বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২২ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash

সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-৪ আসনে লড়তে চান মেধা

সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর - কালিগঞ্জ উপজেলার আংশিক) আসনে জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ মাসুদা খানম মেধা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের জন্য এই আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন তিনি।

বর্তমানে শেখ মাসুদা খানম মেধা সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টার দায়িত্বে রয়েছেন। নিজেকে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক এবং শেখ হাসিনার সততার নীতিতে বিশ্বাসী একজন আওয়ামী লীগের কর্মী বলে দাবি করেন।

পারিবারিকভাবে আওয়ামী পরিবারের সন্তান শেখ মাসুদা খানম মেধা ১৯৭৬ সালে গোপালগঞ্জ জেলার মানিকহার গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মরহুম শেখ আবুল হোসেনসহ পরিবারের সদস্যদের অনুপ্রেরণাতে ৯০ এর দশকে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন শেখ মাসুদা খানম মেধা। পরে ২০০১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপ-কমিটিতে সদস্য পদ লাভ করেন। বর্তমানে তিনি সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টার দায়িত্বে রয়েছেন।

এ ছাড়াও রাজনৈতিক জীবনে বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়ার সুবাদে বহুবার হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি।

এর আগে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিতব্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-৪ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন চান মাসুদা খানম মেধা। সেই বারের নির্বাচনে মনোনয়ন পাননি তিনি। তবে, গেল দুই মেয়াদে ওই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্যর বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সমালোচনার মুখে পড়ে খোদ আওয়ামী লীগ সরকার। যেটা নিয়ে নিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতারা বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে। যার প্রভাব পড়ে ওই আসনের তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মাঝে। তা ছাড়াও বিভিন্ন কারণে বর্তমান সংসদের সাথে শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট কয়েকজন নেতার বিরোধে বিভক্ত তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তবে এবার যদি এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন লাভ করে তাহলে বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবেন তিনি। আর এমনটাই ধারণা ওই আসনের তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের।

সাতক্ষীরা-৪ আসন মূলত অসংখ্য নদ-নদী দিয়ে বেষ্টিত। এই আসনে উপকূলীয় অঞ্চলজুড়ে বসবাসরত সিংহভাগ মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে বাস করে। সুপেয় পানির সংকট, নদী ভাঙনসহ নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত হওয়ায় দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে তাদের জীবনযাপন। সরকার, বিভিন্ন এনজিও সংস্থা, সেচ্ছাসেবী সংগঠন উপকূলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এ ছাড়াও ব্যক্তি পর্যায়ে অনেকে উপকূলের মানুষের পাশে থেকে কাজ করে। ব্যক্তি পর্যায়ে যারা উপকূলের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে তাদের মধ্য অন্যতম একজন শেখ মাসুদা খানম মেধা বলে জানান ওই আসনে বসবাসরত মানুষেরা।

মাসুদা খানম মেধা প্রসঙ্গে কুশুলিয়া ইউনিয়নের যুবলীগ সুলতান আহম্মেদ বলেন, সাতক্ষীরা ৪ আসনে বেশ জনপ্রিয় একজন শেখ মাসুদা খানম মেধা। রাজনৈতিক নেত্রী হিসেবে তিনি যেমন দক্ষ ও কর্মীবান্ধব ঠিক তেমনি ভাবে মানবিক ব্যক্তি। তাকে কোনো কিছু বলা লাগে না। কারও সমস্যার কথা যখন তিনি অবগত হন তখন তাকে সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করেন। বর্তমানে যারা দায়িত্বে আছেন জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে তারাও মাসুদার চেয়ে অনেকাংশে পিছিয়ে রয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।

সুলতান আহম্মেদের মতো রতনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা রাজু বলেন, যদি যোগ্যতা দ্বারা পরিমাপ করা হয় তাহলে শেখ মাসুদা খানম মেধা কোনো অংশে কম নয়। একটি ব্যাংকে চাকরি করলেও তিনি কখনও জনসেবা থেকে পিছপা হননি।

তিনি দাবি করেন, আপনারা গণমাধ্যম কর্মী খোজঁ নেন তাহলে আপনারাও আমাদের সাথে একমত হবেন যে একজন নেত্রী ও ব্যক্তি হিসেবে মাসুদা কতটুকু জনপ্রিয়।

এ সময় যুবলীগের এই নেতা বলেন, এই আসনে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা বিভক্ত। এখানে যেমন জামায়াতের প্রভাব আছে তেমন জাতীয় পার্টির। এ কারণে যদি দল বিতর্কিত ও জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন কাউকে মনোনয়ন দেয় তাহলে তৃণমূলের বিভক্ত নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করা অনেক কঠিন হয়ে যাবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতারা জানান, বর্তমানে সাতক্ষীরা ৪ আসনের রাজনীতি ঘৃর্ণীত পর্যায়ে পৌঁছেছে। এতোটাই ঘৃর্ণীত পর্যায়ে পৌঁছেছে যে কোনো মনোনয়ন প্রত্যাশী যদি সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড প্রচারণা বা তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সাথে মতবিনিময় করার উদ্যোগ নেন সেখানে দলীয় নেতা-কর্মীদের না যেতে অপরপক্ষ হুমকি-ধামকি দেয়।

ঘৃর্ণীত এই রাজনীতির অবসান চেয়ে তারা বলেন, বিভিন্ন কারণে দলীয় নেতা-কর্মীরা আজ বিভক্ত। সবাই ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া। তবে এখন নতুনদের সুযোগ দেওয়া দরকার। তা না হলে ভর্বিষতে আরও কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারে আওয়ামী লীগ।

শেখ মাসুদা খানম মেধা প্রসঙ্গে তারা বলেন, নিঃসন্দেহে মাসুদা একজন জনপ্রিয় কর্মীবান্ধব নেত্রী। দল যদি তাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি থাকবে না। তবে বিতর্কিত কেউ মনোনয়ন পেলে আমরা হয়তো দলের স্বার্থে তাকে সমর্থন করব। তবে সাধারণ জনগণ কী করবে সেটা বলা মুশকিল। এ কারণে, আমরা বিশ্বাস করি আমাদের প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা আপা সবকিছু বিবেচনা করে যোগ্য ব্যক্তিকে এই আসনে দলীয় মনোনয়ন দিবেন।

মনোনয়ন পাবার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে শেখ মাসুদা খানম মেধা বলেন, দলকে ভালোবেসে অনেক ত্যাগ স্বীকার করে ছাত্রজীবন থেকেই আন্দোলন-সংগ্রামে ভূমিকা রেখে আসছি। আশা করি দল সেটি মূল্যায়ন করবে। আর দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে এ আসনটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এসআইএইচ

 

Header Ad
Header Ad

২ আলাদা বিভাগসহ দেশকে ৪ প্রদেশে ভাগ করার সুপারিশ

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে সংবাদ সম্মেলনে। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে আলাদা বিভাগ করার সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এ সংক্রান্ত সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী।

পরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশকে ৪টি প্রদেশে ভাগ করার সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে আলাদা বিভাগ করার সুপারিশও করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ নিয়ে গ্রেটার সিটি ‘ঢাকা ক্যাপিটাল সিটি’ গঠনের সুপারিশ করেছে কমিশন।

এছাড়া ইমিগ্রেশনের জন্য পুলিশের আলাদা ইউনিট গঠনের সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। পাবলিক সার্ভিস পৃথক করে তিনটি পাবলিক সার্ভিস কমিশন গঠনের প্রস্তাবও করা হয়েছে।

এদিকে বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান প্রধান উপদেষ্টার কাছে সুপারিশ জমা দিয়েছেন।

এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিচার বিভাগ কোনো দিনও স্বাধীন ছিল না, তাই কমিশন পুরোপুরি স্বাধীন করার প্রস্তাব দিয়েছে। স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস নিয়োগের সুপারিশ করেছে কমিশন। এছাড়া স্বতন্ত্র তদন্ত সংস্থা গঠনের সুপারিশ করেছে বিচার সংস্কার কমিশন। পুলিশী তদন্ত অনেক সময় রাজনৈতিক হয়ে থাকে এজন্য এটা দরকার বলে জানানো হয়।

ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট উপজেলা পর্যন্ত নেয়ার সুপারিশ, আর বিভাগীয় পর্যায়ে সুপ্রিম কোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ নিয়ে যাওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে।

কমিশনগুলোর প্রস্তাবনা নিয়ে সবার সঙ্গে আলাপ করে প্রাইরোটি বেসিসে কিছু প্রস্তাবনাকে একত্রিত করা হবে যেখানে সব পক্ষের স্বাক্ষর থাকবে সেটার নাম হবে জুলাই চার্টার। এই জুলাই চার্টাররের কতটুকু বাস্তবায়ন করতে চায় রাজনৈতিক দলগুলো তার উপর নির্ভর করছে নির্বাচন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, উপ–প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর।

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় হাইকোর্টের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ আসামিসহ সবাই খালাস

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

হাইকোর্টের রায়ে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ জনসহ সকল আসামি খালাস পেয়েছেন। ১৯৯৪ সালে পাবনার ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় এই রায় দেওয়া হয়।

আজ বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলাম ও বিচারপতি হামিদুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কায়সার কামাল ও মো. মাকসুদ উল্লাহ, আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান।

এর আগে, গত ৩০ জানুয়ারি মামলার ডেথ রেফারেন্স, আপিল ও জেল আপিলের শুনানি শেষে রায়ের জন্য ৫ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করা হয়।

২০১৯ সালের ৩ জুলাই পাবনার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩-এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক ও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. রুস্তম আলী এ মামলায় ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ২৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৩ জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন। সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের সাবেক ও বর্তমান নেতা-কর্মী ছিলেন বলে জানা গেছে।

পরবর্তীতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয় এবং আসামিরা খালাস চেয়ে আপিল করেন। আজকের রায়ে সবাইকে খালাস দেওয়া হলো।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেন, "এই মামলায় আইনের চরম অপপ্রয়োগ হয়েছে। কোনো ধরনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকা সত্ত্বেও ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, যা ছিল একটি পক্ষপাতদুষ্ট রায়। মামলার তদন্তও ছিল দুর্বল, অবহেলাজনিত ও কাল্পনিক ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত।"

তিনি আরও বলেন, "এই মামলায় দণ্ডিত ৪৭ জনের মধ্যে ইতোমধ্যে দুজন মারা গেছেন। বাকি ৪৫ জনের মধ্যে ৯ জন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছিলেন, আর বাকিরা গত ৫ আগস্টের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।"

উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাওয়ার পথে পাবনার ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে হামলার শিকার হন। ট্রেন লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ ও বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ঈশ্বরদী জিআরপি থানার তৎকালীন ওসি নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। প্রথমদিকে বিএনপির ছাত্রদল নেতা ও ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টুসহ সাতজনকে আসামি করা হয়।

পরের বছর তদন্তে কোনো সাক্ষী না পাওয়ায় পুলিশ আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়, যা তৎকালীন বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে গৃহীত হয়। তবে আদালত ওই প্রতিবেদন গ্রহণ না করে অধিকতর তদন্তের জন্য মামলাটি সিআইডিতে পাঠান।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মামলাটি পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। ১৯৯৭ সালের ৩ এপ্রিল পুলিশ বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের ৫২ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগপত্র দাখিল করে। দীর্ঘদিন বিচারিক প্রক্রিয়া চলার পর অবশেষে আজ হাইকোর্টের রায়ে সকল আসামিকে খালাস দেওয়া হলো।

Header Ad
Header Ad

হাসিনার লাইভ প্রচারের আগেই নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ফেসবুক পেজ উধাও

নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ফেসবুক পেজ উধাও। ছবি: সংগৃহীত

নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বাংলাদেশি ইথিক্যাল হ্যাকিংগ্রুপ ‘সাইবার কমিউনিটি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তারা ছাত্রলীগের পেজটি নিষ্ক্রিয় করেছে।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ফেসবুকে একাধিকবার খুঁজেও পেজটি পাওয়া যায়নি।

এদিকে সাইবার কমিউনিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে রাত ৯টায় লাইভে আসার কথা।’ সেই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দিনগত রাত ২.১০ মিনিটে ছাত্রলীগের ওই পেজটি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। সেই সাথে আওয়ামী লীগের ভেরিফাইড পেজের বিরুদ্ধেও কাজ চলমান।

‘সাইবার কমিউনিটি’ জুলাই আন্দোলনে বাংলাদেশে সাইবার যোদ্ধা হিসেবে মানুষের আস্থার জায়গা করে নিয়েছে, এরই ধারাবাহিকতায় এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

এদিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে লেখেন, হাসিনাকে বক্তব্য প্রকাশের সুযোগ দেয়াকে বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদ-বিরোধী জনগণের বিরুদ্ধে ভারতের যুদ্ধ হিসেবে দেখি।

ফেব্রুয়ারিতেই ছাত্র-তরুণের নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ফেব্রুয়ারিতেই ছাত্র-তরুণের নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভারতে পালিয়ে যায় শেখ হাসিনা। সেখান থেকেই তিনি ও তার দলের নেতাকর্মীরা বিভিন্নভাবে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

২ আলাদা বিভাগসহ দেশকে ৪ প্রদেশে ভাগ করার সুপারিশ
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় হাইকোর্টের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ আসামিসহ সবাই খালাস
হাসিনার লাইভ প্রচারের আগেই নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ফেসবুক পেজ উধাও
হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা
বিচারবিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর
গাজীপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সবজিবাহী পিকআপ খাদে, চালকসহ নিহত ৩
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনে জনগনের মতামত চাইলো হাসনাত  
এই ফটো তোলোস কেন? আদালত চত্বরে শাহজাহান ওমর  
মনে হচ্ছে বিবিসি বাংলা গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার ভক্ত : প্রেস সচিব  
পটুয়াখালীতে বাংলাভিশনের সাংবাদিককে কুপিয়ে জখম  
উত্তরবঙ্গে অনির্দিষ্টকালের জন্য তেল বিক্রি বন্ধ
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ধাপের আখেরি মোনাজাত আজ  
শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার নিয়ে কড়া বার্তা হাসনাত আবদুল্লাহর  
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার রায় আজ    
সুইডেনে স্কুলে বন্দুক হামলা নিহত ১০ জন  
বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত গ্রেফতার  
জাবিতে পোষ্য কোটা সম্পূর্ণরূপে বাতিলের ঘোষণা  
মুসলিম লীগ যেমন বিলুপ্ত হয়েছে, আওয়ামী লীগও বিলুপ্ত হবে : সলিমুল্লাহ খান
ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ রাব্বীসহ ৮ বুয়েট শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার  
জীবননগর সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে বাংলাদেশি যুবক আটক