খেলেন জুতাপেটা, থানায় মামলা চুরির!
সিলেটে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রকাশ্যে জুতোপেটা করলেন আরেক সাবেক চেয়ারম্যান। তারা দু’জনই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এ ঘটনার একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর বিশ্বনাথ উপজেলাজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (১ মার্চ) রাতে সিলেটের বিশ্বনাথে। জুতোপেটার শিকার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের নাম লিলু মিয়া। তিনি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও অলংকারী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। লিলু মিয়াকে জুতোপেটা করেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক জেলা বিএনপি নেতা সুহেল আহমদ চৌধুরী।
এ ঘটনার জেরে পরদিন শনিবার (২ এপ্রিল) বিশ্বনাথ থানায় বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লিলু মিয়া একটি চুরির মামলা (নং-৩) দায়ের করেন। মামলার এজাহারে দুই জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ছাড়া অজ্ঞাত পরিচয়ের সাত-আট জনকে আসামি করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত দুই আসামি হলেন- সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরী ও জাহাঙ্গীর আলম নামের এক যুবদল নেতা।
স্থানীয় সূত্রে জানায়, শুক্রবার (১ মার্চ) রাতে লিলু মিয়া বিশ্বনাথ থেকে সিলেটে যাওয়ার জন্য গাড়িযোগে রওনা হয়েছিলেন। পথে সুহেল আহমদ চৌধুরী তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে উপজেলা সদরের কারিকোনা মসজিদের সামনে নিয়ে জুতাপেটা করেন।
এ বিষয়ে জানতে জুতোপেটার শিকার হওয়া সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান লিলু মিয়াকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। অন্যদিকে সুহেল আহমদ চৌধুরীর ব্যবহৃত নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি জালাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমার সহযোদ্ধা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লিলু মিয়া শুক্রবার (১ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে বিশ্বনাথ থানা মসজিদের সামনে সুহেল চৌধুরী নামের ডাকাতের হাতে লাঞ্চিত হয়েছেন। তিনি আমাদের দলের কেউ নয়। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী আতাউর রহমান মামলার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বাদী লিলু মিয়া তার এজাহারে উল্লেখ করেছেন যে শুক্রবার রাতে পূর্ব বিরোধের জের ধরে বিশ্বনাথ রশিদপুর রোডের কারিকোনা মসজিদের কাছে আসামিরা বাদীকে আটকে রেখে মারধর করে টাকা পয়সা নিয়ে গেছে। ঘটনাটি তদন্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এমএসপি