সোনাগাজীতে উপসর্গ থাকলেও করোনা পরীক্ষায় আগ্রহ নেই
ফেনীর সোনাগাজীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জ্বর, সর্দি, কাশি, হাঁচি, ডায়রিয়া, শরীর, মাথা ব্যাথাসহ নানা উপসর্গ নিয়ে রোগীর ভিড় বেড়েছে। গত এক সপ্তাহে করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন প্রায় দেড় হাজার মানুষ। তবে তাঁদের মধ্যে নমুনা দিয়েছেন মাত্র ৩১ জন। অর্থাৎ উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসা প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষই নমুনা দেননি। এমনটা চলতে থাকলে করোনা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ২০ জানুয়ারি থেকে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ৮ দিনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন প্রায় দুই হাজারের বেশি মানুষ। এর মধ্যে করোনার উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন দেড় হাজার মানুষ। কিন্তু নমুনা দিয়েছেন মাত্র ৩১ জন। নমুনা প্রদানকারী ওই ৩১ জনের মধ্যে ১৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ৪৬ শতাংশ।
সূত্র আরো জানায়, গত বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগ থেকে ২২০ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে জ্বর, সর্দি-কাশি, ডায়রিয়া, শরীর, মাথা ব্যাথাসহ উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন প্রায় ১৮০ জনের বেশি। নমুনা দিয়েছেন মাত্র ছয়জন। ওই দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, বহির্বিভাগে শত শত রোগীর ভিড়। তাঁদের অধিকাংশের মুখেই মাস্ক ছিল না।
আকলিমা আক্তার নামের এক নারী বলেন, গত শনিবার তিনি ঢাকায় যান। এরপর রবিবার থেকে তাঁর শরীরে জ্বর আসে। এখন তিনি জ্বর সর্দি-কাশি ও ডায়রিয়ায় ভুগছেন। বাড়িতে তাঁর তিন ছেলে-মেয়েরও একই অবস্থা। ঢাকা থেকে ফিরে বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। তবে করোনা শনাক্তের ভয়ে তিনি নমুনা দিতে চান না বলে জানান।
সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক মো. সাদেকুল করিম বলেন, করোনা নিয়ে প্রথম দিকে সবার মধ্যে যে সচেতনতা ছিল, এখন তা নেই। হাসপাতালে আসা ৭০ শতাংশ রোগী সর্দি-কাশিসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে ভুগলেও নমুনা পরীক্ষা করাচ্ছেন না।
সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা উৎপল দাশ বলেন, সচেতনতার অভাবে উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও অধিকাংশ মানুষ নমুনা দেওয়ার কথা বললে তাঁরা অনাগ্রহ দেখান। তড়িঘড়ি করে বাড়িতে ফিরে যান। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে।
এএএম/এসআইএইচ