সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

শীতে কাহিল লালমনিরহাটের ৬৩ চরের বাসিন্দারা

মাঘের শেষে এসে মৌসুমি বায়ু প্রবাহে কাঁপছে লালমনিরহাটের পাচঁ উপজেলাসহ তিস্তার চরের ৬৩ চরের মানুষ। গত তিনদিনের শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে এসব এলাকার মানুষজন। তাপমাত্রা ৬/৭ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করছে। অসহায় মানুষগুলো খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। গত শুক্রবার সারাদিন লালমনিরহাটে ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা এ মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

রোববার (৩০ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টায় লালমনিরহাট সূর্যের দেখা দিলেও কনকনে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। তবে জীবন-জীবিকার তাগিদে হাড়কাঁপানো শীতকে উপেক্ষা করে খুব সকালে কাজের সন্ধানে রাস্তায় বের হয়েছেন নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষগুলো।

কুড়িগ্রাম রাজারহাট উপজেলার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তাপমাত্রা রেকর্ড কিপার আনিছুর রহমান জানান, রোববার সকাল ৯টায় লালমনিরহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। সকাল ৬ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের অফিস সুত্রে জানান, গতশুক্রবার সকাল থেকেই লালমনিরহাটে শীতের তীব্রতা লক্ষ্য করা গেছে। সন্ধ্যায় তাপমাত্রা কমে ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে দাঁড়ায়। যা শুধু লালমনিরহাটে নয়, চলতি মৌসু্মে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ আবহাওয়া ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শীত মৌসুমের শেষ দিকে এসে লালমনিরহাটে জেঁকে বসেছে ঘন কুয়াশা ও তীব্র ঠান্ডা। এর পাশাপাশি বরফ-শীতল বাতাসের প্রবাহ বাড়িয়ে দিয়েছে শীতের তীব্রতা। অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। শিশু-বৃদ্ধরা তো ঘর থেকেই বের হতে পারছে না। শীতের তীব্রতায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না।

 

কালীগঞ্জ উপজেলার ভ্যান চালক সফিয়ার রহমান বলেন, গত তিনদিন থেকে খুব ঠান্ডা। ঘর থেকে বাহিরে কাজে যেতে পারছিনা। ভাড়া নাই তারপরেও ভাড়ার আশায় ভ্যানেই বসে আছি।

লালমনিরহাট জেলা সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় জানান, হাঁপানি, অ্যাজমা, নিউমোনিয়া ও ডাইরিয়ার রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শীতের তীব্রতা আরও বাড়লে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।

এদিকে লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান, এ পর্যন্ত ৩৫ হাজার শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। যাহা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারই অপ্রতুল। তারপরেও আরও শীতবস্ত্রের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে।

Header Ad

অটোরিকশা চলাচলে আপিল করবে সরকার

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা মহানগর এলাকার সড়কে ব্যাটারি-চালিত অটোরিকশা চলাচল সীমিত করার বিষয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবে সরকার।

রোববার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার । এ সময় উপস্থিত ছিলেন, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর।

উপ-প্রেস সচিব বলেন, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করার। আমরা আশা করি, এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট থেকে একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা শহরের রাস্তায় চলতে পারবে কি না, তা নিয়ে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি সমাধান খুঁজে পেতে চায় সরকার।

এর আগে, ঢাকা মহানগর এলাকার সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করার আদেশ দেয় হাইকোর্ট; যা তিন দিনের মধ্যে বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।

এরপর থেকেই বিভিন্ন স্থানে আন্দোলন করে আসছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকরা। এ সময় হাইকোর্টের আদেশ প্রত্যাহারসহ ১১ দফা দাবি জানায় তারা।

Header Ad

পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের প্রতিষ্ঠিত সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাব জব্দ করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

রোববার (২৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ২৩(১) (গ) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সূচনা ফাউন্ডেশনের পরিচালিত সব হিসাবের লেনদেন ৩০ দিনের জন্য স্থগিত করার নির্দেশনা দেওয়া হলো।

এতে আরও বলা হয়, সূচনা ফাউন্ডেশনের নামে পরিচালিত সব হিসাবের হিসাব সংক্রান্ত তথ্যাদি (হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ফরম, শুরু হতে হালনাগাদ লেনদেন বিবরণী) সংযোজিত এক্সেল শিট আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে এ ইউনিটে পাঠানোর অনুরোধ করা যাচ্ছে।

নির্দেশনার আওতায় লেনদেন স্থগিত করা হিসাবগুলোর ক্ষেত্রে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা, ২০১৯ -এর বিধি ২৬(২) প্রযোজ্য হবে বলে জানানো হয়েছে।

সায়মা ওয়াজেদ পুতুলছাড়াও সূচনা ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি বোর্ডে রয়েছেন ডা. মাজহারুল মান্নান, মো. শামসুজ্জামান, জাইন বারি রিজভী ও নাজমুল হাসান।

উল্লেখ্য, সূচনা ফাউন্ডেশন মূলত মানসিক ও স্নায়ুবিক প্রতিবন্ধিতা, অটিজম এবং মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের সাহায্য করার উদ্দেশে কাজ করে।

Header Ad

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ৩৫ ফিলিস্তিনি

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলায় কমপক্ষে আরও ৩৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৪৪ হাজার ২০০ ছাড়িয়ে গেছে।

এছাড়া গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি। রোববার (২৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় কমপক্ষে আরও ৩৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪ হাজার ২২১ জনে পৌঁছেছে বলে রোববার অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিরলস এই হামলায় আরও অন্তত এক লাখ ৪ হাজার ৫৬৭ জন ব্যক্তিও আহত হয়েছেন।

মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত আগ্রাসনে ৩৫ জন নিহত এবং আরও ৯৪ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

অটোরিকশা চলাচলে আপিল করবে সরকার
পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ৩৫ ফিলিস্তিনি
ভারতে যৌন ব্যবসায় বাধ্য করা হচ্ছে বাংলাদেশি তরুণীদের
ব্রাজিলকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পেল আর্জেন্টিনা
আওয়ামী লীগের ২ সাবেক সংসদ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন
পলাশবাড়ীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ যুবক গ্রেফতার
আইপিএল মেগা নিলাম সর্বশেষ: কোন দলে কোন ক্রিকেটার?
রেকর্ড এডিট দাবি, দশ লাখ টাকার চেক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা
পাকিস্তানে শিয়া-সুন্নি সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮২
হত্যা মামলায় গ্রেফতার ডিসি মশিউর ও এডিসি জুয়েল বরখাস্ত
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে রেকর্ড মৃত্যু, শনাক্ত আরও ১০৭৯
আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার পান্ত
আরও এক মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান
সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার
আমাদের নিয়ত সহি, জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই: সিইসি
৫ বিসিএস থেকে নিয়োগ পাবেন ১৮ হাজার ১৪৯ জন
শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ নির্বাচন কমিশনার
দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে থানায় জিডি করলেন নওশাবা
আইইউটির ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় পল্লী বিদ্যুতের ৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত