সবুজে ছেয়ে গেছে সিরাজগঞ্জের বিস্তীর্ণ মাঠ
দিগন্তজুড়ে এখন শুধু সবুজ আর সবুজ। মাঠে মাঠে সবুজের ঢেউ খেলছে। মাঠজুড়ে বোরো ধানের বাড়-বাড়ন্ত। দিন যত যাচ্ছে ধানগাছ ততই বেড়ে উঠছে। প্রতিদিনই পাল্টে যাচ্ছে ধানের চেহারা। হালকা বাতাসে দোল খাচ্ছে বোরো ধানের গাছগুলো। ফসলের সঙ্গে সঙ্গে আনন্দে মন দুলছে কৃষকদের। কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছে শেষে সময়ে ধানক্ষেত পরিচর্যা ও সেচ দেওয়ায়। কষ্টের ফসল ঘরে তুলতে আশায় দিন গুনছেন কৃষকরা।
জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, সিরাজগঞ্জ জেলার ৯টি উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এবার জেলায় মোট ১ লাখ ৪১ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানরে চাষ করেছেন কৃষকরা।
সরেজমিনে সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে, বোরো ফসলের মাঠে এখন সবুজের সমারোহ। বোরো ধানের চারাপাতা ছেড়ে দিয়ে গাঢ় সবুজ থেকে কালচে সবুজ রং ধারণ করেছে। মাঠে ফসলের পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষকরা।
কেউবা ক্ষেতে দিচ্ছেন নিড়ানী, আবার অনেকে প্রয়োগ করছেন সার। বাতাসে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন। কৃষকরা তাদের ধানের জমিতে ঘুরছেন আর স্বপ্ন দেখছেন তাদের কষ্টের সোনালী ফসল ঘরে তোলার।
উল্লাপাড়া উপজেলার হাটিকুমরুলের কৃষক হাবিবুর রহমান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, এ বছর আমার ১২ বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছি। ধানের দাম ভালো হওয়ায় গত বছরের চেয়ে এবার দু’বিঘা জমি বেশি ধান চাষ করেছি। যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না আসে, তাহলে এ বছর ধানের ভালো ফলন পাবো আশা করছি। গত মৌসুমের মতো ধানের দামও ভালো পাবো।
অপর কৃষক আব্দুর রহমান জানান, ধানগাছ বড় হয়েছে, কিছু দিনের মধ্যে শীষ বের হবে। এখন আমরা ক্ষেতের আগাছা পরিষ্কার করে পোকা দমন কিটনাশক প্রয়োগ করছি। গত বছরের চেয়ে এবার ধান চাষে খরচ বেশি হচ্ছে। খরচ বেশি হলেও আবহাওয়া ভালো থাকলে ভালো ফলন পাওয়া যাবে।
সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আহসান শহীদ সরকার বলেন, এ বছর জেলায় মোট ১ লাখ ৪১ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানরে চাষ করেছেন কৃষকরা। গত বছরের চেয়ে এ বছর বোরোর ভালো ফলন হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ প্রদান করছেন। ধানের দাম ভালো থাকলে কৃষকরা লাভবান হবে।
এমএসপি