জগন্নাথপুরে ফসল রক্ষা বাঁধে ধস, বাঁধ রক্ষার আহ্বান
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের গোড়ারগাঁওয়ের একটি ফসল রক্ষা বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। ধসের পরপরই স্থানীয় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়। তাৎক্ষণিক আশপাশের গ্রামের শতাধিক মানুষ ছুটে এসে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ রক্ষার কাজে যোগ দেন। সোমবার (৪ এপ্রিল) রাতে এ ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় কৃষকদের সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত সাড়ে আটটায় গোড়ারগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনের খালের মুখের বাঁধ ধসে যায়। গ্রামের কৃষকরা এটি দেখে মসজিদে মসজিদে মাইকিং করে বেড়িবাঁধ রক্ষার আহ্বান জানান। এরপর গোড়ারগাঁও, মজিদপুর, নাদামপুর, ইজলা গ্রামের শতাধিক মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ রক্ষার কাজে যোগ দেন।
এ ছাড়াও ঝুঁকিতে আছে জগন্নাথপুর উপজেলার হাওরের ফসল রক্ষায় নির্মিত ১০টি বাঁধ। অভিযোগ উঠেছে, বাঁধগুলো নির্মাণ করা হয়েছে দায়সারাভাবে। পাহাড়ি ঢল নামলে বা বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দিলে এসব বাঁধ নিমিষেই ভেঙে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। হাওরে পানি ঢুকে ঘটতে পারে ফসলহানি।
‘হাওর বাঁচাও’ আন্দোলন জগন্নাথপুর উপজেলা কমিটির পক্ষ থেকে ১০টি ফসল রক্ষা বাঁধ নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়েছে। এ বিষয়ে সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন কমিটির প্রতিনিধিরা। তারা বলেছেন, বেশির ভাগ বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে দায়সারাভাবে।
নাদামপুর গ্রামের বাসিন্দা কলকলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য সাজ্জাদুর রহমান বলেন, এই বাঁধ দিয়ে পানি ঢোকা শুরু হলে উপজেলার বৃহৎ হাওর নলুয়ার হাওরে পানি ঢুকে ফসলহানির শঙ্কা থাকে।
মজিদপুর গ্রামের বাসিন্দা সালমান মিয়া বলেন, গোড়ারগাঁও গ্রামের ফসল রক্ষা বাঁধ ধসে গেছে। সঠিকভাবে বাঁধের কাজ না হওয়ায় বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় আসার আগেই পানির তোড়ে ধসে গেছে বাঁধ। পরে চার গ্রামের মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধের নির্মাণ কাজ শুরু করেন।
এ বিষয়ে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ কমিটির (পিআইসি) সভাপতি অর্জুন দাশ বলেন, ‘আমি পাউবোর প্রাক্কলন অনুযায়ী কাজ করেছি। ৭টি স্পটে মাত্র তিন লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আমি এলাকাবাসীর সঙ্গে সহযোগিতা করে ধসে যাওয়া বেড়িবাঁধ রক্ষায় কাজ করছি।
এ ব্যাপারে পাউবোর জগন্নাথপুর উপজেলার মাঠ কর্মকর্তা উপসহকারী প্রকৌশলী হাসান গাজী বলেন, গোড়ারগাঁও স্কুলের পাশের বেড়িবাঁধটি পাউবোর একটি বাঁধ। বিষয়টি তিনি খোঁজ নিয়ে দেখছেন।
এসআইএইচ