কুষ্টিয়ায় রাসেলস ভাইপারের কামড়ে ছয় ঘণ্টার ব্যবধানে ২ জনের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত
কুষ্টিয়ায় ভয়ংকর বিষধর রাসেলস ভাইপার সাপের কামড়ে মাত্র ছয় ঘণ্টার ব্যবধানে দুই কৃষকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৮ মে) কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. হোসেন ইমাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, উভয় রোগীই গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে আসেন। বিষক্রিয়া দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় তাদের বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে বুধবার ভোররাতে। দৌলতপুর উপজেলার গবরগাড়া গ্রামের কৃষক আশরাফুল হোসেন কালু (৩৫) মঙ্গলবার গভীর রাতে স্থানীয় একটি আমবাগানে গেলে রাসেলস ভাইপারের ছোবলে আহত হন। পরিবারের সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কিন্তু ভোররাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
পরবর্তী মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায়। কুমারখালী উপজেলার চর জগন্নাথপুর গ্রামের কামরুল প্রামানিক (৫০) সকালবেলায় নিজ গ্রামের একটি কলা বাগানে কাজ করছিলেন। এ সময় রাসেলস ভাইপার সাপের ছোবলে তিনি আহত হন। তবে আশ্চর্যজনকভাবে কামরুল সাপটিকে মেরে ফেলেন এবং সাপটি হাতে নিয়ে নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন। পরে তাকে দ্রুত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও ঘণ্টাখানেকের মধ্যে তার মৃত্যু হয়।
কামরুলের ভাতিজা বিপুল প্রামানিক বলেন, “চাচা সাপটি মেরে বাড়ি নিয়ে এসেছিলেন। আমরা তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাই, কিন্তু ততক্ষণে বিষ শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।”
একইভাবে আশরাফুল হোসেন কালুর পরিবারের সদস্যরা জানান, “কালু রাতে আম বাগানে গিয়েছিলেন। হঠাৎ সাপে কামড় দিলে আমরা তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসি। কিন্তু ভোর হতেই সব শেষ।”
ডা. হোসেন ইমাম বলেন, “রাসেলস ভাইপার একটি অত্যন্ত বিষাক্ত সাপ। কামড়ের পরপরই দ্রুত চিকিৎসা না পেলে রোগীর মৃত্যু প্রায় নিশ্চিত। আমাদের এখানে প্রতিনিয়ত সাপের কামড়জনিত রোগী এলেও রাসেলস ভাইপারের বিষের ধরন ভিন্ন এবং বিপজ্জনক।”
