পাখিদের ভয় দেখাতে ধানখেতে সাঁটানো হচ্ছে পলিথিন
ছবি : ঢাকাপ্রকাশ
ধানখেতে স্থাপন করা হয়েছে বাঁশের ছোট ছোট কঞ্চির খুঁটি। সে খুঁটিতে সাঁটানো হয়েছে পলিথিনের কাগজ। বাতাসে কাগজের শব্দে ধান খেতে বসতে পারে না বকসহ অন্যান্য পাখি। কাগজের শব্দের ভয়ে তারা চলে যায়। ফলে খাদ্য আহরণ করতে আসা পাখিগুলো রোপণকৃত ধানের চারা যাতে নষ্ট করতে না পারে সে জন্য অভিনব কায়দায় কৃষকরা ধানখেতের জমিগুলোতে ব্যবহার করছেন পলিথিনের কাগজ।
সরেজমিনে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের নিকলা বিল, আমুলা বিল, তারাই বিলসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, জমিতে ধানের চারা রোপণের পর থেকে বকসহ নানা প্রজাতের পাখিদের পোকা দমনে বসতে দেওয়া হয় না। কৃষকদের ধারণা- পাখিগুলো ধান খেতে বসলে পায়ের ছাপে নষ্ট হয়ে যায়। তাই খেতে বাঁশের খুঁটিতে পলিথিন বেঁধে রাখলে পাখি আসতে পারে না।
আমুলা গ্রামের কৃষক মহিউদ্দিন বলেন, ‘মাসখানেক আগে ধানের চারা রোপণ করি। শুরুতে ধানের চারা রোপণকালে চারাগুলো নরম থাকে। এসময় বক, বালি হাঁসসহ নানা প্রজাতের পাখি জমিতে বসে। এতে করে পাখির পায়ের ছাপে ধানের চারা নষ্ট হয়ে যায়। যার কারণে ধানখেতে পলিথিন সাঁটানো হয়েছে পাখি তাড়ানোর জন্য। এগুলো কিছু দিন পর তুলে ফেলে হবে এবং কলাগাছ সাঁটানো হবে।’
নিকলা গ্রামের কৃষক শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘গেলবার বিলে আমি প্রায় ৭৬ শতাংশ জমিতে ধানের চারা রোপণ করেছিলাম। কিছুদিন পর জমিতে গিয়ে দেখি ধানের চারা পাখিদের পায়ের ছাপে মাটিতে মিশে গেছে। তাই অন্য কৃষকদের দেখে এবার পলিথিন সাঁটিয়েছি। যার কারণে এবার পলিথিনের শব্দে বক বা বালি হাঁস ধানখেতে ভয়ে আসতে পারেনি, ধানের চারা নষ্ট হয়নি। ফলন ভালো হয়েছে।’
টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ দুলাল উদ্দিন বলেন, ‘ধানের চারা রোপণের পর খেতে বকসহ বা অন্যান্য পাখি বসলে পায়ের ছাপে রোপণকৃত ধানের চারা নষ্ট হয়ে যায়। যার কারণে কৃষকরা এসব তাড়ানোর জন্য জমিগুলোতে অভিনব কায়দায় পলিথিন সাঁটিয়ে থাকে। এতে কোনো প্রভাব ফেলবে না। তবে, প্যাচিং পদ্ধতি ব্যবহার করলে ভালো হয়।’