে মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্যটি কোথাও বিক্রি করা সম্ভব নয়, তাই ভাঙারির দোকানে বিক্রি করে দিয়েছেন ভাস্কর ড. আমিরুল মোমেনীন চৌধুরী এমন সংবাদে গেল কয়েক দিন ধরেই গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এ ছবিটি পোস্ট করে কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে আওয়ামী লীগের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে। ছবিটি শেয়ার করে তীর্যক কবিতা লিখে নিজের ফেসবুকে শেয়ার করেছেন বিতর্কিত লেখক তসলিমা নাসরিনও।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না চিকিৎসকরা
বুবলীকে টয়লেট দিবসের শুভেচ্ছা অপুর
কেজি দরে বিক্রি হওয়া ভাস্কর্যটি মুক্তিযোদ্ধার নয়, আওয়ামী লীগের অপপ্রচার
ফলোঅন এড়িয়ে ১৮১ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ
অটোরিকশা চলাচলে আপিল করবে সরকার
পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ৩৫ ফিলিস্তিনি
ভারতে যৌন ব্যবসায় বাধ্য করা হচ্ছে বাংলাদেশি তরুণীদের
ব্রাজিলকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পেল আর্জেন্টিনা
আওয়ামী লীগের ২ সাবেক সংসদ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন
পলাশবাড়ীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ যুবক গ্রেফতার
আইপিএল মেগা নিলাম সর্বশেষ: কোন দলে কোন ক্রিকেটার?
রেকর্ড এডিট দাবি, দশ লাখ টাকার চেক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা
পাকিস্তানে শিয়া-সুন্নি সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮২
হত্যা মামলায় গ্রেফতার ডিসি মশিউর ও এডিসি জুয়েল বরখাস্ত
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে রেকর্ড মৃত্যু, শনাক্ত আরও ১০৭৯
আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার পান্ত
আরও এক মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান
সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার
আমাদের নিয়ত সহি, জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই: সিইসি