প্রেমের বিয়ের তিন মাসের মাথায় নববধূকে হত্যা, গ্রেপ্তার ৩
পটুয়াখালীর গলাচিপায় প্রেমের বিয়ের তিন মাসের মধ্যেই নববধূ রুমানা আক্তার (১৯) কে নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর ওই নববধূর লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায় স্বামী ও তার স্বজনরা। খবর পেয়ে পুলিশ গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এরপর মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) রাতে ডাকুয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বুধবার (৩০ মার্চ) তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত রোমানা আক্তার (১৯) ওই গ্রামের বেল্লাল হাওলাদারের (২৮) স্ত্রী ও দশমিনা উপজেলার পশ্চিম আলীপুরা গ্রামের বাবুল হাওলাদারের মেয়ে। আর গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-নববধূর দেবর টিপু ফেরদাউস (১৮), শাশুড়ি ঝরনা বেগম (৪৫) ও ননদ সীমা বেগম (২২)।
জানা গেছে, এ ঘটনায় বাদী হয়ে গলাচিপা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন ওই নববধূর মা সাজেদা বেগম (৪৫)। মামলায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাত ২/৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, পারিবারিক সম্মতিতে গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের ছোট চতরা গ্রামের শহিদুল হাওলাদারের ছেলে বেল্লাল হাওলাদারের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী দশমিনা উপজেলার আলীপুরা ইউনিয়নের পশ্চিম আলীপুরা গ্রামের বাবুল হাওলাদারের মেয়ে রোমানা বেগমের গত তিন মাস আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রোমানার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়। ক্রমেই নির্যাতনের মাত্রা বাড়তে থাকে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শ্বশুর বাড়ি থেকে লাশ হয়ে ফিরেন নববধূ রোমানা। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালীর মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই টিপু ফেরদাউস, ঝরনা বেগম ও সীমা বেগমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমআর শওকত আনোয়ার ইসলাম ঢাকাপ্রকাশকে জানান, নববধূর গলায় নখের আঁচড় ও জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় দেবর, ননদ ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
এসআইএইচ