শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৬ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আন্দোলনে নিহত মাসুদ রানার শিশুকন্যা আরাবি সবার মাঝে খুঁজে ফিরছে বাবাকে

নিহত মাসুদ রানা ও তার একমাত্র শিশুকন্যা আরোবি ফেরদৌস। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

রাজধানী ঢাকায় ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানে অংশ নিয়ে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন চুয়াডাঙ্গার কয়রাডাঙ্গা গ্রামের কৃষক পরিবারের সন্তান মাসুদ রানা (৩৫)। তবে একমাত্র শিশুকন্যা আরোবি ফেরদৌস জানে তার বাবা আর ফিরবে না। তবুও অবুঝ মন সবার মাঝে খুঁজে ফিরছে বাবাকে।

অন্যান্য দিনের মতো গত ৪ আগস্ট বিকালে মিরপুর-১০ নম্বরে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতাকে পানি সরবরাহ করেন মাসুদ। এসময় আকস্মিকভাবে পুলিশের ছোড়া গুলি এসে লাগে তার মাথায়। এতে মারাত্মকভাবে জখম হন মাসুদ রানা। সহকর্মীরা তৎক্ষণাৎ তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওইদিন রাতেই তিনি মারা যান।

মাসুদ রানা ঢাকার মিরপুর ১ নম্বরে বিদেশি একটি লিফট কোম্পানিতে চাকরিরত ছিলেন। মিরপুরেই স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস সাফা ও ৩ বছর বয়সী কন্যা আরোবি ফেরদৌসকে নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। ঘটনার দিন ৪ আগস্ট সকালে নিজ অফিসে যান। সেখান থেকে এক বন্ধুর জন্য অফিস দেখতে যান। বিকালে পৌনে পাঁচটার সময় অফিস থেকে বেরিয়ে সেই বন্ধুকে সাথে করে বোতলজাত পানি নিয়ে মিরপুর ১০ নম্বর এলাকায় যান। সেখানে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতাকে খাবার পানি দেওয়ার সময় পিছন দিক থেকে পুলিশ তার মাথায় গুলি করে। গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।

সহকর্মী ও আন্দোলনকারীরা তাকে প্রথমে স্থানীয় আলোক হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করায়। সেখানে মাসুদ রানার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় ঐদিনই সন্ধ্যায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে রাজধানীর শ্যামলী নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানেই আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঐদিনই রাত সোয়া ১টার সময় সে মারা যান। রাতেই স্বজনরা নিহতের মরদেহ নিয়ে বিকাল সাড়ে ৩ টায় তার গ্রামের বাড়ি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কয়রাডাঙ্গা গ্রামের স্থানীয় মাদ্রাসা ও এতিমখানা কবরস্থানে সমাহিত করে হাজারো মানুষ শোকাবহ বেদনা বিধুর পরিবেশে। মাসুদ রানার এই অস্বাভাবিক মৃত্যুতে পিতা হারিয়েছেন বাকশক্তি, আর মাতার চোখ থেকে সব সময় জলের ধারা গড়িয়ে পড়ছে। বড়ভাই ছোট ভাই হারানোর শোকে হতবিহ্বল। স্ত্রী অসময়ে স্বামীকে হারিয়ে কান্নার শক্তিও হারিয়েছেন। ৩ বছরের মিষ্টি মেয়েটি উপস্থিত সকলের মাঝে তার বাবাকে খুঁজে ফিরছে অহর্নিশি।

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নের কয়রাডাঙ্গা গ্রামের কৃষিজীবী রায়হান বিশ্বাসের ৩ ছেলে ও ২ মেয়ের মধ্যে মাসুদ রানা ছিল সবার ছোট। রানার মায়ের নাম জাহানারা বেগম। মাসুদ রানা গ্রামের প্রাইমারি স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে পার্শ্ববর্তী গোকুল খালী হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাশ করে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কমপ্লিট করেন। এরপর তিনি ঢাকায় একটি লিফট কোম্পানিতে এক্সিকিউটিভ অফিসার পদে চাকরি শুরু করেন। সর্বশেষ তিনি নিজেই বিদেশ থেকে লিফট ইমপোর্ট করে দেশে বাজারজাত করে আসছিলেন।

দেশব্যাপী জুলাই মাসে গড়ে ওঠা শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের শেষ মুহূর্তে ছাত্র-জনতার এক কাতারে সম্পৃক্ততার কারণে আন্দোলনে গতি পায়। এর চূড়ান্ত পর্যায়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের এক দফা ঘোষণার ফলে আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ হয়। এ পর্যায়ে এসে অনেক সহৃদয় ব্যক্তির মত মাসুদ রানাও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রতি অন্তর থেকে গভীর টান অনুভব করেন। সেই তাগিদ থেকেই সে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও জনতার মাঝে নিয়মিতভাবেই খাবার পানি সরবরাহ করে আসছিলেন।

এই উদ্দেশ্যেই তিনি অন্যান্য দিনের মতো কয়েকজন সহকর্মীকে সাথে নিয়ে ৪ আগস্ট বিকাল পাঁচটার দিকে মিরপুর ১০ এলাকায় আন্দোলনরতদের মাঝে বোতলজাত খাবার পানি নিয়ে উপস্থিত হন। পানি সরবরাহের এক পর্যায়ে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে গুলি ছোড়ে। পিছন দিক থেকে মাথায় গুলি লাগলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। রাতেই হাসপাতালে নির্মমভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এভাবে মুহূর্তের মধ্যে শেষ হয়ে যায় একটি পরিবারের আশা আকাঙ্ক্ষা এবং বেঁচে থাকার কোন অবলম্বন। ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সরবরাহকৃত মাসুদ রানার ডেথ সার্টিফিকেটে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর কারণ উল্লেখ রয়েছে।

নিহত মাসুদ রানার মা জাহানারা বেগম বলেন, আমার ছোট ছেলে কত আদরের জীবনে কত কষ্ট করে তাকে লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষ করেছি। ঢাকায় গেলো ব্যবসা করতে। কীভাবে কী হয়ে গেল এখন আমার ছেলেকে কোথায় পাব? কে তাকে ফিরিয়ে দেবে? পরিবার নিয়ে পথে বসার মত অবস্থায় পড়েছি।

বড়ভাই ব্যবসায়ী বাবুল আকতার বলেন, রানা আমাদের পরিবারের সকলের ছোট, সবার আদরের। তাকে আমরা ঢাকাতে পাঠাতে চাইনি, কিন্তু সে ঢাকাতে যায় সেখানে লেখা পড়া শেষ করে একটি লিফট কোম্পানিতে চাকরি করতো । এখন সে নিজেই একটা অফিস করে কোম্পানি খুলে ব্যবসা করে আসছিলেো। আল্লাহর রহমতে সে অনেক ভালো ছিল । আজকে সরকারের হঠকারী সিদ্ধান্তে সে মারা গেছে। ঘটক পুলিশের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।

নিহত মাসুদ রানার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস সাফা বলেন, ঐদিন সকালে আমি তাকে বের হতে নিষেধ করেছিলাম, বললাম আজকে তো দেশের অবস্থা অনেক খারাপ তুমি বাইরে যেও না। কিন্তু সে আমাকে বলল অফিসে কাজ আছে। আমি তাড়াতাড়ি ফিরে আসবো। সারাদিন তাকে অনেকবার ফোন দিয়েছি তাকে ফোনে পাইনি। এরপর সন্ধ্যার পরে তার এক বন্ধু আমাকে ফোন দিয়ে জানাই সে গুলি খেয়ে হাসপাতালে আছে। আমি হাসপাতালে গিয়েছি আমাকে কেউ তার কাছে যেতে দেয়নি সে আইসিইউতে ছিল রাত সোয়া ১ টার দিকে সে মারা যায়। আমাকে তারপরে তার কাছে যেতে দেয়া হয়। আমি এত ছোট মেয়েটাকে নিয়ে এখন কোথায় যাবো কি করবো? আমার স্বামীর হত্যার বিচার চাই, যারা আমার এই অবুঝ বাচ্চাটাকে এতিম করলো আমি তাদের বিচার চাই।

চিৎলা ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আলমগীর হোসেন বলেন, মাসুদ রানা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র-জনতার সাথে ছিলেন। সে পুলিশে গুলিতে নিহত হয়েছেন সে একজন ভালো মানুষ ছিলেন। আমি দাবি জানাবো এই অসহায় পরিবারের প্রতি সরকার যেন একটু সুদৃষ্টি দেয়।

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনা নিজ হাতে তার বাবাকে দ্বিতীয়বার হত্যা করেছে: গয়েশ্বর

ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ হাতে তার বাবা শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘দ্বিতীয়বার হত্যা করেছেন’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সালমান ওমর রুবেলের আয়োজনে ফ্রি চক্ষু ক্যাম্প অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

১৫ আগস্টের কথা উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, এক ১৫ আগস্টে (১৯৭৫ সাল) শেখ মুজিবুরের জানাজায় লোক পেলাম না, আর এত বছর পরে ১৫ আগস্টে (২০২৪ সাল) কোনো জায়গায় মাহফিলের আওয়াজ পেলাম না। এতে বলা যায়, শেখ হাসিনা নিজ হাতে তার বাবাকে দ্বিতীয়বার হত্যা করেছেন।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা তার বাবাকে এমন মারা মেরেছে যে মসজিদে তার জন্য দোয়া করবে এমন লোকও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ আওয়ামী লীগ তাদের নেতার প্রতি অকৃতজ্ঞ। ওদের কিন্তু বরকত ভালো না। যার কারণে তাদের ঝাঁকে ঝাঁকে দেশ থেকে পালাতে হয়েছে। আমি ভারত সরকারকে বলবো, আপনারা তো এতদিন দেশ চালাইলেন, এইবার ফেরত দেন। হালুয়াঘাট বর্ডার দিয়ে ফেরত দেন আমরা রিসিভ করব। আমরা কথা দিলাম আমরা আপনাদের ওপর ন্যায়বিচার করব।

বিএনপির এই নেতা বলেন, বন্ধুত্ব কি আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার সঙ্গে করবেন নাকি বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের সঙ্গে করবেন? ১৮ কোটি মানুষের সঙ্গে যদি বন্ধুত্ব হয় সেটা হবে প্রকৃত বন্ধুত্ব। সেটা দীর্ঘস্থায়ী হবে। শুধু একজনের সঙ্গে বন্ধুত্ব করলে কোনো লাভ হবে না। ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় দাঁড়িয়ে বলছি স্বার্থ হাসিলের জন্য বন্ধুত্ব নয়, সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে বন্ধুত্ব রাখতে চাই। আমাদের স্বার্থে বিসর্জন দিয়ে নয়, কর্তৃত্বের মাধ্যমেও নয়, বন্ধুত্বের মাধ্যমে।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি, আর ৫ আগস্ট আমরা স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছি। এই অর্জন আমাদের ধরে রাখতে হবে।

এ সময় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরের গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান দেশে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছিলেন। এরপর তিনি মারা যাওয়ার পর দেশের মানুষ ৭ নভেম্বর একটি বিপ্লবের মাধ্যমে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।

বিএনপি নেতা সালমান ওমর রুবেল আয়োজিত এই ফ্রি চক্ষু ক্যাম্প অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ। এ সময় প্রায় ৩ হাজার চক্ষু রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা ও ছানি পড়া রোগীদের বিনামূল্যে ছানি অপারেশনের জন্য সিলেকশন করা হয়।

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ যানবাহন বন্ধ না হলে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা

চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ যানবাহন বন্ধ না হলে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা। ছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গায় সকল সড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত ভ্যান (পাখিভ্যান) ও  ইজিবাইক চলাচল বন্ধের দাবি জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। আগামীকাল রোববারের মধ্যে প্রশাসন তাদের দাবি বাস্তবায়নে কার্যকর উদ্যোগ না নিলে সোমবার সকাল থেকে জেলার সকল পথে পরিবহন চলাচল বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত  এক সংবাদ সম্মেলনে এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।  সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈন উদ্দিন লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন এবং শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এম জেনারেল ইসলাম কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের আগে জেলায় ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক,পাখিভ্যান, থ্রি হুইলার সহ অন্য অবৈধ যানগুলো যেভাবে চলাচল করতো, সেভাবেই তারা চলাচল করুক এই দাবিতে আজকের এই সংবাদ সম্মেলন। প্রশাসন বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা সেটা রক্ষা করেনি।

কর্মসূচি ঘোষণাকালে বলা হয়, ২৩ ডিসেম্বর সোমবার থেকে টানা দুইদিন পরিবহন চলাচল বন্ধের মধ্যে প্রশাসন যদি বসে সমাধানের উদ্যোগ না নেয়, তাহলে আগামী ২৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে অভ্যন্তরীণ পথের পাশাপাশি দূরপাল্লার সকল রুটে পরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হবে। এসময় চুয়াডাঙ্গা জেলা মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাসান ইমাম বকুল, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম সহ সকল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

জুমার দিনে ফিলিস্তিনের মসজিদে আগুন দিল ইসরায়েলিরা

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতকারীরা একটি মসজিদে আগুন লাগিয়ে ভবনের দেওয়ালে বিদ্বেষমূলক স্লোগান লিখে গেছে। শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) জুমার দিন সকালে সালফিতের মারদা গ্রামে বার আল-ওয়ালিদাইন মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনার ভিডিওতে দেখা যায়, মসজিদের সামনের দেয়ালে হিব্রু ভাষায় ‘প্রতিশোধ’, ‘আরবদের মৃত্যু হোক’সহ বিভিন্ন স্লোগান লিখে রেখেছেন ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা। এ ছাড়া উত্তর পশ্চিম তীরের মারদা গ্রামের মসজিদের প্রবেশপথে কালো পোড়া দাগ দেখা গেছে। তবে আগুন বড় আকারে ছড়িয়ে পড়ার আগেই তা নেভানো হয়।

ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, তারা ঘটনাস্থল থেকে সাক্ষ্য ও প্রমাণ সংগ্রহ করছে।

মারদা গ্রাম পরিষদের প্রধান নাসফাত আল-খুফাশ বলেন, শুক্রবার মারদা গ্রাম একটি পরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলায় জেগে উঠল। বসতিস্থাপনকারী গোষ্ঠী বীর আল-ওয়ালিদিন মসজিদে আগুন দেয়। বসতি স্থাপনকারী গোষ্ঠীগুলোর এই ধরনের আক্রমণ ধারাবাহিক ও পরিকল্পিত।

ইসরায়েলি পুলিশ ও নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেত এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা এই ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুতর বলে মনে করে। দোষীদের কঠোর বিচার নিশ্চিত করতে তারা দৃঢ় পদক্ষেপ নেবে।

এদিকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই আক্রমণকে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের সংঘটিত অপরাধের ধারাবাহিক সর্বশেষ ঘটনা বলে নিন্দা জানিয়েছে। একই সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সুরক্ষায় সহায়তার জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কাছে আবেদন জানিয়েছে।

জাতিসংঘের তথ্য মতে, অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ৩০ লাখ ফিলিস্তিনির মধ্যে ৭ লক্ষাধিক ইসরায়েলি বসবাস করে। ১৯৬৭ সালে এই দুটি অঞ্চল দখল করে নেয় ইসরায়েল। তবে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ এই দখলকৃত ভূমিতে গড়ে ওঠা ইসরায়েলি বসতিগুলোকে অবৈধ বলে মনে করে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা দক্ষিণ ইসরায়েলে আক্রমণ চালানোর পর থেকে পশ্চিম তীরে সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

শেখ হাসিনা নিজ হাতে তার বাবাকে দ্বিতীয়বার হত্যা করেছে: গয়েশ্বর
চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ যানবাহন বন্ধ না হলে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা
জুমার দিনে ফিলিস্তিনের মসজিদে আগুন দিল ইসরায়েলিরা
গাইবান্ধায় বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, আহত অন্তত ১০
আশ্বস্ত করছি বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে না: প্রধান উপদেষ্টা
সত্যি কি থাপ্পড় মেরেছিলেন শাহরুখ, ৯ বছর পর মুখ খুললেন হানি সিং
মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তর, বগুড়ার শ্রাবণী এখন শ্রাবণ
বাড়ি ফেরার পথে সড়কে ঝরে গেল বাবা-ছেলের প্রাণ
ছাত্রলীগ নেতা মুক্তাদির শিক্ষার্থীদের হাতে আটক, থানায় সোপর্দ
এ দেশে মেজরিটি–মাইনরিটি বলে কিছু নেই: জামায়াতের আমির
আজ বছরের দীর্ঘতম রাত, সবচেয়ে ছোট দিন আগামীকাল
রাজনীতিবিদকে বিয়ে করতে চান ফারজানা সিঁথি
গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ
পাকিস্তানে জঙ্গি হামলায় ১৬ সেনা নিহত
বাধ্যতামূলক অবসরপ্রাপ্ত সচিব ইসমাইল বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার
হামজাকে নিয়ে যা বললেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল
বহু ভাষা, বহু সংস্কৃতি, বহু ধর্মের বিকাশে কাজ করতে চায় কমিশন: ফারুকী
অবৈধ অনুপ্রেবেশের অভিযোগে ত্রিপুরায় শিশুসহ ৬ বাংলাদেশি গ্রেফতার
টাঙ্গাইলে বাস-সিএনজির সংঘর্ষ: নিহত ২