শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪ | ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সাতক্ষীরায় বৈশাখকে রাঙাতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা

একটা সময় ছিল যখন গ্রাম বাংলার প্রতিটা ঘরের রান্না থেকে শুরু করে খাওয়া-দাওয়া, অতিথি অ্যাপায়ণসহ অধিকাংশ কাজেই মাটির তৈরি পাত্র ব্যবহার করা হতো। স্বাস্থ্যকর আর সহজলভ্য ছিল বলে সব পরিবারেই ছিল এই মৃৎশিল্পের ব্যবহার। কিন্তু কালের বিবর্তনে আজ হারিয়ে যেতে বসেছে শত বছরের ঐতিহ্যগত এই মৃৎশিল্প।

এই শিল্পের চাহিদা বছরের অন্য সব সময়ে না থাকলেও পহেলা বৈশাখের উৎসবে মাটির তৈরি জিনিসপত্রের কদর বেড়ে যায়। চৈত্রের রৌদ্রদগ্ধ দিন জানান দিচ্ছে দরজায় কড়া নাড়ছে পহেলা বৈশাখ।

আর সেই উৎসবকে ঘিরে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন সাতক্ষীরায় হারিয়ে যেতে বসা এই মৃৎশিল্পের অল্পসংখ্যক কারিগররা। মৃৎশিল্পীরা দক্ষ হাতের সুনিপুণ নৈপুণ্যে তৈরি করছেন মাটির তৈরি হাড়ি, কলস, ঢাকনা ও ঘর সাজানোর উপকরণসহ নানা ধরনের তৈজসপত্র।

লোকশ্রুতিতে জানা যায়, 'এক দশক আগেও দক্ষিণ জনপদের উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরায় খেঁজুর ও তালের রস সংগ্রহের জন্য মাটির তৈরি পাত্রের ব্যবহার করা হতো সর্বত্র। মাটির তৈরি খোলা (পাত্র), ফুল গাছের টপ, দধির পাতিল, টালি, ঘট, মুচি, মুটকি থালা-বাসনসহ বাচ্চাদের জন্য তৈরি করা হতো বিভিন্ন ধরনের খেলনা। এ সব তৈরির মূল উপকরণ হচ্ছে পরিষ্কার এঁটেল মাটি।

এ সকল জিনিসপত্র তৈরির কারিগররা 'কুমার' নামে পরিচিত। আর যে স্থানে এ সকল জিনিসপত্র তৈরি করা হয় সে স্থানকে সাতক্ষীরার ভাষায় 'পালপাড়া' বলা হয়। বর্তমানে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাবুলিয়া, সুলতানপুর, গড়েরকান্দা, ইটাগাছা, ধুলিহর, ঝাউডাঙ্গা, তালা উপজেলার নগরঘাটাসহ বিভিন্ন উপজেলার প্রায় ৪০০ পরিবার এ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। আর এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) সাতক্ষীরা কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ ব্যাপারে জেলার একাধিক কুমাররা ঢাকাপ্রকাশকে জানান, 'বংশ পরম্পরায় ও জীবিকা নির্বাহের তাগিদে এখনও মৃৎশিল্পের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন তারা। দূরদূরান্ত থেকে সংগ্রহ করা এঁটেল মাটি দিয়ে তৈরি করা পাত্রগুলোকে প্রথমে রোদে শুকিয়ে আগুনে পোড়ানো হয়। পরে শিল্পীর নিখুঁত হাতের ছোঁয়ায় রঙের তুলির আঁচড়ে ফোটানো সব চমৎকার নিদর্শন তৈরির পর সেগুলো সাইকেল, ভ্যান বা মাথায় করে দূরদূরান্তে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যেতেন তারা। আর তাতেই চলতো তাদের সংসার।'

'তবে বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়ায় ধাতব, মেলামাইন ও প্লাস্টিকের পণ্য সহজে বহনযোগ্য আর সস্তা মাটির তৈরি জিনিসপত্র আজ বিলীন হতে চলেছে। ফলে হারিয়ে যেতে বসেছে শত বছরের ঐতিহ্যগত এই মৃৎশিল্প।'

কুমারদের দাবি, 'তৈরিকৃত মাটি, উপকরণ ও পোড়ানোর খরচ বেশি হওয়ায় এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে গেছে অনেক পরিবার।'

এসময় তারা বলেন, 'বৈশাখ মাসটা তাদের পালনী মাস। এইজন্য চৈত্র মাসে তাড়াহুড়ো করে কাজ করেন। বৈশাখে মেলা হয় যেখানে তাদের পণ্যগুলো বিক্রি হয়। নতুন বছর শুরুর এই সময়টায় মৃৎশিল্পীদের তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি হয় বেশি। এ আয়ের ওপরই তাদের বছরের বাকি দিনগুলো চলায় সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার দাবি জানিয়েছেন তারা।'

এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা বাবুলিয়া গ্রামের দিলীপ কুমার পাল ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, 'আগে আমরা এখানে ২০-২৫টি পরিবার বিভিন্ন ধরনের মাটির জিনিসপত্র তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করতাম। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের ধাতব ও প্লাস্টিকের জিনিসপত্র বাজারে আসায় মাটির হাড়ি-পাতিল এর চলন উঠে গেছে। এখন আর আগের মতন বেচা-কেনা না থাকায় এ পেশা ছেড়ে অন্যের ক্ষেত-খামারে দিনমজুর দিয়ে ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন অনেকে।'

একই এলাকার অঞ্জনা রানী পাল ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, 'আমাদের মাটি দিয়ে এ সব তৈরি করার জন্য মাটিকে চটকিয়ে নরম করতে হয়। এতে বিভিন্ন সময় মাটিতে থাকা ঝিনুক, শামুক, ব্লেড ও কাঁচে আমাদের হাত পা কেটে যায়। সরকার যদি আমাদের কাঁদা মাটি চটকানোর জন্য মেশিন দেয় তাহলে আমাদের খুব উপকার হবে।'

একই এলাকার স্বপন পাল বলেন, 'যদি জাত পেশা না হতো তাহলে অন্য কাজ করতাম। আমাদের এখানে প্রায় ২৫টি পরিবার এই কাজ করত, কিন্তু এখন ৬-৭টি পরিবার এই পেশার সঙ্গে জড়িত রয়েছে। বাকিরা অন্য কাজ করছে।'

তালা উপজেলার নলীতা পাল বলেন, 'প্লাস্টিকের পণ্য বাজারে সয়লাব হয়ে গেছে। প্লাস্টিকের পণ্য সহজে বহনযোগ্য আর সস্তা হওয়ায় আমাদের এ ব্যবসা এখন আর ভালো নেই। অনেকেই এসে ছবি তুলে নিয়ে যায় কিন্তু কোনো ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা পাই না।'

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) সাতক্ষীরার উপব্যবস্থাপক গোলাম সাকলাইন ঢাকাপ্রকাশকে জানান, 'সাতক্ষীরা জেলায় প্রায় ৪০০ পরিবার এই মৃৎশিল্পের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। আমরা একটি এনজিওর মাধ্যমে তাদের তথ্য সংগ্রহ করে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করব। যাতে তারা উন্নতমানের বিভিন্ন ধরনের মাটির হাড়ি-পাতিল, শো-পিচ তৈরি করে বিদেশে রপ্তানির জন্য উপযোগী করতে পারবে।'

এসময় তিনি বলেন, 'জেলার ঐতিহ্যগত এই মৃৎশিল্প তৈরির জন্য আমাদের কাছে কেউ আবেদন করলে আমরা স্বল্প সুদে তাদের ঋণের ব্যবস্থা করে দিব।'

টিটি/

Header Ad

যুগ্মসচিব নিশাত রাসুলকে ওএসডি

নিশাত রাসুল। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় উন্নয়ন প্রশাসন অ্যাকাডেমির পরিচালক (যুগ্মসচিব) কাজী নিশাত রাসুলকে ওএসডি করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (যুগ্মসচিব) হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এতে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সই করেছেন উপসচিব মো. তৌহিদ বিন হাসান।

এতে আরও বলা হয়েছে, জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

Header Ad

সমন্বয়কদের ওপর হামলা হালকাভাবে দেখছে না সরকার: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের ওপর হামলার বিষয়টি সরকার হালকাভাবে দেখছে না বলে জানিয়েছেন পরিবেশবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাতে ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমির মিলনায়তনে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, সমন্বয়কদের ওপর হামলার বিষয়টিকে হালকাভাবে দেখার কোনো সুযোগ নেই। সমন্বয়করা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জাতিকে যেভাবে ঐক্যবদ্ধ করার প্রয়াস চালাচ্ছেন, তাদের বিবেককে যেভাবে জাগ্রত করছেন, এটা নিশ্চয়ই অনেকের স্বার্থে লাগবে। তাদের নিরাপত্তা বিষয়টি কেবিনেটে আলোচনা হয়েছে। তাদের যে নিরাপত্তার প্রয়োজন, এটা আলোচিত হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

তিনি আরও বলেন, সারা দেশের কোর্টের নিরাপত্তা নিয়ে কথা হয়েছে। সবাইকে সংযত থাকতে হবে, ধৈর্য ধরতে হবে। হয়ত আপনার দাবি যৌক্তিক, কিন্তু আপনার দাবি আদায়ের পদ্ধতি যদি বেআইনি, ধ্বংসাত্মক হয়ে যায় সেই ক্ষেত্রে ন্যায্য দাবিও পূরণ করতে পারবেন না। আজকে প্রধান বিচারপতিও উদ্বেগ জানিয়েছেন। আমরা সবাইকে বলবো, এই জাতীয় ধ্বংসাত্মক ও অবমাননামূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকুন। কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে অভিযোগ দায়ের করার প্ল্যাটফর্মে আছে। কিন্তু ধংসাত্মক প্রক্রিয়া বেচে নিলে কারও কোনো লাভ হবে না।

এসময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মো. শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad

এক সপ্তাহ পর বেনাপোল থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল শুরু

ফাইল ছবি

নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় ও স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের সাথে পরিবহন মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের ফলপ্রসূ আলোচনার পর বেনাপোল থেকে দূরপাল্লার সকল বাস ছাড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

পরিবহন মালিক সমিতি ও শ্রমিক সংগঠনের দাবি মেনে নেওয়ায় বাস চলাচলের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান বেনাপোল পরিবহন ম্যানেজার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান।

মিজান বলেন,নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে পরিবহন মালিক সমিতির সাথে এবং নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা ও বন্দর চেয়ারম্যানের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ১৫ জন পরিবহন মালিক বেনাপোলস্থ চারজন পরিবহন স্টাফ এবং নৌ উপদেষ্টা ও বন্দরের চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন।

সিদ্ধান্ত হয় এখন থেকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পরিবহন বাস বেনাপোল চেকপোস্টের বন্দর টার্মিনালে যাত্রী নামিয়ে সেখানেই অবস্থান করতে পারবে। বন্দর টার্মিনাল থেকে যাত্রী উঠিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হতে পারবে। এ সময় রাস্তায় কোনোভাবে কোনো বাস দাঁড়াতে পারবেনা। তবে আন্ত জেলার বাসগুলো বেনাপোল পৌর বাস টার্মিনালেই থাকতে হবে ।সেখানেই যাত্রী নামাবে এবং সেখান থেকেই যাত্রী উঠিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় যেতে হবে। আন্তজনের কোনো বাসকে বেনাপোল চেকপোষ্টে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। তিনি আরো বলেন আমাদের প্রস্তাবিত দাবি মেনে নেয়ায় বেনাপোল থেকে সকল পরিবহন বাস চলাচলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মামুন কবির তরফদার জানান, স্থলবন্দরের চেয়ারম্যান মানযারুল মান্নান স্যার আমাকে বেনাপোল স্থলবন্দর বাস টার্মিনাল খুলে দেওয়ার জন্য জানিয়েছেন। স্যারের নির্দেশ মোতাবেক টার্মিনালের গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। এখান থেকে ঢাকা থেকে যেসব পরিবহন গুলো বেনাপোল আসে সেসব পরিবহন চেকপোস্ট টার্মিনাল থেকে যাত্রী উঠাতে পারবে এবং যাত্রী নামাতে পারবে ।তবে রাস্তায় কোনো বাস দাঁড়াতে দেয়া হবেনা।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

যুগ্মসচিব নিশাত রাসুলকে ওএসডি
সমন্বয়কদের ওপর হামলা হালকাভাবে দেখছে না সরকার: উপদেষ্টা রিজওয়ানা
এক সপ্তাহ পর বেনাপোল থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল শুরু
আমাকে রংপুরের একজন উপদেষ্টা ভাববেন: ড. ইউনূস
দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে, এখন গড়ার পালা: তারেক রহমান
রেলের নতুন মহাপরিচালক হলেন আফজাল হোসেন
২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ছাপিয়ে ৬ ব্যাংককে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
বিচারককে ডিম ছুড়ে মারা আইনজীবীদের সনদ বাতিল হবে: খোকন
নাম থেকে ‘বচ্চন’ উপাধি ফেলে দিলেন ঐশ্বরিয়া, তবে কি বিচ্ছেদ চূড়ান্ত
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের পক্ষে নেই বিএনপি: মাহমুদুর রহমান মান্না
সংসদ সদস্য হিসেবে প্রথমবার সংসদে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, নিলেন শপথ
ইউক্রেনকে লক্ষ্য করে ১৮৮ মিসাইল-ড্রোন ছুড়ল রাশিয়া
৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, ক্যাডার পদ ৩ হাজার ৪৮৭
রাষ্ট্র সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ইসকন নিষিদ্ধের বিষয়টি দেখছে
৯ দফা দাবিতে সচিবালয়ে মহাসমাবেশের ডাক
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের দায় নিতে অস্বীকার ইসকনের
ঝাঁটাপেটা খেয়ে পালিয়ে দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে: সোহেল তাজ
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি বিকেলে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে
বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ
রাজধানীতে হাসনাতকে আবারও ট্রাক চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা