শেরপুরে অপহরণের ১০ দিন পর স্কুলছাত্রী উদ্ধার
শেরপুরে অপহরণের ১০ দিন পর এক স্কুলছাত্রী (১৩) কে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৪ এপ্রিল) দিবাগতে সদর উপজেলার ধলা এলাকা থেকে ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) সকালে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। পরে দুপুরে আদালতে তার জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। জবানবন্দিতে তাকে অপহরণের কথা স্বীকার করেন অভিযুক্তরা। পরে আদালতের নির্দেশে তাকে পিতার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিঞা মো. জোবায়ের খালিদ এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অপহরণের পরপরই রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা এবং স্বপন মিয়া নামে প্রধান আসামি মমিন মিয়ার এক সহযোগীকে গ্রেপ্তারের পর আসামিরা ভিকটিমকে নিয়ে এলাকার কাছাকাছি চলে আসে। ঘটনা থেকে বাঁচতে স্থানীয়ভাবে নানা তদবির শুরু করেন তারা। ওই অবস্থায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার মধ্যরাতে সদর উপজেলার প্রত্যন্ত পল্লী ধলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় প্রধান আসামি পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা আরো জানান, ইতিমধ্যে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার পাশাপাশি আদালতে তার জবানবন্দি গৃহিত হয়েছে। জবানবন্দিতে প্রধান আসামি মমিনসহ পাঁচজন মিলে তাকে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে ঢাকায় নিয়ে যায় এবং ১০ দিন বিভিন্ন জায়গায় আটক রেখে মমিন শারীরিক মেলামেশা করেছে বলে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে প্রধান আসামিসহ অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ মার্চ রাতে শহরের দমদমা কালিগঞ্জ এলাকায় আত্মীয়ের বাড়িতে দাওয়াত শেষে মাকে নিয়ে ফেরার পথে অপহরণ হয় পার্শ্ববর্তী দিঘারপাড় মহল্লার এক ব্যবসায়ীর মেয়ে ও মমতাজ বেগম মেমোরিয়াল একাডেমির অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই ছাত্রী। এ ঘটনায় দিঘারপাড় মহল্লার মৃত জহুর আলী খলিফার ছেলে মমিন মিয়া (২৬) কে প্রধান আসামি করে স্থানীয় শামীম মিয়া (২৫), জুবাইদুল (৩২), রায়হান (২৫) ও পার্শ্ববর্তী প্রতাবিয়া শাকিল মিয়া (২০)সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় গত ২ এপ্রিল স্বপন নামে এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এসআইএইচ