রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: হাজার কোটি টাকার ক্ষতি, দায়ভার কার

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হাজার কোটি টাকার রপ্তানি পণ্যের দায় নেবে কে এ প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে। রপ্তানিকারকরা ক্রেতাদের কাছে সময়মতো পণ্য পৌঁছাতে না পারলে ভবিষ্যতে অর্ডার হারানোর ঝুঁকি আছে।

পুড়ে যাওয়া পণ্য বিশেষ করে তৈরি পোশাকগুলো ডিপো থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজবোঝাই করা অবস্থায় ছিল। চলতি মাসেই এসব পণ্য বিদেশি ক্রেতাদের হাতে পৌঁছানোর কথা। কিন্তু ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সময়মতো পণ্য পৌঁছানো ভেস্তে গেছে। পাশাপাশি রপ্তানিকারকরা পড়েছেন বিপুল ক্ষতির মুখে। কনটেইনার ডিপো মালিকদের গাফিলতির কারণেই দেশের গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা পথে বসার উপক্রম হয়েছে এ অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন মহলে। দাহ্য বিপজ্জনক পদার্থ নিয়ম মেনে রাখলে হয়তো এত বড় ক্ষতি হতো না বলে মনে করছেন তারা।

বিজিএমইএ'র প্রথম সহ সভাপতি এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলের দায়িত্বশীল সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার কারণে এত বড় ক্ষতি হলো ব্যবসায়ীদের। যা পুষিয়ে উঠতে কষ্টকর হবে। তবে আমরা এই মুহূর্তে কাউকে দায়ী না করে দেশের ইমেজ সংকট হচ্ছে কিনা তা নিয়েই চিন্তিত। কারণ বিদেশি ক্রেতারা কীভাবে বিষয়টি দেখবেন তা নিয়েই ভাবছি। আমরা চাই দেশের ইমেজ ক্ষুন্ন না হোক।

ক্ষতি কী পরিমাণ হয়েছে এ প্রশ্নে তিনি বলেন, হাজার কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে নিঃসন্দেহে। তবে আমরা ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণের জন্য ডাটা কালেকশন করছি। এরপর হয়তো বলা যাবে ক্ষতির পরিমাণ কত।

বিজিএমইএ’র সহ সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এই দায়ভার কারো না কারো ওপর পড়বে। তবে আমরা তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারো ওপর দোষ দিতে চাচ্ছি না। আমরা এখন জোর দিচ্ছি ক্ষতি কীভাবে কাটিয়ে ওঠা যায়। কীভাবে বিদেশি ক্রেতাদের কাছে আবার পণ্য রপ্তানি করা যায়।

ব্যবসায়ীদের কী পরিমাণ ক্ষতি হলো এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ক্ষতি অনেক হয়েছে। এক কথায় হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হলো। সবচেয়ে বড় বিষয় যেসব প্রতিষ্ঠানে এসব রপ্তানি পণ্য তৈরি হয়েছে সেখানকার শ্রমিকদের বেতনের সাথে বোনাসও দিতে হবে। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি পোশাকখাতের ব্যবসায়ীদের বিশেষ করে রপ্তানি পণ্য পুড়েছে এমন মালিকদের জন্য বিপর্যয়ের।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে এক হাজার কোটি থেকে ১২শ’ কোটি টাকার পণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মনে করছেন গার্মেন্টস মালিকরা। ক্ষতির বিষয়টি এখনো নিরুপণের পর্যায়ে আছে। গার্মেন্টস পণ্য ছাড়া বিএম কনটেইনারে রপ্তানিযোগ্য পণ্যবাহী আরও বিপুল কনটেইনার আছে। যেসব কনটেইনার ভর্তি মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সোমবার দুপুর পর্যন্ত কনটেইনারগুলোতে জ্বলেছে আগুন। কোনো কনটেইনার আর অক্ষত পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন গার্মেন্টস মালিকরা। বিপুল পরিমাণ রপ্তানি পণ্যের পাশাপাশি বিভিন্ন কারখানার আমদানিকৃত বহু কাঁচামালও পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ডিপোতে থাকা পণ্যভর্তি দেড় হাজারেরও বেশি কনটেইনারের ৯৫ শতাংশই ধ্বংস হয়ে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। শুধু পণ্য নয় মূল্যবান এসব কনটেইনারগুলো আর কখনো পণ্য ভর্তি করার উপযোগী করা যাবে না এমনটি মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

বিএম কনটেইনার ডিপোর মালিক চট্টগ্রামের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী গ্রুপ স্মার্ট গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। হল্যান্ডের সাথে যৌথ বিনিয়োগে ২০১১ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। প্রায় ২৫ একর জায়গার ওপর গড়ে তোলা বেসরকারি এই কনটেইনার ডিপোর ধারণক্ষমতা ৭ হাজার কনটেইনার (প্রতিটির দৈর্ঘ্য ২০ ফুট)। এর মধ্যে শনিবার ও রবিবারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সময় এই ডিপোতে ৪ হাজার ৩শ’ কনটেইনার ছিল। এর মধ্যে প্রায় ৩ হাজার ছিল খালি কনটেইনার। ১ হাজার ৩শ’ টি কনটেইনার ছিল পণ্য ভর্তি।

সংশ্লিষ্টদের অনেকেই চট্টগ্রামের বেসরকারি কনটেইনার ডিপোগুলোর অবকাঠামোসহ নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তারা বলছেন, দ্রুততার সাথে গড়ে ওঠা এসব কনটেইনার ডিপোগুলোর অনেকগুলোতে কড়া তদারকি নেই। নিয়মিত মনিটরিং করা হয় না নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এতে আমদানি ও রপ্তানি পণ্যগুলো ঝুঁকির মধ্যে থাকে।

চট্টগ্রাম বন্দরের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, ২৫ বছর আগে বেসরকারি কনটেইনার ডিপোর কার্যক্রম শুরু হয়। এসব কনটেইনার ডিপো প্রাইভেট আইসিডি হিসেবে পরিচিত। উদ্দেশ্য ছিল চট্টগ্রাম বন্দর ইয়ার্ডের ওপর চাপ কমানোর পাশাপাশি রপ্তানি ও আমদানি পণ্যের হ্যান্ডেল আরও সহজ করা। বিভিন্ন কারখানায় উৎপাদিত রপ্তানি পণ্য ট্রাক এবং কাভার্ডভ্যানে বোঝাই করে এখানে আনা হয়। পরে এখানে কনটেইনারে বোঝাই করে জাহাজিকরণের মাধ্যমে রপ্তানি করা হয়। দেশের শতভাগ রপ্তানি পণ্য এই প্রক্রিয়ায় জাহাজিকরণ করা হয়।

তিনি আরও জানান, বিএম কনটেইনার ডিপোসহ চট্টগ্রামে ১৬টি বেসরকারি আইসিডি রয়েছে। এসব ডিপোতে শতভাগ রপ্তানি পণ্যের পাশাপাশি ৩৭ ধরনের আমদানি পণ্য বোঝাই কনটেইনার এনে খালাস করা হয়। এতে কনটেইনার ডিপোতে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, কনটেইনার মুভারের চলাচল থাকে সবসময়। বেসরকারি ডিপো ভিত্তিক বড় একটি শিল্পও গড়ে উঠেছে চট্টগ্রামে। এসব ডিপোতে শত শত কর্মী কাজ করেন। যারা পরোক্ষভাবে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমের সাথে যুক্ত।

এসজি/

Header Ad

রেকর্ড এডিট দাবি, দশ লাখ টাকার চেক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা

দশ লাখ টাকার চেক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় বদলগাছী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সামছুল আলম খানকে হত্যার হুমকি দিয়ে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে উপজেলা বিএনপির সদ্য বহিষ্কৃত সহ-যুব বিষয়ক সম্পাদক বেলাল হোসেন সৌখিনের বিরুদ্ধে।

বুধবার (৬ নভেম্বর) রাত থেকে ওই দুই নেতার কথোপকথনের ১ মিনিট ৪৩ সেকেন্ডের একটি কল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। এর আগে উপজেলার গোবরচাঁপা বাজারে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ এনে ৫ নভেম্বর আওয়ামী লীগ নেতা সামছুল আলম খানসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে স্থানীয় থানায় মামলা করেন বিএনপি নেতা বেলাল হোসেন সৌখিন। এ মামলায় আরও ১২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে "এডিট করা ফেক মোবাইল কল" সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে তার এবং দলীয় ইমেজ ক্ষুণ্ন করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাময়িক বহিষ্কৃত ওই বিএনপি নেতা।

রবিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে বদলগাছী সাংবাদিক সংস্থার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপি নেতা বেলাল হোসেন সৌখিন।

এসময় তিনি বলেন, বিগত ২০১৩ সালে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলকভাবে আওয়ামী লীগ দুইটি মামলা করে। একটি বিষ্ফোরক ও একটি দ্রুত বিচার আইনে। আমাকে গ্রেফতার করা হয় ক্লিন হার্ট অপারেশনে। সেখানে আমাকে অনেক নির্যাতন করা হয় শুধুমাত্র বিএনপির রাজনীতি করার জন্য। আমি জানতে পেরেছি যে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুল আলম খানের সাথে আমার একটি কল রেকর্ড প্রকাশিত হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যা সম্পূর্ণ এডিট করা ফেক মোবাইল কল। কল রেকর্ডটি আগস্ট মাসের।

প্রকৃত তথ্য এই যে, শামসুল আলম খান ইতঃপূর্বে তার একটি ব্যাংক চেক গচ্ছিত রেখে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার করেন। যার নম্বর: CD /A- ২৮৮৫০৯২ (ডাচ বাংলা ব্যাংক)। এভাবে তার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে আরও অনেকের কাছ থেকেই তিনি টাকা ধার করেছেন বলে লোকমুখে জেনেছি। অতি সম্প্রতি জানতে পারি যে, তিনি কিছু কিছু পাওনাদারদের ধারের টাকা পরিশোধ করছেন। এ কারণে আমি তার নিকট আমার পাওনা টাকা নেওয়ার জন্য কল করেছিলাম। এছাড়া আমার পাওনা টাকা নেওয়ার জন্য তার সামনাসামনি হলে সে আমাকে আওয়ামী লীগের ক্ষমতার ভয় দেখাতো। আমি গত ২০১৪ সালের ৫নভেম্বর আওয়ামী লীগের বিস্ফোরক মামলার বিবাদী হওয়ার কারণে আগস্ট মাসের কল রেকর্ডটি নতুন করে "এডিট" করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। আগস্ট মাস থেকে এখন পর্যন্ত শামসুল আলম খানের সাথে আমার কোনো যোগাযোগ হয়নি।

এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, পাওনা সংক্রান্ত ও কল রেকর্ডটি এডিট করে যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেটা আবার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশও করা হয়েছে। শুধুমাত্র আমাকে এবং আমার দল বিএনপিকে সামাজিকভাবে হেয় করার জন্যই ফেক কল রেকর্ডটি ছেড়ে দেওয়া দেয়। মর্যাদাহানি করার জন্যই তারা এই মিথ্যা এবং বানোয়াট রেকর্ড ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মামলার বিবাদী হওয়ার কারণেই আগস্ট মাসের আমার টাকা সংক্রান্ত রেকর্ডটি ছেড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং সেই সাথে দুষ্কৃতিকারীদের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে বদলগাছী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সামছুল আলম খান বলেন, ঘটনার দিন নওগাঁয় আদালতে একটা কাজে গিয়েছিলাম। ওই সময় একটা অপরিচিত নম্বর থেকে কল আসে। নিজেকে চাংলার সৌখিন পরিচয় দিয়ে আমার কাছ থেকে টাকা দাবি করা হয়।

Header Ad

পাকিস্তানে শিয়া-সুন্নি সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮২

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবারপাখতুনখাওয়া প্রদেশে শিয়া ও সুন্নি মতাবলম্বীদের সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮২ জনে পৌঁছেছে। গত তিন দিন ধরে চলা এই সহিংসতায় আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ১৫৬ জন।

রোববার (২৪ নভেম্বর) প্রদেশের স্থানীয় এক কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন বলে খবর দিয়েছে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি।

আফগানিস্তান সীমান্ত লাগোয়া পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে সুন্নি ও শিয়া মুসলমানদের মাঝে গত কয়েক মাস ধরে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। গত বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) প্রদেশটিতে শিয়া যাত্রীবাহী গাড়িতে বন্দুকধারীদের হামলায় ৪৩ জনের প্রাণহানির পর নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক কর্মকর্তা বলেছেন, গত ২১, ২২ ও ২৩ নভেম্বরে শিয়া-সুন্নিদের সংঘর্ষ ও গাড়িতে হামলার ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ৮২ জনে পৌঁছেছে। এই সংঘাতে ১৫৬ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার প্রদেশের কুররাম জেলার প্রায় ৩০০ পরিবার তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। ওই দিন গভীর রাত পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় হালকা ও ভারি অস্ত্র নিয়ে সংঘাতে জড়িয়েছেন স্থানীয়রা। তবে রোববার সকালে নতুন করে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় ওই কর্মকর্তা বলেছেন, কুররাম জেলাজুড়ে মোবাইল নেটওয়ার্ক স্থগিত করা হয়েছে এবং প্রধান সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। অতীতে খাইবার পাখতুনখোয়ার এই জেলা আধা-স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হিসেবে ছিল; যেখানে বছরের পর বছর ধরে চলা সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় শত শত মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।

গত মাসে কুররাম জেলায় সাম্প্রদায়িক সংঘাতে তিন নারী ও দুই শিশুসহ অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া গত জুলাই ও সেপ্টেম্বর মাসে একই ধরনের সংঘাতে বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

Header Ad

হত্যা মামলায় গ্রেফতার ডিসি মশিউর ও এডিসি জুয়েল বরখাস্ত

মশিউর রহমান ও জুয়েল রানা। ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান ও ডিএমপির সাবেক এডিসি জুয়েল রানাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার।

রোববার (২৪ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখার সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেনের সই করা পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ডিবির সাবেক ডিসি (সুপারনিউমারারি অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) ও বর্তমানে পুলিশ সুপার হিসেবে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত মশিউর রহমানকে নিউমার্কেট থানার মামলায় গ্রেফতার করে ২০ সেপ্টেম্বর আদালতে পাঠানো হয়েছে। সেহেতু, মশিউর রহমানকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন) এর ৩৯ (২) ধারার বিধান অনুযায়ী ২০ সেপ্টেম্বর থেকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি সিলেট রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন।

আরেক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ডিএমপির ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি বিভাগের এডিসি (সুপারনিউমারারি পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত)) জুয়েল রানাকে নিউমার্কেট থানার মামলায় গ্রেফতার করে ১৮ অক্টোবর আদালতে পাঠানো হয়েছে।

সেহেতু, জুয়েল রানাকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন) এর ৩৯ (২) ধারার বিধান অনুযায়ী ১৮ অক্টোবর থেকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালীন জুয়েল রানাকে রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোশ ভাতা প্রাপ্য হবেন।

এর আগে, ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতাকে হত্যার পর মরদেহ আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আব্দুল্লাহিল কাফীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

গত ২ সেপ্টেম্বর বিমানবন্দর থেকে ডিবি পুলিশ কাফীকে আটক করে। তার বিরুদ্ধে গত ৫ আগস্ট ঢাকার আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতাকে হত্যার পর আগুনে পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগ রয়েছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রেকর্ড এডিট দাবি, দশ লাখ টাকার চেক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা
পাকিস্তানে শিয়া-সুন্নি সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮২
হত্যা মামলায় গ্রেফতার ডিসি মশিউর ও এডিসি জুয়েল বরখাস্ত
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে রেকর্ড মৃত্যু, শনাক্ত আরও ১০৭৯
আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার পান্ত
আরও এক মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান
সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার
আমাদের নিয়ত সহি, জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই: সিইসি
৫ বিসিএস থেকে নিয়োগ পাবেন ১৮ হাজার ১৪৯ জন
শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ নির্বাচন কমিশনার
দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে থানায় জিডি করলেন নওশাবা
আইইউটির ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় পল্লী বিদ্যুতের ৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত
বাংলাদেশ-বেল‌জিয়ামের রাজনৈতিক সংলাপ আজ
রাজধানীতে সিলিন্ডার গ্যাস বিস্ফোরণে শিশুসহ দগ্ধ ৭
জোড়া উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করলো বাংলাদেশ
সাবেক প্রধান বিচারপতি রুহুল আমিন আর নেই
এশিয়া কাপ খেলতে দেশ ছাড়লো বাংলাদেশ
আমাকে স্যার বলার দরকার নেই, আমি আপনাদের ভাই : উপদেষ্টা নাহিদ
দুই দিনের ব্যবধানে আবারও বাড়ল সোনার দাম
বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস