সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মানিকগঞ্জ শহরের খালটি এখন ময়লার ভাগাড়

মানিকগঞ্জ শহরের একমাত্র খালটি রক্ষায় নানা সময়ে উদ্যোগ নিয়েও পৌরবাসীকে এর সুফল দেখাতে পারেনি পৌর কতৃপক্ষ। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় শহরের গুরুত্বপূর্ণ খালটি এখন শহরবাসীর দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেখানে সারা বছর পানি প্রবাহমান থাকার কথা সেখানে ময়লাআবর্জনা ও পয়োনিষ্কাশন নালা যুক্ত করে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত করা হয়েছে শহরের প্রাণকেন্দ্রের খালটিকে।

ভরা মৌসুমে পৌরসভা কয়েকবার ময়লা অপসরণ করলেও অল্প কিছুদিনের ব্যবধানেই তা আবার দুর্গন্ধ ভাগাড়ের স্তুপে পরিণত হচ্ছে। দখল, দূষণ ও পৌর কর্তৃপক্ষের অবহেলাতেই এ খাল আজ নির্জীব।

সময়ের ব্যবধানে নগর পিতার পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু খালটিকে কেউই সচল করতে পারেনি। শহরের প্রাণকেন্দ্র দিয়ে প্রবাহমান ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ খালটি মানিকগঞ্জ সদরের পশ্চিম বান্দুটিয়া থেকে শুরু হয়ে সোনাকান্দর এলাকায় গিয়ে শেষ হয়েছে। এর দুই প্রান্ত মিলেছে কালীগঙ্গা নদীতে।

প্রায় ৩০মিটার প্রস্থের খালটির দুপারেই সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও আবাসিক এলাকা। রয়েছে স্কুল, কলেজ, অফিস-আদালত, থানা, মসজিদ, মাদরাসা। খালটির দুপাশে দখল করে নির্মাণ হয়েছিল শত-শত দোকান-পাট। গেল বছরের মাঝামাঝিতে খালের ওয়াকওয়ে দখল করে অবৈধ স্থাপনা অপসরণ করে পৌর কর্তৃপক্ষ। অবৈধ স্থাপনা অপসরণ হলেও এখনো ওয়াকওয়ের সীমানা নিশ্চিত করা যায়নি।

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের সময় পৌর কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছিল খালটির ওয়াকওয়ে দখলমুক্ত করে দুই লেনের সড়ক নির্মাণ করা হবে। এটি হলে মূল সড়কের যানজট অনেকটাই কমে আসবে। তখন থেকেই আশা দেখতে শুরু করে নগরবাসী। এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে রক্ষা পেত খালটি, শহরের যানজন কমে আসত অনেকাংশে। কিন্তু সেই উদ্যোগ কবে নাগাদ আশার আলো দেখবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছে না কেউই।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ঠেসে থাকা ময়লায় পানি প্রবাহের পথ বন্ধ। উৎকট দুর্গন্ধে চরম দুর্ভোগ পথচারীদের। জমে থাকা দুর্গন্ধযুক্ত পানিতে সৃষ্টি হয়েছে মশা-মাছির নিরাপদ আশ্রয়স্থল। হোটেল, রেস্তোরাঁগুলোর উচ্ছিষ্ট ময়লা ফেলা হচ্ছে খালটিতে।

মানিকগঞ্জ পৌরসভা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালে প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে খালটির সংস্কার ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ সম্পন্ন হয়। এডিবি, জিওবি ও ওপেকের আর্থিক সহায়তায় খালটির দুই পাড় সিসি ব্লক ও জিও টেক্স দিয়ে বাঁধানো হয়। খালের দুই পাড়ে চার ফুট চওড়া ওয়াকওয়ে, সারফেস ড্রেন ও পথচারীদের বসার জন্য নির্মাণ করা হয় বেঞ্চ। তবে নিম্নমানের কাজ করায় নির্মাণের কয়েক মাস পরেই একাধিক যায়গায় ধসে পড়ে সিসি ব্লক।

পথচারী কামাল উদ্দিন বলেন, এক সময় এ খাল ছিল স্রোতস্বিনী। সারা বছর পানি থাকত। খালের আশপাশের প্রতিটি বাড়ির সুয়ারেজ লাইন এখন এ খালে গিয়ে জুড়েছে। বাসা বাড়ির ময়লা-আবর্জনা ফেলার একমাত্র স্থানে পরিণত হয়েছে এটি। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে।

পৌর বাসিন্দা বুলবুল আহমেদ জানান, পৌরবাসীর অবহেলার কারণে খালটি অনেক আগেই ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। খালটির একপাশে বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্ট গড়ে উঠেছে। যারা প্রতিনিয়ন বর্জ্য ফেলে দূষণ বাড়াচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে পৌরসভা কখনো ব্যবস্থা নেয় না।

তিনি আরো জানান, ওয়াকওয়ে যেটুকুও আছে তা ব্যবহার যোগ্য না। বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে হেঁটে যাওয়া যায় না। ওয়াকওয়েতে কেবল মানুষ আসে বিড়ি-সিগারেট খাওয়ার জন্য। আর আসে স্কুল-কলেজের বখাটে ছেলেপেলে আড্ডা দেওয়ার জন্য।

পৌর মেয়র রমজান আলী বলেন, ‘খালটিকে রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দুপারের অবৈধ স্থাপনা অপসরণ করা হয়েছে। যানযট কমাতে ওয়াকওয়ে ধরে রাস্তা করা হবে। অল্প দিনের মধ্যেই নগরবাসী এর সুফল পাবে।’

এসএন

 

 

Header Ad

অটোরিকশা চলাচলে আপিল করবে সরকার

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা মহানগর এলাকার সড়কে ব্যাটারি-চালিত অটোরিকশা চলাচল সীমিত করার বিষয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবে সরকার।

রোববার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার । এ সময় উপস্থিত ছিলেন, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর।

উপ-প্রেস সচিব বলেন, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করার। আমরা আশা করি, এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট থেকে একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা শহরের রাস্তায় চলতে পারবে কি না, তা নিয়ে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি সমাধান খুঁজে পেতে চায় সরকার।

এর আগে, ঢাকা মহানগর এলাকার সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করার আদেশ দেয় হাইকোর্ট; যা তিন দিনের মধ্যে বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।

এরপর থেকেই বিভিন্ন স্থানে আন্দোলন করে আসছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকরা। এ সময় হাইকোর্টের আদেশ প্রত্যাহারসহ ১১ দফা দাবি জানায় তারা।

Header Ad

পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের প্রতিষ্ঠিত সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাব জব্দ করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

রোববার (২৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ২৩(১) (গ) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সূচনা ফাউন্ডেশনের পরিচালিত সব হিসাবের লেনদেন ৩০ দিনের জন্য স্থগিত করার নির্দেশনা দেওয়া হলো।

এতে আরও বলা হয়, সূচনা ফাউন্ডেশনের নামে পরিচালিত সব হিসাবের হিসাব সংক্রান্ত তথ্যাদি (হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ফরম, শুরু হতে হালনাগাদ লেনদেন বিবরণী) সংযোজিত এক্সেল শিট আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে এ ইউনিটে পাঠানোর অনুরোধ করা যাচ্ছে।

নির্দেশনার আওতায় লেনদেন স্থগিত করা হিসাবগুলোর ক্ষেত্রে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা, ২০১৯ -এর বিধি ২৬(২) প্রযোজ্য হবে বলে জানানো হয়েছে।

সায়মা ওয়াজেদ পুতুলছাড়াও সূচনা ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি বোর্ডে রয়েছেন ডা. মাজহারুল মান্নান, মো. শামসুজ্জামান, জাইন বারি রিজভী ও নাজমুল হাসান।

উল্লেখ্য, সূচনা ফাউন্ডেশন মূলত মানসিক ও স্নায়ুবিক প্রতিবন্ধিতা, অটিজম এবং মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের সাহায্য করার উদ্দেশে কাজ করে।

Header Ad

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ৩৫ ফিলিস্তিনি

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলায় কমপক্ষে আরও ৩৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৪৪ হাজার ২০০ ছাড়িয়ে গেছে।

এছাড়া গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি। রোববার (২৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় কমপক্ষে আরও ৩৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪ হাজার ২২১ জনে পৌঁছেছে বলে রোববার অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিরলস এই হামলায় আরও অন্তত এক লাখ ৪ হাজার ৫৬৭ জন ব্যক্তিও আহত হয়েছেন।

মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত আগ্রাসনে ৩৫ জন নিহত এবং আরও ৯৪ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

অটোরিকশা চলাচলে আপিল করবে সরকার
পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ৩৫ ফিলিস্তিনি
ভারতে যৌন ব্যবসায় বাধ্য করা হচ্ছে বাংলাদেশি তরুণীদের
ব্রাজিলকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পেল আর্জেন্টিনা
আওয়ামী লীগের ২ সাবেক সংসদ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন
পলাশবাড়ীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ যুবক গ্রেফতার
আইপিএল মেগা নিলাম সর্বশেষ: কোন দলে কোন ক্রিকেটার?
রেকর্ড এডিট দাবি, দশ লাখ টাকার চেক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা
পাকিস্তানে শিয়া-সুন্নি সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮২
হত্যা মামলায় গ্রেফতার ডিসি মশিউর ও এডিসি জুয়েল বরখাস্ত
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে রেকর্ড মৃত্যু, শনাক্ত আরও ১০৭৯
আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার পান্ত
আরও এক মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান
সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার
আমাদের নিয়ত সহি, জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই: সিইসি
৫ বিসিএস থেকে নিয়োগ পাবেন ১৮ হাজার ১৪৯ জন
শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ নির্বাচন কমিশনার
দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে থানায় জিডি করলেন নওশাবা
আইইউটির ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় পল্লী বিদ্যুতের ৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত