লিফলেটের সঙ্গে টাকা দেওয়ার অভিযোগ আ.লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে
ছবি: সংগৃহীত
লিফলেটের সঙ্গে টাকা দিয়ে ভোটা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক প্রতীক) রেজাউল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে। টাকা বিতরণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে চলছে নানা সমালোচনা। রেজাউল দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, দৌলতপুর উপজেলা বাজারে স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল হক চৌধুরী ভোটারদের কাছে লিফলেট ও টাকা বিতরণ করছেন। নিজের পকেট থেকে টাকা বের করে, লিফলেটের সঙ্গে টাকা দিচ্ছেন তিনি৷ এসময় ট্রাক মার্কায় ভোট দিতে বলেন। এসময় তার কর্মী-সমর্থকরাও উপস্থিত ছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন আওয়ামী লীগের নেতা বলেন, ট্রাক মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল হক চৌধুরী ভোটারদের কাছে লিফলেট ও টাকা বিতরণ করছে। নির্বাচনী আচরণ আচরণবিধি লঙ্ঘন করে টাকা দিয়ে ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন। নির্বাচনে জেতার জন্য বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন রেজাউল চৌধুরী। ভোট পাওয়ার জন্য, জেতার জন্য টাকা ছিটিয়ে বেড়াচ্ছেন, হুমকিধামকি দিয়ে বেড়াচ্ছেন। শুধু টাকা বিতরণ নয়, প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করে প্রতিপক্ষের প্রার্থী ও সমর্থকদের হত্যার হুমকি দিয়েছে। এজন্য রেজাউলের ভাই টোকন চৌধুরীকে শোকজ করেছে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি। আমরা সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। এসব নির্বাচনী আচরণ আচরণবিধি লঙ্ঘন ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের একশন নেয়া উচিৎ।
এদিকে দৌলতপুর আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজমুল হুদা পটল (ঈগল প্রতীক) ও তার সমর্থকদের হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে রেজাউল চৌধুরীর ছোট ভাই ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বুলবুল আহম্মেদ টোকন চৌধুরীকে শোকজ করেছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। কুষ্টিয়া-১ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির প্রধান যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক আসাফ-উদ-দৌলা আগামী সোমবার (১ জানুয়ারি) সকালে টোকনকে আদালতে হাজির হয়ে শোকজের জবাব দিতে বলেছেন।
জানা গেছে, গত বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে সাবেক এমপি প্রয়াত আফাজ উদ্দিন আহমেদের জ্যেষ্ঠপুত্র ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজমুল হুদা পটলের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়া মোটরসাইকেল বহর দৌলতপুর উপজেলার আল্লারদর্গা হতে তারাগুনিয়া যাচ্ছিল। যাবার পথে তারাগুনিয়া থানার মোড় এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক প্রতীক) সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরীর ভাই বুলবুল আহম্মেদ টোকন চৌধুরীর নেতৃত্বে মোটরসাইকেল বহর গতি রোধ করে এবং ৫টি মাইক্রোগাড়ি থেকে আনুমানিক ২০ থেকে ২৫ জন সশস্ত্র যুবক নেমে চাইনিস কুড়াল, চাপাতি, বাটাম, পিস্তল ও শর্টগ্যান নিয়ে মহড়া দেয় এবং শর্টগান ও পিস্তল তাক করে হত্যা করার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে তারা মাইক্রো যোগে পালিয়ে যান। যা ২০০৮ এর নির্বাচনী আচরণবিধি ১৪ এর লঙ্ঘন।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজমুল হুদা পটল ও দৌলতপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বুলবুল আহম্মেদ টোকন চৌধুরীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তারা রিসিভ করেননি।