নেত্রকোনায় ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী
নেত্রকোনার মদনের পল্লীতে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সাব্বির মিয়া (১৭) নামের এক কলেজ ছাত্রের বিরুদ্ধে। ধর্ষণে ওই কিশোরী ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় আদালতে ধর্ষক-ধর্ষিতার বিয়ের সিদ্ধান্ত দেয় গ্রাম্য সালিশী বৈঠক।
বুধবার (৩০ মার্চ) বিয়ের জন্য ওই ছাত্রীকে নেত্রকোনা আদালতে পাঠানো হয়। বর-কনে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়ায় তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়নি। অভিযুক্ত সাব্বির মিয়া উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়ের বারড়ী গ্রামের হিরণ মিয়ায় ছেলে।
ভুক্তভোগী মেয়েটির পরিবার ও স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী মেয়েটি স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। মেয়েটির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে বারড়ী গ্রামের হিরণ মিয়ার ছেলে সাব্বির। বিয়ের প্রলোভন দিয়ে মেয়েটি একাধিকবার ধর্ষণ করে সাব্বির। এতে এক পর্যায়ে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
বিষয়টি মেয়েটির পরিবারের লোকজন স্থানীয় মাতাব্বর ও জনপ্রতিনিধিকে জানালে মীমাংসার জন্য কয়েক দফা সালিশী বৈঠক হয়। সালিশে মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) রাতে সিদ্ধান্ত হয়, ভুক্তভোগী মেয়েটির সঙ্গে সাব্বিরের বিয়ে দেওয়ার। বুধবার (৩০ মার্চ) বিয়ের জন্য দুই পরিবারের লোকজন আদালতে চলে যায়।
মেয়েটির মা বলেন, কয়েকদিন ধরে আমার মেয়ের শারীরিক পরিবর্তন দেখে বুঝতে পারি সে অন্তঃসত্ত্বা। পরে ধর্ষণের বিষয়টি খুলে বললে গ্রামের মাতাব্বরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। আমার মেয়ে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় বিষয়টি মেনে নিয়ে বিয়ের জন্য আদালতে গিয়েছিলাম। ছেলে-মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় তাদের বিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে, অভিযুক্ত সাব্বিরের বাবা হিরণ মিয়া জানান, আমার ছেলের কর্মকাণ্ডে আমি লজ্জিত।
কাইটাইল ইউপি চেয়ারম্যান সাফায়াত উল্লাহ রয়েল জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। এ নিয়ে এলাকায় সালিশী বৈঠক হয়েছে। এটা আইনি প্রক্রিয়ায় শেষ করার জন্য বলে দিয়েছি।
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। এ বিষয়ে যদি কেউ অভিযোগ দেয় তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমএসপি