সেঁজুতি হত্যার রহস্য উদঘাটন
অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ায় প্রেমিকের হাতে খুন
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় স্কুলছাত্রী সানচিতা হোসেন সেঁজুতি হত্যার সাত দিন পর নিহতের প্রেমিক আব্দুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘাতক প্রেমিক আব্দুর রহমান কলারোয়া উপজেলার জালালাবাদ গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে ও কলারোয়ার হাবিবুল ইসলাম কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। প্রেমিকা সানচিতা হোসেন সেঁজুতি জালালাবাদ মাস্টারপাড়া গ্রামের পলাশ হোসেনের মেয়ে। অষ্টম শ্রেণিতে লেখাপড়া করত সে।
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসির উদ্দীন মৃধা জানান, 'সানচিতা হোসেন সেঁজুতির সঙ্গে প্রেমিক প্রতিবেশী আব্দুর রহমানের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গ্রেপ্তার হওয়া আব্দুর রহমান হত্যার কথা স্বীকার করেছে। সে জানিয়েছে, সেঁজুতির সঙ্গে তার গভীর প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও সম্প্রতি অন্য ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে সেঁজুতি। বিষয়টি মানতে পারেনি সে। এরপর প্রেমিকা সেজুতিকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। একপর্যায়ে গত ২৭ মার্চ (সোমবার) রাতে আব্দুর রহমান প্রেমিকা সেঁজুতিকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।'
তিনি আরও জানান, 'পালানোর সময়কালে কোনো একটি বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আব্দুর রহমান তার প্রেমিকা সেজুতিকে ধাক্কা দিলে পার্শ্ববর্তী বাড়ির দেওয়ালে আঘাত লেগে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তাৎক্ষণিক জ্ঞান না ফেরায় ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে আব্দুর রহমান গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সেঁজুতিকে। এরপর মরদেহ প্রতিবেশী আলাউদ্দিন সরদারের কৃষি ক্ষেতের কুল বাগানের ড্রেনের মধ্যে ফেলে দেয়। মরদেহটিও সে একাই ফেলেছে বলে স্বীকার করেছে।
ওসি আরও বলেন, 'তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ঘাতক আব্দুর রহমানকে রবিবার (৩ এপ্রিল) রাতে কলারোয়া পৌরসভার আফজালের মোড় এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আব্দুর রহমান আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেছে। জবানবন্দী শেষে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।'
প্রসঙ্গত, গত ২৮ মার্চ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সেঁজুতির মরদেহ উপজেলার জালালাবাদ মাস্টারপাড়া গ্রামের আলাউদ্দিন সরদারের কুল বাগানের ড্রেন থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত সেজুতির মা লায়লা পারভীন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে কলারোয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
টিটি/