শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | ৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-৪ আসনে লড়তে চান মেধা

সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর - কালিগঞ্জ উপজেলার আংশিক) আসনে জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ মাসুদা খানম মেধা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের জন্য এই আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন তিনি।

বর্তমানে শেখ মাসুদা খানম মেধা সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টার দায়িত্বে রয়েছেন। নিজেকে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক এবং শেখ হাসিনার সততার নীতিতে বিশ্বাসী একজন আওয়ামী লীগের কর্মী বলে দাবি করেন।

পারিবারিকভাবে আওয়ামী পরিবারের সন্তান শেখ মাসুদা খানম মেধা ১৯৭৬ সালে গোপালগঞ্জ জেলার মানিকহার গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মরহুম শেখ আবুল হোসেনসহ পরিবারের সদস্যদের অনুপ্রেরণাতে ৯০ এর দশকে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন শেখ মাসুদা খানম মেধা। পরে ২০০১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপ-কমিটিতে সদস্য পদ লাভ করেন। বর্তমানে তিনি সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টার দায়িত্বে রয়েছেন।

এ ছাড়াও রাজনৈতিক জীবনে বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়ার সুবাদে বহুবার হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি।

এর আগে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিতব্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-৪ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন চান মাসুদা খানম মেধা। সেই বারের নির্বাচনে মনোনয়ন পাননি তিনি। তবে, গেল দুই মেয়াদে ওই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্যর বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সমালোচনার মুখে পড়ে খোদ আওয়ামী লীগ সরকার। যেটা নিয়ে নিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতারা বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে। যার প্রভাব পড়ে ওই আসনের তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মাঝে। তা ছাড়াও বিভিন্ন কারণে বর্তমান সংসদের সাথে শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট কয়েকজন নেতার বিরোধে বিভক্ত তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তবে এবার যদি এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন লাভ করে তাহলে বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবেন তিনি। আর এমনটাই ধারণা ওই আসনের তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের।

সাতক্ষীরা-৪ আসন মূলত অসংখ্য নদ-নদী দিয়ে বেষ্টিত। এই আসনে উপকূলীয় অঞ্চলজুড়ে বসবাসরত সিংহভাগ মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে বাস করে। সুপেয় পানির সংকট, নদী ভাঙনসহ নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত হওয়ায় দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে তাদের জীবনযাপন। সরকার, বিভিন্ন এনজিও সংস্থা, সেচ্ছাসেবী সংগঠন উপকূলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এ ছাড়াও ব্যক্তি পর্যায়ে অনেকে উপকূলের মানুষের পাশে থেকে কাজ করে। ব্যক্তি পর্যায়ে যারা উপকূলের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে তাদের মধ্য অন্যতম একজন শেখ মাসুদা খানম মেধা বলে জানান ওই আসনে বসবাসরত মানুষেরা।

মাসুদা খানম মেধা প্রসঙ্গে কুশুলিয়া ইউনিয়নের যুবলীগ সুলতান আহম্মেদ বলেন, সাতক্ষীরা ৪ আসনে বেশ জনপ্রিয় একজন শেখ মাসুদা খানম মেধা। রাজনৈতিক নেত্রী হিসেবে তিনি যেমন দক্ষ ও কর্মীবান্ধব ঠিক তেমনি ভাবে মানবিক ব্যক্তি। তাকে কোনো কিছু বলা লাগে না। কারও সমস্যার কথা যখন তিনি অবগত হন তখন তাকে সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করেন। বর্তমানে যারা দায়িত্বে আছেন জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে তারাও মাসুদার চেয়ে অনেকাংশে পিছিয়ে রয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।

সুলতান আহম্মেদের মতো রতনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা রাজু বলেন, যদি যোগ্যতা দ্বারা পরিমাপ করা হয় তাহলে শেখ মাসুদা খানম মেধা কোনো অংশে কম নয়। একটি ব্যাংকে চাকরি করলেও তিনি কখনও জনসেবা থেকে পিছপা হননি।

তিনি দাবি করেন, আপনারা গণমাধ্যম কর্মী খোজঁ নেন তাহলে আপনারাও আমাদের সাথে একমত হবেন যে একজন নেত্রী ও ব্যক্তি হিসেবে মাসুদা কতটুকু জনপ্রিয়।

এ সময় যুবলীগের এই নেতা বলেন, এই আসনে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা বিভক্ত। এখানে যেমন জামায়াতের প্রভাব আছে তেমন জাতীয় পার্টির। এ কারণে যদি দল বিতর্কিত ও জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন কাউকে মনোনয়ন দেয় তাহলে তৃণমূলের বিভক্ত নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করা অনেক কঠিন হয়ে যাবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতারা জানান, বর্তমানে সাতক্ষীরা ৪ আসনের রাজনীতি ঘৃর্ণীত পর্যায়ে পৌঁছেছে। এতোটাই ঘৃর্ণীত পর্যায়ে পৌঁছেছে যে কোনো মনোনয়ন প্রত্যাশী যদি সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড প্রচারণা বা তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সাথে মতবিনিময় করার উদ্যোগ নেন সেখানে দলীয় নেতা-কর্মীদের না যেতে অপরপক্ষ হুমকি-ধামকি দেয়।

ঘৃর্ণীত এই রাজনীতির অবসান চেয়ে তারা বলেন, বিভিন্ন কারণে দলীয় নেতা-কর্মীরা আজ বিভক্ত। সবাই ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া। তবে এখন নতুনদের সুযোগ দেওয়া দরকার। তা না হলে ভর্বিষতে আরও কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারে আওয়ামী লীগ।

শেখ মাসুদা খানম মেধা প্রসঙ্গে তারা বলেন, নিঃসন্দেহে মাসুদা একজন জনপ্রিয় কর্মীবান্ধব নেত্রী। দল যদি তাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি থাকবে না। তবে বিতর্কিত কেউ মনোনয়ন পেলে আমরা হয়তো দলের স্বার্থে তাকে সমর্থন করব। তবে সাধারণ জনগণ কী করবে সেটা বলা মুশকিল। এ কারণে, আমরা বিশ্বাস করি আমাদের প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা আপা সবকিছু বিবেচনা করে যোগ্য ব্যক্তিকে এই আসনে দলীয় মনোনয়ন দিবেন।

মনোনয়ন পাবার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে শেখ মাসুদা খানম মেধা বলেন, দলকে ভালোবেসে অনেক ত্যাগ স্বীকার করে ছাত্রজীবন থেকেই আন্দোলন-সংগ্রামে ভূমিকা রেখে আসছি। আশা করি দল সেটি মূল্যায়ন করবে। আর দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে এ আসনটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এসআইএইচ

 

Header Ad
Header Ad

ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালই যেন নিজেই অসুস্থ!

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসেন ভূঞাপুর ছাড়াও আশপাশের গোপালপুর, ঘাটাইল ও কালিহাতী উপজেলার অসংখ্য মানুষ। তবে জনগুরুত্বপূর্ণ এই হাসপাতালটি বর্তমানে নিজেই এক অসুস্থ প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছে।

বছরের পর বছর ধরে চলে আসা নানা অব্যবস্থাপনা, জনবল ও যন্ত্রপাতির ঘাটতি এবং অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ—সব মিলিয়ে এই সরকারি হাসপাতালটি এখন রোগীদের ভোগান্তির আরেক নাম।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের ভিতর ও বাইরের পরিবেশ একেবারেই নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত। নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা থেকে ছড়াচ্ছে তীব্র দুর্গন্ধ, যা রোগী ও তাদের স্বজনদের দীর্ঘ সময় ধরে সইতে হচ্ছে। বিশেষ করে টয়লেটের অবস্থা ভয়াবহ; অধিকাংশ টয়লেট ব্যবহারের অযোগ্য এবং পরিচ্ছন্নতার কোনো ব্যবস্থাই নেই। পুরুষ ও নারী ওয়ার্ড উভয়ের রোগীরা এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় হাসপাতাল কার্যত অন্ধকারে ডুবে যায়। হাসপাতালে একটি জেনারেটর থাকলেও তা চালু করা হয় না এবং সেটিও বহু পুরনো। হাতে গোনা কয়েকটি চার্জিং বাল্ব থাকলেও সেগুলোর অনেকগুলোর আলো টিকেই না, কিছু সময় পর বন্ধ হয়ে যায়। শিশু ওয়ার্ডের (ডায়রিয়া) মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চার্জিং বাল্ব পর্যন্ত নেই। ফলে রাতের বেলায় এক ভয়ংকর ভূতুড়ে পরিবেশ সৃষ্টি হয়। আলো না থাকায় নার্সদের মোবাইল ফোনের ফ্ল্যাশলাইট ব্যবহার করে সেবা দিতে দেখা গেছে।

চরম গরমে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধ রোগীরা। শিশু ওয়ার্ডে থাকা আটটি ফ্যানের মধ্যে তিনটি সম্পূর্ণ নষ্ট, আর যেগুলো সচল রয়েছে, বিদ্যুৎ না থাকায় সেগুলোও চলে না। ফলে শিশু রোগীরা ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস করছে, তাদের স্বজনরা হাতপাখা বা চার্জার ফ্যান নিয়ে চেষ্টা করছেন কিছুটা স্বস্তি দিতে।

হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রবেশ করে দেখা যায়, মেঝেতে ময়লার দাগ, দেয়ালে থুতু, কফ ও পানের পিকের ছিটা। শয্যা ও ওষুধ রাখার ট্রেগুলোতেও দেখা গেছে মরিচা ও জমে থাকা ময়লা। এসব স্থানে মাছি ঘুরে বেড়াচ্ছে অবলীলায়, যা পুরো হাসপাতালের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশকে আরও প্রকট করে তুলেছে।

এমন পরিবেশে চিকিৎসা নিচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর আলী, যিনি হাসপাতালের বারান্দায় ফ্যানহীন পরিবেশে ভর্তি রয়েছেন। অভিযোগ করে তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দেওয়ার পরও কোনো বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়নি। টয়লেট ব্যবহারের অনুপযোগিতা নিয়েও তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

তিন মাসের শিশুকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোজিনা বেগম বলেন, টয়লেটের অবস্থার কারণে তিনি পানি ও খাবার খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন, যেন টয়লেট ব্যবহার না করতে হয়। টয়লেটে ঢোকা তো দূরের কথা, পাশে দাঁড়ানোও কষ্টকর হয়ে পড়েছে দুর্গন্ধ ও অপরিচ্ছন্নতার কারণে।

গোপালপুর উপজেলার বড়শিলা গ্রামের রোগীর স্বজন সাজেদা বেগম বলেন, এখানে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীর স্বজনরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। কোনো অভিযোগ করার সুযোগ নেই, আর কেউ কিছু বললেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।

স্থানীয়দের দাবি, ২০২২ সালে ডা. মোহাম্মদ আব্দুস সোবহান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) হিসেবে যোগদানের পর থেকেই হাসপাতালের এই বেহাল অবস্থা তৈরি হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা, কর্মচারী ও নার্স জানান, ডা. সোবহান কর্তৃত্ববাদী মনোভাব পোষণ করেন। তার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ থাকলেও প্রশাসনিকভাবে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উল্টো অভিযোগকারীরা বদলি বা হয়রানির শিকার হওয়ার আশঙ্কা করছেন।

তবে আরএমও ডা. খাদেমুল ইসলাম বলেন, “সমস্যা যে নেই, সেটা বলছি না। তবুও আমরা সীমিত জনবল ও সামর্থ্যে কাজ করে যাচ্ছি। শতভাগ কাজ সম্ভব হয় না।”

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আব্দুস সোবহান বলেন, “জেনারেটর থাকলেও সেটি চালাতে সরকারি বরাদ্দ নেই। মাঝেমধ্যে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালানো হয়। ক্লিনার মাত্র একজন, মাঝে মাঝে বাইরে থেকে লোক ডেকে এনে পরিষ্কার করাতে হয়। আর ফ্যান বা লাইট যেকোনো সময় নষ্ট হতে পারে, যখন জানা যায়, তখনই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।” বীর মুক্তিযোদ্ধার বারান্দায় চিকিৎসা নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, “মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কেভিনের ব্যবস্থা রয়েছে। যদি এমন কিছু হয়ে থাকে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সার্বিকভাবে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা যে ভয়াবহ নাজুক অবস্থায় রয়েছে, তা এই চিত্রগুলো স্পষ্ট করে দেয়। দ্রুত সময়ের মধ্যে যথাযথ নজরদারি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নিলে, এই হাসপাতাল রোগীদের সুস্থতার জায়গা হয়ে না থেকে এক ভয়াবহ দুর্ভোগের কেন্দ্রে পরিণত হতে পারে।

Header Ad
Header Ad

জাতীয় পার্টি কোনো সুবিধাবাদী দল নয়: জিএম কাদের

জাতীয় পার্টি (জাপা) কোনো সুবিধাবাদী দল নয় বলে দাবি করেছেন দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। আজ শনিবার সকালে রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে আয়োজিত বর্ধিত সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের নামে অনেক ধরনের অপপ্রচার করা হচ্ছে। কিছু মানুষ আমাদেরকে নানাভাবে হেনস্তা করার চেষ্টা করছেন। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন মাধ্যমে বক্তব্য-বিবৃতি দিয়ে জানাশোনা কথাকে তারা ভুলভাবে তুলে ধরছেন। তাদের কথা হলো- আমরা সুবিধাবাদী, সুবিধাভোগী।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, আমরা বলতে চাই জাতীয় পার্টির সিংহভাগ মানুষ সব সময় জনগণের পাশে ছিল। জনগণের স্বার্থে তারা সংগ্রাম করেছে। আগামীতেও তারা জনগণের পাশেই থাকবে।

 

Header Ad
Header Ad

প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে আইসিইউতে পরিচালক সৃজিত মুখার্জি

ছবি: সংগৃহীত

ওপার বাংলার জনপ্রিয় নির্মাতা সৃজিত মুখার্জিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর সমস্যা নিয়ে শুক্রবার মধ্যরাতে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হয় তাকে। পরে চিকিৎসকরা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণের জন্য আইসিইউতে নিয়ে যান।

পরিচালকের ঘনিষ্ঠ সুত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, গতকাল রাতে হঠাৎই শ্বাসকষ্ট শুরু হয় সৃজিতের। সেই সঙ্গে বুকে হালকা ব্যথাও অনুভব করছিলেন পরিচালক। এরপর রাত সাড়ে ১২ টার দিকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয় তাকে।

সেখানে রাতেই বেশ কিছু টেস্ট করানো হয়। শনিবার টেস্টের রিপোর্ট পাওয়ার কথা রয়েছে। আর তা দেখে চিকিৎসকেরা সিদ্ধান্ত নেবেন কতদিন পরিচালককে হাসপাতালে থাকতে হবে।

আরও পড়ুন: অন্তরঙ্গ দৃশ্যের আগে প্রেমিক ও পরিবারের অনুমতি নিয়েছিলেন কৌশানি। তবে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, সৃজিতের শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল।

সদ্যই লিমকা বুক অফ রেকর্ডসের তালিকায় স্থান দখল করেছে সৃজিতের ‘অতি উত্তম’। ইনস্টাগ্রামে গর্বের কথা শেয়ার করেছেন তিনি। তাছাড়া এই নির্মাতার নতুন সিনেমা ‘কিলবিল সোসাইটি’ মুক্তি পেয়েছে গত ১১ এপ্রিল।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালই যেন নিজেই অসুস্থ!
জাতীয় পার্টি কোনো সুবিধাবাদী দল নয়: জিএম কাদের
প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে আইসিইউতে পরিচালক সৃজিত মুখার্জি
জুলাই গণঅভ্যুত্থান যেন কোনোভাবেই ব্যর্থ না হয় : নাহিদ ইসলাম
আ.লীগের মিছিল ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশ
হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর সেই শিশু সেহেরিশের লাশ উদ্ধার
আগামী ঈদের আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কাজ করছে সরকার
লাল কাপড়ে ঢাকা হবে দেশের সব পলিটেকনিকের ফটক
৬০ বছর বয়সে বিয়ে করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ১২ কেজি রূপার গয়না জব্দ
ফয়জুল করীমকে বরিশালের মেয়র ঘোষণার দাবি
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি যুবক নিহত
গোবিন্দগঞ্জে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আটক
বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে বিএসএফের হাতে তুলে দিল ভারতীয়রা
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক শনিবার
বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পাকিস্তান
গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, শিশুসহ একই পরিবারের ১৩ জন নিহত
ভারতীয় ক্রিকেটাররা আমাকে নগ্ন ছবি পাঠাত, অভিযোগ ট্রান্সজেন্ডার ক্রিকেটারের
১৮৭ জনকে নিয়োগ দেবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর