মায়ের সাথে পরকীয়া, চাচাকে কুপিয়ে হত্যা করলো দুই ভাতিজা
ছবি: সংগৃহীত
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় মায়ের সাথে পরকীয়া প্রেমের কারণে চাচা লাল্টু মোল্লাকে (৩৬) কুপিয়ে হত্যা করেছেন দুই ভাতিজা। বৃহস্পতিবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার কাকুড়াডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত লাল্টু মোল্লা ১২নং নিত্যানন্দনপুর ইউনিয়নের কাকুড়াডাঙ্গা গ্রামের গেনো মোল্লার ছেলে। অভিযুক্তরা হলেন- একই গ্রামের লকাই মোল্লার ছেলে আসাদ ও মিরাজ । লকাই ও লাল্টু আপন চাচাতো ভাই।
কাকুড়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা সম্রাট হোসেন জানান, বিকেলে মাঠ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন চাচা লাল্টু মোল্লা। পথে তার প্রতিবেশী ভাতিজা আসাদ ও মিরাজ তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, নিহত লাল্টু মোল্লা গত বছর পরকীয়া করে বড় ভাবিকে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করেন। এ নিয়ে একই গোষ্ঠীর যৌথ পরিবারের মাঝে বিরোধ শুরু হয়। ওই বিরোধের জেরে লাল্টু দীর্ঘদিন আত্মগোপন থেকে সম্প্রতি বাড়িতে ফিরে আসেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে মিম আসাদ ও মিরাজ নামে আপন দুই ভাই তার চাচা লাল্টুকে পার্শ্ববর্তী কাকুড়াডাঙ্গা বিলের মাঠে কুপিয়ে হত্যা করেন।
১২ নং নিত্যনন্দনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, লাল্টু লকাইয়ের আপন চাচাতো ভাই। লকাই ইটালী প্রবাসী। তার দুটি বড় ছেলে রয়েছে। লাল্টু প্রবাসী লকাইয়ের স্ত্রীকে পরকীয়া করে বিয়ে করেন। পরে পারিবারিক চাপে তাদের ডিভোর্স হয়। লকাই তার স্ত্রীকে মেনে নিয়ে আবারো বিয়ের জন্য সম্মতি দেয়। কিন্তু লকাইয়ের দুই ছেলে বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি। এ কারণে দুই ভাই মিলে চাচা লাল্টুকে হত্যা করেছেন।
শৈলকুপা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, পরকীয়া প্রেমের কারণেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।