দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে ৭৩ নম্বর পেয়েও অনেক শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, অন্যদিকে বিভিন্ন কোটায় ৪১-৪৬ নম্বর পেয়ে আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থীর মিলেছে ভর্তির সুযোগ।
ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থী- অভিভাবকরা। ফলাফল পুণরায় প্রকাশ করার দাবিও উঠেছে জোরেসোরেই।
এদিকে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রের, মন্ত্রণালয়ের নয় বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, আপনারা জানেন যে, কোটা বাতিলের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে আদালত থেকে যে রায় দেওয়া হয়েছিল, সেখানে মূল পরিবর্তন হলো নাতি-নাতনির পরিবর্তে পরবর্তী প্রজন্মের বদলে সন্তান বলা হয়েছে। অতএব কোটার বিষয়টিতে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে এটা একটা নীতিগত সিদ্ধান্ত। এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষাও প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী হয়েছে। তারপরও এটা স্ক্রুটিনি করা হবে।
তিনি আরও বলেন, এই ১৯৩ জনের মধ্যে খুবই আনইউজুয়াল হবে যাদের বয়স ৬৭-৬৮ এবং যাদের সন্তান থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। সেখানে যদি কোনো ত্রুটি ধরা পড়ে তাহলে সেটা দেখা হবে। এমবিবিএস পরীক্ষায় মূল কোটা থাকবে কি থাকবে না এই নীতিগত সিদ্ধান্তটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নয়, এটি রাষ্ট্রের। আগামী ২৭, ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি যাচাই করা হবে।