বরিশালে রোজার বাজারে বিভিন্ন নিত্যপণ্যের চড়া দাম
রমজান মাসে বরিশালের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। তার মধ্যে গত সপ্তাহের তুলনায় করলা, ধনেপাতা, বেগুন, শসা, গাজরসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। মুরগি ও গরুর মাংসের দাম আগে থেকেই চড়া। এ ছাড়াও মাছের বাজার ও ফলের বাজারে ব্যপক দাম বেড়েছে।
রবিবার (২ এপ্রিল) নগরীরর পোর্ট রোড, নতুন বাজার, বাংলা বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। নতুন বাজার ঘুরে দেখা যায়, স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় ক্রেতার ভিড় বেড়েছে। কেউ কেউ অন্যান্য সময়ের তুলনায় বাড়তি পণ্য কিনছে। তাই বাজারে ক্রেতাদের চাপ থাকায় দোকানিরা গত সপ্তাহের তুলনায় বাড়তি দাম হাঁকাছেন বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা।
কয়েকজন ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রমজান মাস শুরু হয়েছে। রোজা রেখে অফিস করে বার বার বাজারে যাওয়া-আসা কষ্টকর। তাই এক সঙ্গে বেশ কয়েক দিনের কেনাকাটা করছেন তারা। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় আজকের বাজার দর একটু বেশি বলে জানান ক্রেতারা।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি ঢেড়শ ৫০ টাকা, বরবটি ও করলা ৬০ টকা, শসা ও বেগুন ৭০ টাকা, টমেটো ২৫ টাকা, ক্যাপসিক্যাপ ১০০ টাকা, ধনেপাতা ১২০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা ও কাঁচামরিচ ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়াও প্রতি কেজি আলু ১৭ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৩০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ২৫ টাকা, দেশি আদা ৮০/১০০ টাকা, রসুন ৫০/১৩০ টাকা, চিনি ৭৮ টাকা, প্যাকেট চিনি ৮৫ টাকা, প্যাকেট আটা ৪৫ টাকা ও প্যাকেট ময়দা ৫৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে খোলা সয়াবিন প্রতি কেজি ১৬০ টাকা এবং বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বোতলজাত সয়াবিন তেলের লিটার ১৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড় দানার মসুর ডাল ৯৫/১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রমজান মাসকে ঘিরে ইফতারে ছোলা ও খেজুর চাহিদা থাকে ব্যাপক। তাই খুচরা বাজারে প্রকারভেদে ২৫০ থেকে ৯৫০ টাকা প্রতি কেজি খেজুর বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে ছোলা ৭৫-৮০ টাকা, বেসন ৮০-১০০ টাকা, মুড়ি ১২০ টাকা ও চিড়া ৬০/৬৫ টাকা, জিলাপি ১০০-১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে সরু, মোটা ও মাঝারিসহ প্রায় সব ধরনের চালের দাম আগের মতোই রয়েছে।
নতুন বাজারের খুচরা মুদি দোকানি মো. জাহিদ বলেন, রমজান মাস তাই স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বাজারে ক্রেতার ভিড় বেড়েছে। এই সুযোগে অনেক ব্যবসায়ী, দোকানদার অথবা খুচরা বিক্রেতাদের মধ্যে কেউ কেউ দাম বাড়ানোর সুযোগ খুঁজছে। তবে আমার দোকানে গত সপ্তাহে যে দামে পণ্য দ্রব্য বিক্রি হয়েছে, সেই দামই ক্রেতাদের কাছে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।
এই রোজার মাসকে ঘিরে বিভিন্ন ফলের চাহিদাও থাকবে ব্যাপক। তাই ফলের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি কেজি দরে আঙ্গুর ২৪০ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮০ টাকা, নাসপতি ২২০-২৪০ যা গত সপ্তাহে ছিল ২১০-২৩০ টাকা, মালটা ১৯০ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০ টাকা, কমলা ১৬০-২০০ টাকা, ব্যদানা ১৮০-২০০ টাকা, ফুজি ও হানি আপেল ১৭০-১৬০ টাকা কিক্রি হচ্ছে।
এসআইএইচ