লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন, বিদ্যুৎ অফিসে ভাঙচুর
টাঙ্গাইলের মধুপুরে ঘন ঘন লোডশেডিং ও দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ বন্ধ থাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে পল্লীবিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও ও ভাঙচুর করেছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ এর মধুপুর জোনাল অফিসে এ ঘটনা ঘটে। এতে অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ভয়ে অফিস থেকে পালিয়ে যায়।
বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা যায়, পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির মধুপুর জোনাল অফিসের অধীন গ্রাহকদের বিপরীতে ২২ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন। তবে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জামালপুরে ইউনাইটেড পাওয়ার সাপ্লাই কোম্পানি থেকে বিদ্যুৎ পাওয়া যায় ৭-৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। ফলে চাহিদা মতো বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছে না মধুপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিস। এতে সোমবার মধুপুর শহর ফিডারে ভোর থেকে ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল। বিদ্যুৎ না থাকায় মধুপুর কলেজের পরীক্ষা কেন্দ্রে চরম ভোগান্তিতে পড়েন শিক্ষার্থীরা।
পরে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা এক পর্যায়ে মধুপুর পল্লীবিদ্যুতের জোনাল অফিস ঘেরাও করে ভাঙচুর চালান শিক্ষার্থীরা। এতে যোগ দেন অনলাইন সংগঠন মধুপুরবাসী ফেসবুক গ্রুপের সদস্যরা। এ সময় বিদ্যুৎ অফিসের আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, পবিত্র রমজানের শুরুতেই বিদ্যুতের ব্যাপক লোডশেডিং শুরু হয়েছে। এ ছাড়া পরীক্ষার হলে বিদ্যুৎ না থাকায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। অপরদিকে, মধুপুর শহরের ফিডার নষ্ট হলেও তা মেরামত করা হয়নি।
পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির মধুপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম আবু মোহাম্মদ ইয়াহিয়া জানান, মধুপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির অধীন ২২ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন। সেখানে বিদ্যুৎ পাচ্ছি ৭-৮ মেগাওয়াট। ফলে বাধ্য হয়ে লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। প্রায় দুই মাস ধরে এ সমস্যা হচ্ছে। এতে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা বিক্ষোভ করে অফিসে ভাঙচুর চালিয়েছে।
এ বিষয়ে মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা ইয়াসমিন জানান, জামালপুর গ্রিডে সমস্যার কারণে মধুপুরে প্রয়োজনের তুলনায় কম বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন।
তিনি জানান, সংকট নিরসনে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তারা যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পল্লীবিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করেছিল। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি যাতে না ঘটে সে বিষয়ে প্রশাসন সজাগ রয়েছে।
এসএন