শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪ | ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪২.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড, জনজীবনে অস্বস্তি

চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪২.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গা জেলা তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন অস্থির হয়ে উঠেছে। দু’দিন পর আবারও এ জেলায় তাপমাত্রার তীব্রতা বেড়ে গেছে। দু’দিনে এ জেলায় ২ থেকে ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা বেড়েছে।

আজ শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গায় মওসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্র থেকে এ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১১ শতাংশ।

৪২.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা । ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

এদিকে তীব্র রোদ আর রোদে আগুনের ফুলকির মতো তেজ যেন মরুভূমির তাপমাত্রা। অতি তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মানুষ ও প্রাণীকুল। তীব্র রোদের কারণে শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান চালকরা কাজ করতে না পেরে অনাহারে দিন পার করছেন। একটু প্রশান্তির খোঁজে গাছের ছায়া ও ঠান্ড পরিবেশে স্বস্তি খুঁজছে স্বল্প আয়ের মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে  রাস্তা ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে। আবার অনেকে জরুরি প্রয়োজন ও জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন। তবে রোদের এতো উত্তাপ যে মাথা ঘুরে যাচ্ছে। হিট স্ট্রোকে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে।

৪২.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা । ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

এদিকে অতি তীব্র তাপদাহে রবিবার থেকে স্কুল খোলার সিদ্ধান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন এ জেলার অভিভাবকরা। যেখানে জাতী সংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ চলতি তাপপ্রবাহে বাংলাদেশের শিশুদের  অতি উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রেখেছে। সেখানে স্কুলগুলো চলমান তাপপ্রবাহ পর্যন্ত বন্ধ রাখার জন্য সরকারের অনুরোধ জানিয়েছে এ জেলার অভিভাবকরা।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৯ শতাংশ। এদিন বেলা ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৪ শতাংশ ও দুপুর ১২টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৬ শতাংশ এবং সকাল ৯টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪৪ শতাংশ।

এর আগে বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৩৪ শতাংশ, এদিন বেলা ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২১ শতাংশ ও দুপুর ১২টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৩ শতাংশ এবং সকাল ৯টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫৩ শতাংশ।

Header Ad

পানি শুন্য ছোটযমুনা নদীর বুকে ধান চাষ!

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

চারদিকে শুধু ধান আর ধান। দেখে মনে হবে হাজার বিঘার মাঠ। সেখানে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্নের সোনার ফসল ধান। আর সেই ধান কাটছে বেশ কয়েকজন কৃষক। তারা নিজেরাই শ্রমিকের মতো ধান কাটছে। আবার একজনকে গরু চড়াতেও দেখা যায়।

বলছি নওগাঁর খরস্রোতা ছোট যমুনা নদীর কথা। হঠাৎ চোখে পড়ে নদীটির বুকে ধান চাষ। শুকিয়ে যাওয়ায় জেলার বদলগাছী উপজেলার তেজাপাড়া- কাদিবাড়ি পাশাপাশি দুটি এলাকায় ধান চাষ করেছেন শতাধিক কৃষক। সেই নদীর বুকে কয়েকজনকে ধান কাটতে দেখা যায়। আবার অনেক জায়গা থেকে ধান কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে গিয়ে কথা হয় তসলিম, আফজাল, রফিকুল, শামিম ও মোস্তফার সাথে। তারা জানালেন, আমরা ৫-৭ জন মিলে বেশ কিছু জায়গায় ধান চাষ করেছি। তাই নিজেরাই ধান কাটছি। এই ধান দিয়ে আমাদের সারা বছরের সংসার চলে। অবশ্য বৃষ্টির কারণে পানি জমতে শুরু করেছে। আর কয়েকদিন পর পানিতে ভরে যাবে নদীটি। তারা আরও জানান, উত্তর দিকের তেজপাড়া ব্রিজ থেকে দক্ষিণে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় বিভিন্ন লোকজন এই নদীর বুকে ধান চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। নদী শুকালে আমরা ধান চাষ করতে পারি। যা দিয়ে আমাদের সংসার চলে।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নদীর বুকে গরুকে ঘাস খাওয়াতে নিয়ে এসেছেন এক যুবক। তিনি জানালেন, প্রায় দেড় মাসে আগে এই নদি শুকিয়ে গেছে।

তবে যেখানে যার মানানসই। নদীতে থাকবে পানি, আর মাঠে হবে ধান। এমন দৃশ্যই ভালো লাগবে সকলের। আর যে যার মতো সুবিধা খুঁজবে এটাই স্বাভাবিক।

নওগাঁর নদী, খাল-বিল দখল ও দূষণের প্রতিবাদে বিভিন্ন সময় রাস্তায় নামা সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন একুশে পরিষদের সভাপতি এ্যাড. ডিএম আব্দুল বারী বলেন, বিভিন্ন নদী, খাল-বিল, প্রাকৃতিক বনায়নে ভরপুর আমাদের মাতুভূমি বাংলাদেশ। কিন্তু আমাদের বিরূপ আচরণের কারণে আমরা নিজেরাই প্রকৃতিকে বিভিন্নভাবে ধ্বংস করে ফেলছি। নওগাঁসহ সারাদেশের নদী, খাল-বিল দখল ও দূষণের জন্য সংশ্লিষ্টদের পাশাপাশি জনসচেতনতাও এর জন্য দায়ী। তবে নদী শুকিয়ে গেলে সেখানে ধান চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করা সেটা খারাপ কিছু না। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের অনুমতি নিয়ে চাষ করলে ভালো হয়। এতে অনেকে জীবিকা নির্বাহ করতে পারবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বদলগাছী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাবাব ফারহান বলেন, বোরো মৌসুমে উপজেলায় ১১ হাজার ৭শত ৪০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। এছাড়া নদীর ধারে উল্লেখযোগ্য হারে ধান উৎপাদিত হয়েছে। কারণ নদীর পাশের জমিতে পলির আস্তরণ জমে এবং সেখানে জৈব পদার্থের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই সেখানে ধান, সবজিসহ সব ধরণের ফসল ভালো উৎপাদিত হয়ে থাকে।

নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়জুর রহমান বলেন, ছোট যমুনা নদীসহ কয়েকটি নদী ও খাল পুন:খননের জন্য আবেদন দেওয়া আছে। অনুমোদন পেলে যেকোনো সময় কাজ শুরু হবে।

এদিকে নওগাঁ-৩ আসনের সংসদ সদস্য সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী সৌরেনের চেষ্টায় বদলগাছী উপজেলায় ছোট যমুনা নদীর ৩৩ কিলোমিটার অংশের পুন:খনন কাজ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যেটা যেকোনো সময় বাস্তবায়ন হওয়ার পথে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্জনে অর্জন দেখছে বিএনপি

ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনে অংশ না নিলেও চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের নজর ছিল বিএনপির। সদ্য শেষ হওয়া প্রথম ধাপের নির্বাচন বর্জনে নানামুখী অর্জন দেখছে দলটি। এর অন্যতম কারণ, ভোটার উপস্থিতি কম, হামলা, সংঘর্ষ, জালভোট, কারচুপি, বর্জনের মতো নেতিবাচক দিক ছিল নির্বাচনে। পাশাপাশি দলের সিদ্ধান্ত অমান্যকারী প্রার্থীরা খুব বেশি সুবিধা করতে পারেনি।

বিএনপি নেতাদের মতে, বিএনপির আহ্বানের কারণে ভোটারদের কেন্দ্রবিমুখ করা সম্ভব হয়েছে। এর ফলে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জোরাল হবে। কূটনৈতিকভাবেও সরকারের ওপর চাপ বাড়বে, যা আগামী দিনে বিএনপির রাজপথের আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

বুধবার ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ১৩৯টি উপজেলা নির্বাচনের পর রাতে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফেরাম স্থায়ী কমিটির সভায়। বৈঠকে উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির পর্যবেক্ষণে কি উঠে এসছে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়। ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ায় বিএনপির প্রধান দাবি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ে ভূমিকা রাখবে বলে নেতারা মনে করেন।

বৃহস্পতিবার বিকালে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে ভোট পড়ার হার ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ। এ নিয়ে বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরামের এক নেতা জানান, দিনব্যাপী ভোটারের আকাল ছিল। সেখানে এই পরিসংখ্যান একেবারেই অগ্রহযোগ্য।

খোঁজ নিয়ে যানা গেছে, অংশ গ্রহণ না করলেও নির্বাচন মনিটর করেছে বিএনপি। ভোটারা যাতে কেন্দ্রে যেতে নিরুৎসাহী হয়, সে জন্য আগে থেকেই দলের তৎপরতা ছিল। নির্বাচনের দিন সাধারণ মানুষসহ দলীয় নেতাকর্মী ও দলের সমর্থকদের ভোটকেন্দ্রে যেতে নিরুৎসাহিত করতে আগে থেকেই গণসংযোগ এবং লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।

দলের নেতাদের মতে, প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির প্রাপ্তি দিকগুলো হচ্ছে, আবারও প্রমাণিত হয়েছে যে, এই নির্বাচন কমিশন এবং সরকারের পক্ষে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। দলের কর্মীরা আর্থিক ক্ষতি হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন। পাশাপাশি মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার হাত থেকে রেহাই পেয়েছেন। ক্ষমতাসীন দল অন্তদ্বন্দ্ব কোন্দলের বিষয়টি সামনে এসেছে।

দেশের মানুষ ভোটবর্জনের আহ্বান সাদরে গ্রহণ করছেন বলে দলটির সর্বস্তরের নেতারা মনে করেন। তাদের মতে, নির্বাচন বিরোধী দলগুলোর অংশ না নেওয়া এবং ভোট থেকে বিরত থাকার আহ্বানে মনের দিক থেকে জনগণ আরও শক্ত অবস্থানে ছিল। ফলে জোরজবরদস্তি করে অল্পসংখ্যক মানুষকে নিতে পারলেও বড় অংশ ভোটকেন্দ্রে যায়নি। ফলে ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে এই ভোট গ্রহণযোগ্য করা কঠিন হবে। নির্বাচন নিয়ে মূল্যায়ন করতে গিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের কথাগুলো সাধারণ মানুষ আগ্রহ নিয়ে শুনেছেন। লিফলেট বিতরণের মধ্যমে দলের বক্তব্য পথঘাটে, দোকানে, ভোটারদের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। ফলে জাতীয় নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনও বর্জন করেছে জনগণ।

উপজেলা নির্বাচনে ভোটারদের কেন্দ্রবিমুখ করার জন্য দলের নেওয়া পদক্ষেপ কাজে লেগেছে দাবি বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, ভোটারদের ভোটবিমুখ করতে প্রায় লাখ লাখ লিফলেট ছাপিয়ে উপজেলা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ডগুলোতে পাঠানো হয়েছিল। উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও গ্রামপর্যায়ে কর্মিসভা, মতবিনিময় সভা এবং যৌথ সভাও হয়েছে। দেওয়া হচ্ছে, বিভিন্ন দিকনির্দেশনাও। দলের নানামখী উদ্যোগের ফলে ভোটাররা কেন্দ্রবিমুখ ছিল। তিনি বলেন, এই নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিল, তা প্রামাণিত হয়েছে। এই নির্বাচন বর্জন করে অন্যতম বড় অর্জন হচ্ছে, তাদের নির্বাচন-সংক্রান্ত কোনো মামলার মুখোমুখিও হতে হয়নি।

বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নির্বাচনের আগের দিনও ভোটারদের কেন্দ্রবিমুখ রাখার চেষ্টা সফলতা নিয়ে সন্দেহ ছিল। কারণ, সর্বশক্তি নিয়োগ করেও অনেক স্থানে বিএনপি নেতাদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখা যায়নি। এ ছাড়া স্থানীয় নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বেশি হয়ে থাকে। আর বিএনপির ভোটার ফেরানোর কার্যক্রমে অনেক কর্মী সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করেনি। এরপরও ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ায় বিএনপি নেতারা খুশি।

প্রসঙ্গেত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনও বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ভোটে যাওয়া নেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয় দলটি। প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়া ৭৯ জন নেতা এবং দ্বিতীয় ধাপে অংশ নেওয়া ৬১ নেতাকে বহিষ্কারও করে তারা। পাশাপাশি হুঁশিয়ার করা হয়, বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের কোনো নেতা ভোটে অংশ নেওয়া বহিষ্কৃতদের কোনোভাবে সহায়তা করলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে ভোটারদের কেন্দ্রবিমুখ করতে দেশব্যাপী লিফলেট বিতরণের কর্মসূচি পালন করে।

ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের রক্ষা করুন, বললেন পলক

ছবি: সংগৃহীত

আমাদের ফিলিস্তিনি ভাই-বোন-শিশুদের বিরুদ্ধে ইসরাইল গণহত্যা চালাচ্ছে। তাদের থেকে আমাদের ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের আল্লাহ রক্ষা করুন। তারা যেন মুক্ত স্বাধীনভাবে নিজেদের ভূ-খন্ডে বসবাস করতে পারে সেই প্রার্থনা করি, বললেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলক।

শুক্রবার (১০ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিংড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে আয়োজিত হাজি সমাবেশ-২০২৪ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টঙ্গি ইজতেমার জায়গার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাতা করেছেন। ইসলাম ধর্মের সম্প্রসারণ করার জন্য এবং কাকরাইল মসজিদসহ অসংখ্য মসজিদ প্রতিষ্ঠান করেন। তিনি আমাদের স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা বাংলাদেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ কমপক্সে নিমার্ণ করেছেন। আমাদের মাদরাসা, মসজিদে ইতিহাসের সর্বোচ্চ বরাদ্দ দিয়েছেন। হাজিদের জন্য সুন্দর, সহজ, স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ডিজিটাল হজ্বের সকল কার্যক্রম তিনি নিজে তদারকি করছেন।

এসময় তিনি সারাবিশ্বের মুসলিম জাহানের মধ্য ঐক্য, শান্তি এবং যারা অত্যাচার, কষ্টের মধ্য আছেন, তাদের জন্য আল্লাহর কাছে মুক্তি কামনা করেন।

আরাফাতি হাজী কল্যাণ সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনু্ষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ ওহিদুল রহমান, সাধারণ সম্পাদক ও সিংড়া পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস, আরাফাতি হাজী কল্যাণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাডভোকেট হারুন-অর-রশিদ প্রমুখ।

সর্বশেষ সংবাদ

পানি শুন্য ছোটযমুনা নদীর বুকে ধান চাষ!
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্জনে অর্জন দেখছে বিএনপি
ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের রক্ষা করুন, বললেন পলক
বিএনপির সমাবেশ মানেই অগ্নি সন্ত্রাস ও রক্তপাত: ওবায়দুল কাদের
চড়া সবজির দাম, নাগালের বাইরে নিত্যপণ্য
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানালেন গোবিন্দগঞ্জ বিএনপির নেতৃবৃন্দ
ইসরায়েলের তীব্র হামলার মুখে রাফা ছাড়ল ৮০ হাজারের বেশি মানুষ
টাঙ্গাইলে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ
ভারতীয় নির্বাচনে কোনো হস্তক্ষেপ করছি না : যুক্তরাষ্ট্র
বাবা হওয়ার খুশিতে আবারও বিয়ে করলেন জাস্টিন বিবার
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ ইস্যুতে ভোট আজ
মানিকগঞ্জে পাইলট আসিমের জানাজায় হাজারো মানুষের ঢল
দেশে দ্বিতীয় স্যাটেলাইট নির্মাণের কাজ চলছে: প্রধানমন্ত্রী
বুবলীর পর একই থানায় অপু বিশ্বাসের জিডি!
বিমান ঘাঁটিতে পাইলট আসিমের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত
ইউরোপা লিগ: অপরাজিত থাকার রেকর্ড গড়ে ফাইনালে লেভারকুসেন
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ
প্রেমিক যুগলকে মারধরের পর গলায় জুতার মালা, ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত
বিদায় নিচ্ছেন পিটার হাস, নতুন রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন ডেভিড মিল