রংপুরে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদকে রুখতে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদমুক্ত দেশ গড়তে প্রতিটি জায়গায় সাংস্কৃতিক আন্দোলনকে ছড়িয়ে দিতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে বলে জানিয়ছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
তিনি বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে রুখতে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। জনগণের মাধ্যমে প্রত্যেকটি অঞ্চলে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডকে ছড়িয়ে দিতে হবে। কোনো সংস্কৃতিকর্মী জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত নয়। সকল পেশার মানুষের মধ্যে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হবার প্রবণতা দেখা গেলেও সংস্কৃতিকর্মীদের মধ্যে এটা নেই। এখন পর্যন্ত দেশের কোথাও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কাউকে জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত হতে দেখা যায়নি।
বুধবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে জাতীয় পিঠা উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্টপোষকতায় রংপুরে প্রথমবারের মতো এ উৎসবের আয়োজন করেছে জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদ।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, রংপুরে আগামী বছর থেকে ভাওয়াইয়া উৎসব করা হবে। এখন থেকে প্রতি বছর যাতে ভাওয়াইয়া উৎসব হয়, সেই ব্যবস্থা করা হবে। শুধু পিঠা উৎসব, ভাওয়াইয়া উৎসব নয়, আমরা সব ধরনের লোকজ ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডকে বেগবান করতে চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমাদের সবার চাওয়া প্রতি বছর এ ধরনের উৎসবের আয়োজন করা হোক। এ জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় পাশে থাকবে।
পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে পাঁচ দিনব্যাপী এই উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন অতিথিরা। আলোচনা অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, পিঠার সঙ্গে বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক। গ্রামীণ সংস্কৃতি বাঁচিয়ে রাখতে হলে নতুন প্রজন্মের কাছে পিঠা তৈরির গালগল্প তুলে ধরতে হবে। একেকটি পিঠার সঙ্গে নারীর অন্তরে থাকা শৈল্পিক চিন্তার প্রকাশ ঘটে। একটা সময় শীতের মৌসুমজুড়ে গ্রাম বাংলার বাড়ি বাড়ি ও হাট-বাজারে বাহারি পিঠা তৈরি করতে দেখা যেত। সেই পুরোনো ঐতিহ্য যাতে হারিয়ে না যায়, এ জন্য পিঠা উৎসব। ঢাকার বাইরে প্রথমবারের মতো এটি রংপুরে জাতীয় পিঠা উৎসব।
তারা আরও বলেন, পাঁচ দিনের এই উৎসবে ৩০টি স্টলজুড়ে রয়েছে বাহারি নামে পিঠার পরসা। উৎসব প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। পিঠা উৎসবের পাশাপাশি দর্শনার্থীদের মন মাতাতে প্রতিদিনই থাকবে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। এই উৎসব থেকে সেরা পাঁচ পিঠা শিল্পীকে সম্মাননা প্রদান করা হবে।
রংপুর বিভাগীয় আহ্বায়ক বিপ্লব প্রসাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পুলিশের রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য, জেলা প্রশাসক আসিব আহসান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শাহ আলম, রংপুর বিভাগীয় সদস্য সচিব আশরাফুল আলম আল-আমিন।
এসআইএইচ