পেঁয়াজ-রসুনের দাম কমায় লোকসানে ব্যবসায়ীরা
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজ ও রসুনের দাম কেজিতে কমেছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। এতে ক্রেতারা স্বস্তি প্রকাশ করলেও আর্থিক লোকসানে পড়েছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। গতকাল শনিবার ও গত শুক্রবার (৫ আগস্ট) ফুলবাড়ী পৌর বাজারের পাইকারি ও খুচরা সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি রসুন প্রকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা দরে। যা গত এক সপ্তাহে আগে প্রকারভেদে বিক্রি হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে।
একইভাবে ভারতীয় আমদানিকৃত পেঁয়াজ প্রকার ভেদে পারকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৬ থেকে ১৮ টাকা কেজিদরে। যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে প্রকারভেদে ২২ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে। তবে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে আগে ৩২ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে সেটি বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে। এক্ষেত্রে খুচরা বাজারে আমদানিকৃত এবং দেশি পেঁয়াজ প্রকার ভেদে পাইকারি দাম থেকে প্রতিকেজিতে ২/৩ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
পৌর এলাকার সবজি বাজারে বাজার করতে আসা এনজিও কর্মী আব্দুর রহমান বলেন, বর্তমানে পেঁয়াজ ও রসুনের দাম কমে আসায় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর জন্য স্বস্তির বিষয় হয়। আবার একই সময়ে কাঁচা ও শুকনা মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় একই পরিবারগুলোর জন্য অস্বস্তির খবর হয়। দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে অনেক পরিবার চাহিদানুযায়ী মরিচ যেমন কিনতে পারছেন না, তেমনি দাম কমে আসায় একই পরিবারগুলো পেঁয়াজ ও রসুন চাহিদানুযায়ী কিনছেন।
খুচরা পেঁয়াজ ও রসুন বিক্রেতা গোলাম মোস্তফা বলেন, দাম কমে আসায় পেঁয়াজ ও রসুনের বেচাবিক্রি বেড়েছে। কয়দিন আগেও রসুন ও পেঁয়াজ মানুষ হিসেব করে এক কেজির স্থানে ২৫০ গ্রাম কিনলেও দাম কমে যাওয়ায় এখন প্রয়োজন মাফিক কিনছেন। পাইকারি রসুন ও পেঁয়াজ বিক্রেতা অজয় দত্ত ও রাজু আহম্মেদ বলেন, ভারতীয় রসুন ও পেঁয়াজের আমদানি চাহিদানুযায়ী হওয়ায় স্থানীয় বাজারগুলোতে রসুন ও পেঁয়াজের দাম কমে এসেছে।
গত এক সপ্তাহ আগের ক্রয় করা রসুন ও পেঁয়াজ বর্তমানে কমে যাওয়া দামে বিক্রি করতে গিয়ে ব্যবসায়ীরা আর্থিক লোকসানের মুখে পড়েছেন। তবে দেশি রসুন ও পেঁয়াজের দাম একটু বাড়তি রয়েছে। ভারতীয় পেঁয়াজ ও রসুন আমদানি স্বাভাবিক থাকলে বাজার সকল শ্রেণির মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকবে।
এএজেড