বরগুনায় টাকার বিনিময়ে ফাইজারের টিকা!
বরগুনায় শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ ফাইজারের টিকা থেকে টাকার বিনিময়ে বিদেশগামী এক ব্যক্তিকে টিকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক মেডিকেল টেকনোলোজিস্টের বিরুদ্ধে।
শনিবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের টিকা কেন্দ্রে ঘটনা।
অভিযুক্ত এনামুল কবির বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলোজিস্ট হিসেবে কর্মরত আছেন। একই সঙ্গে ওই হাসপাতালের করোনার টিকা প্রদানের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। বিষয়টি প্রকাশের পর বিদেশগামী ওই ব্যক্তিকে টাকা ফেরত দিলেও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এনামুল কবীর।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সোহরাব উদ্দিন বলেন, ফাইজারের টিকা শুধু শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দকৃত। যা টাকার বিনিময়ে অন্যকে দেওয়া যাবে না। এখানে দুইজনই সমান অপরাধী।
জানা গেছে, বরগুনা সদরের বদরখালী ইউনিয়নের পাতাকাটা গ্রামের ইসমাইল খানের ছেলে সৌদি আরবগামী কামাল হোসেন গত বুধবার বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে করোনার টিকা দিতে নিবন্ধন করেন। টিকার ম্যাসেজ দেখে শুক্রবার টিকা দিতে তিনি বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে যান। সেখানে এনামুল কবীর নামে এক টিকাদানকারী কামালকে ফাইজারের টিকা পাইয়ে দিতে দুই হাজার টাকা দাবি করেন।
কামাল হোসেন বলেন, অনলাইনের মাধ্যমে টিকাদানের জন্য আমি বুধবার নাম নিবন্ধন করি। শনিবার টিকা দিতে আমি বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে যাই। সেখানে এনামুল নামে এক টিকাদানকারী আমাকে জিজ্ঞেস করেন ফাইজারের টিকা দেব কি না। এরপরে একটি রুমে নিয়ে ফাইজারের টিকা দেওয়া যাবে বলে জানান। তবে এ টিকার জন্য তিনি দুই হাজার টাকা দাবি করেন।
কামাল আরো বলেন, টিকার জন্য আমি তাকে এক হাজার টাকা দিই এবং বাকি টাকা তার বিকাশ নম্বরে দেওয়ার কথা বলেন। টাকা নেওয়ার বিষয়টি আমি আমার মামা যুবলীগ নেতা সাহাবুদ্দিনকে জানালে তিনি এসে এনামুলের কাছ থেকে আমার টাকা ফেরত নেন।
জেলা যুবলীগ নেতা সাহাবুদ্দীন সাবু বলেন, আমি জানার পর হাসপাতালে যাই। সেখানে গিয়ে তত্ত্বাবধায়ককে না পেয়ে বিষয়টি তার স্টাফ জালাল উদ্দীনকে জানাই। তিনি বিষয়টি শুনে এনামুল কবীরের কাছ থেকে টাকা ফেরত এনে দেন।
অভিযোগ বিষয়ে মেডিকেল টেকনোলোজিস্ট (ইপিআই) এনামুল কবীর বলেন, আমি কোনো টাকার বিনিময়ে টিকা দিইনি। টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়টি ভিত্তিহীন।
বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মুহাম্মদ ফজলুল হক বলেন, টাকার বিনিময়ে টিকা দেওয়ার কোনো বিধান নেই। বিষয়টি আমি শুনেছি। সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে নিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখব। অভিযোগের সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসএন