নওগাঁয় যুবলীগ নেতার মারধরে স্কুলছাত্রসহ আহত ২
নওগাঁর মান্দায় ইমরান হোসেন জর্দা নামে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রসহ দুজনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৪ এপ্রিল) বিকালে উপজেলার ৫ নম্বর গনেশপুর ইউনিয়নের সৈয়দপুর-ভেবড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
আহতরা হলেন-ভেবরা গ্রামের আদরী খাতুনের ছেলে ও এনায়েতপুর আইডিয়াল স্কুলের ৭ম শ্রেণির ছাত্র আকাশ (১৩) এবং আদরী খাতুনের মা মরিয়ম বেওয়া (৫৫)।
অভিযুক্ত ইমরান হোসেন জর্দা হলেন- ৫ নম্বর গণেশপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক। তার বাবা ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হানিফ উদ্দিন মন্ডল।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) বিকালে ওই স্কুলছাত্রের মা আদরী খাতুন জানান, সোমবার দুপুরে কলেজ মোড়ের এনায়েতপুর আইডিয়াল স্কুল থেকে ফেরার পথে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তার ছেলের পথরোধ করে তাকে মারধর করে আহত করেন ইমরান। এ সময় মোবাইলের মাধ্যমে বিষয়টি বাড়িতে জানানোর চেষ্টা করলে তার গলায় থাকা একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়াসহ তার কাছে থাকা দুটি স্মার্ট ফোনের মধ্যে একটি পানিতে ফেলে দেন এবং অপরটিও ইমরান ভেঙ্গে ফেলেন। পরবর্তীতে আহতাবস্থায় তার ছেলে বাড়িতে এসে বিষয়টি তাদেরকে জানালে তারা প্রতিবাদ করায় তার মা মরিয়ম বেওয়াকেও অকথ্যভাষায় গালিগালাজ, শ্লীলতাহানি, মারধরসহ বাড়িঘর ভাঙচুর করেন। এরপর কোনও উপায় না পেয়ে ৯৯৯-এ ফোন দিলে তাৎক্ষণিকভাবে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়ে দেন। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। কিন্তু তারপরেও তারা জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তারা এ জঘন্যতম ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন।
এদিকে এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ইমরান পলাতক থাকায় ও তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল বলে জানা গেছে।
এসআইএইচ