নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ কিশোরের মরদেহ উদ্ধার
মায়ের সঙ্গে নদীতে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার ২৪ ঘণ্টা পর রিফাত (১২) নামের এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয় লোকজন।
নিহত রিফাত (১২) পটুয়াখালী সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড মাদারবুনিয়া গ্রামের অন্তর্ভূক্ত ভাগিরথ (কুড়ালিয়া) গ্রামের আফজাল মাঝির ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গতকাল (২ এপ্রিল) শনিবার আনুমানিক দুপুর ১২টার সময় মায়ের সঙ্গে নদীতে গোসল করতে যান রিফাত ও তার ছোট বোন ফাতিমা (৮)। গোসল করে বাড়ি ফিরে আসার পথে পায়ে কাঁদা লেগে যাওয়ায় আবারও পা ধোয়ার উদ্দেশে একাই নদীর ঘাটে যান রিফাত। পরবর্তীতে প্রায় আধা ঘণ্টা সময় অতিবাহিত হলেও রিফাত ফিরে না আসায় তার মা অনেক খোজাখুঁজি করে নদীর ঘাটে গেলে রিফাতের পরিধানকৃত জুতা দেখতে পান। পরে নদীর ঘাটের আশপাশেও রিফাতকে খুঁজে না পেয়ে চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন এবং নদীতে নেমে অনেক খুঁজে ব্যর্থ হন। তারা বিষয়টি পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিসকে অবহিত করলে ফায়ার সার্ভিসের একটি রিসকিউ টিম প্রায় ৩ ঘণ্টা যাবত উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে ব্যর্থ হন।
পরদিন রবিবার (৩ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে নিখোঁজ হওয়ার স্থানেই স্রোতের সঙ্গে ভাসমান অবস্থায় রিফাতের মরদেহ দেখতে পান এবং উদ্ধার করেন স্থানীয় লোকজন। এ সময় তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তার নিজ বাড়িতে দাফনের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
নিহত রিফাত সাতার জানতেন। সাতার জানলেও খিচুনি রোগে আক্রান্ত থাকার কারণে সাতার কাটতে না পারায় তার পানিতে ডুবির ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য ঢাকাপ্রকাশকে জানান, এ ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি।
অত্র ঘটনায় বিশেষজ্ঞদের মতামত, ‘প্রতিবছর এমনভাবেই হাজারো শিশুর পানিতে ডুবির ঘটনা ঘটে। এমন ঘটনা থেকে পরিত্রাণ পেতে দরকার আরও পারিবারিক সচেতনতা। বিশেষ করে খিচুনি আক্রান্ত সকল বয়সী মানুষের প্রতি বিশেষ পারিবারিক খেয়াল রাখার অনুরোধ রইল।’
এসআইএইচ