নাটোরে ছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় মাদ্রাসা অধ্যক্ষ গ্রেপ্তার
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার দাসগ্রাম ফাজিল মাদ্রাসার এক ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বুধবার (৯ মার্চ) দিবাগত রাতে লালপুর উপজেলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলা দায়েরের পর থেকে পলাতক ছিলেন তিনি।
নাটোর র্যাব অফিসের কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফরহাদ হোসেন এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বরাত দিয়ে তিনি জানান, গত ৬ মার্চ ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বাদী হয়ে বড়াইগ্রাম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টায় বড়াইগ্রাম উপজেলার দাসগ্রাম ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হযরত আলী (৬০) একই মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া দুজন ছাত্রীকে কাগজপত্রের ভুল ঠিক করার জন্য মাদ্রাসায় ডাকে। ছাত্রীদ্বয় মাদ্রাসায় গেলে তাদেরকে নিজ অফিস কক্ষে ডেকে একজন ছাত্রীকে ১০০ টাকা দিয়ে দোকানে পাঠান এবং দরজা বন্ধ করে অপর ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ভিকটিম চিৎকার করলে তিনজন ছেলে জানালা দিয়ে দেখে ফেললে অধ্যক্ষ ওই ছাত্রীকে ছেড়ে দেয়। ভিকটিম ও তার পরিবারের লোকজন সামাজিক মর্যাদা ও মান সম্মানের কথা চিন্তা করে বিষয়টি চেপে রাখলেও পরবর্তীতে বিষয়টি প্রকাশ হয়। এরপর ভিকটিমের মা বাদী হয়ে অভিযুক্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বড়াইগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করেন।
এরপর থেকে পলাতক ছিলেন অভিযুক্ত অধ্যক্ষ হযরত আলী। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশে গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করে র্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রাতে লালপুর থানা এলাকা থেকে হযরত আলীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় র্যাব।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হযরত আলী ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার বিষয়টি স্বীকার করেছে।
এসআইএইচ