শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৩ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পরিবর্তন আনা হলো সাতক্ষীরার আম সংগ্রহের ক্যালেন্ডারে

সংবাদ প্রকাশের পর টনক নড়েছে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি বিভাগের। পরিবর্তন আনা হয়েছে আম ক্যালেন্ডারে। বুধবার (৩ মে) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের আইডি থেকে একটি ছবিযুক্ত পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়। শুধুমাত্র গোবিন্দভোগ প্রজাতির আম ভাঙার তারিখে পরিবর্তন করা হলেও অন্যান্য আম ভাঙার ক্ষেত্রে আগের আম ক্যালেন্ডার বিদ্যমান রয়েছে।

এর আগে বুধবার (৩ মে) সকালে 'ঢাকাপ্রকাশ' অনলাইন নিউজ পোর্টালে ‘‘আম ক্যালেন্ডারে আর্থিক ক্ষতির দাবি সাতক্ষীরার চাষি-ব্যবসায়ীদের’’ শীর্ষক শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়। সংবাদটি প্রকাশের সাথে সাথে আলোচনা ও সমালোচনার মুখে পড়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি বিভাগ। এর কয়েক ঘণ্টার ভিতরে শুধুমাত্র গোবিন্দভোগ প্রজাতির আম ভাঙার তারিখ পরিবর্তন করে পুনরায় সংশোধিত আম ক্যালেন্ডার প্রকাশ করে জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ। তবে এই সংশোধিত আম ক্যালেন্ডার যুক্তিসঙ্গত ক্যালেন্ডার নয়। বরং এতে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত ও হয়রানির শিকার হবে বলে ধারণা নাগরিক সমাজের।

তবে পরিবর্তন নয় বরং আম ক্যালেন্ডার পুরোপুরিভাবে বাতিল চান প্রান্তিক পর্যায়ের চাষীরা। তারা জানান, এই আম ক্যালেন্ডারটা অযৌক্তিক। কেউ যদি কেমিক্যাল দ্রব্য দিয়ে আম বাজারজাত করে তাহলে প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক। একজনের অপরাধের জন্য হাজার হাজার চাষির রিযিক নিয়ে নয়-ছয় সিদ্ধান্ত নেওয়া মোটেও যুক্তিসংগত না। আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জে যদি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ আম ক্যালেন্ডার না করে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তাহলে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ কেন নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না? বলে প্রশ্ন রাখেন তারা।

জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর জেলার ৪ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ করেছেন ১৩ হাজার ১০০ চাষি। যার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৫ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন। আর চাষ করা ওই আমের ভিতরে শুধুমাত্র ল্যাংড়া আম ব্যতিত গত দুই বছরের ব্যবধানে বিভিন্ন প্রজাতির আম ভাঙতে পেছানো হয়েছে ১০ থেকে ১১ দিন।

জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের এমন সিদ্ধান্তের কারণে প্রতি বছর আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়ছে সাতক্ষীরার আম চাষিরা। কেননা, ভৌগলিক কারণে দেশে প্রথম আম পাকে সাতক্ষীরায়। সেখানে জেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি বিভাগ প্রতি বছর আম ভাঙার তারিখ পিছিয়েছে। কারণ হিসেবে তারা বলছে, 'অপরিপক্ব কেমিক্যাল মেশানো আম বাজারজাত রোধে তাদের এই সিদ্ধান্ত।' এখন জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত যদি যৌক্তিক হয় তাহলে সংশোধিত আম ক্যালেন্ডার কেন প্রকাশ করল? সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে জনমনে! সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের সমন্বয়ে প্রকাশিত সংশোধিত আম ক্যালেন্ডার প্রমাণ করে তাদের নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো ভুল ছিল।

খোজঁ নিয়ে জানা যায়, দেশের অধিকাংশ জায়গায় আম ক্যালেন্ডার প্রকাশ না করা হলেও সেক্ষেত্রে ভিন্ন সাতক্ষীরা। গেল দুই বছরের ব্যবধানে এবার বিভিন্ন প্রজাতির আম (ল্যাংড়া আম ব্যতিত) ভাঙার তারিখ পেছানো হয়েছে ১০ থেকে ১১ দিন। আর জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের এমন সিদ্ধান্তের কারণে সাতক্ষীরার আম থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বিভিন্ন এজেন্ট। প্রকাশিত আম ক্যালেন্ডারের ওই সময়ে দেশের অন্যান্য জায়গার আম পাকে। আর সাতক্ষীরার চেয়ে বাজার দর কম ও পরিবহন খরচ কম হওয়াতে ওই সমস্ত এলাকায় ঝুঁকছেন এজেন্টরা। এতে করে ইউরোপসহ বিশ্ববাজারে এবার সাতক্ষীরার আম রপ্তান্তিতে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

এদিকে, ঢাকাপ্রকাশে ওই সংবাদ প্রকাশের পর স্বস্তি ফিরেছে আম ব্যবসায়ী ও চাষিদের মাঝে। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে নাম প্রকাশ করতে আগ্রহী নন কেউ।

এ প্রসঙ্গে জেলার একাধিক আম চাষি ও ব্যবসায়ীরা বলেন, জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের হুটহাট সিদ্ধান্তের কারণে এবার সবচেয়ে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন তারা। তারা যে সময়টা বেঁধে দিয়েছে সে সময়ের আগে সিংহভাগ বাগানে আম পাকবে। এখন মুখে যত বলুক আম অগ্রিম পাকলে ভাঙা যাবে। তবে বাস্তবতা অনেকটা ভিন্ন। এতে আম চাষি ও ব্যবসায়ীদের প্রচুর হয়রানির শিকার হতে হয় বলে দাবি করেন তারা।

তারা আরও বলেন, আমটা কখন পাকবে সেটা আবহাওয়া ও ভৌগলিক অবস্থার উপর নির্ভর করে। অথচ জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ আম ক্যালেন্ডার প্রকাশ করেছে। কারণ হিসেবে তারা (জেলা প্রশাসন ও কৃষিবিভাগ) বলছে, নিরাপদ আম বাজারজাত করতে তাদের এমন সিদ্ধান্ত। এখন কিছু সময়ের জন্য হলেও আমরা মেনে নিলাম প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ নিরাপদ আম বাজারজাত করতে কঠোর ভূমিকা রাখছে। তবে আপনারা (সাংবাদিকরা) নিশ্চয় অবগত আছেন, গত সোমবার দেবহাটাতে ৮ টন আম নষ্ট করে উপজেলা প্রশাসন। আর কয়েক টন কাঁচা আম জব্দ করে স্থানীয় বাজারে আচারের জন্য বিক্রি করে। যে আম গুলো নষ্ট করা হয়েছে সেগুলো কেমিক্যাল মিশ্রিত ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলে জানানো হয়। অথচ নামমাত্র ওই আম নষ্ট করার পর প্রশাসন ও গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতিতে ওই আম নিতে স্থানীয়দের ভিতরে লঙ্কাকাণ্ড শুরু হয়। অথচ সেই সময় নিশ্চুপ ছিলেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

ক্ষোভ প্রকাশ করে আম চাষি ও ব্যবসায়ীরা বলেন, এমনটা না যে অপরিপক্ব আম খাওয়া যায় না বা সেটা থেকে কিছু তৈরি করা যায় না। অপরিপক্ব আম দিয়ে আচার, চাটনী তৈরি হয়। এ কারণে অনেক ব্যবসায়ী অপরিপক্ব আম বাজারজাত করেন। অথচ দেবহাটার ওই ঘটনায় দেখুন। যেখানে একটি মিনি পিকাপে অপরিপক্ব কাঁচা আম জব্দ করে প্রশাসন। ওই আমে কোনো কেমিক্যাল পাওয়া না গেলেও প্রশাসন সেটা স্থানীয় বাজারে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়। এখন কোনটা ঠিক কোনটা বেঠিক সেটা আমাদের চেয়ে আপনারা ভালো অনুমান করতে পারবেন বলে সাংবাদিকদের জানান তারা।

এ বিষয়ে দেশের একমাত্র আম গবেষণা কেন্দ্রের (চাপাইনবাবগঞ্জ) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আবহাওয়া ও ভৌগলিক অবস্থান ভেদে দেশের বিভিন্ন জায়গাতে একেক সময় আম পাকে। একটা সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম ক্যালেন্ডার হতো। তবে এই তিন বছর এই জেলাতে কোনো আম ক্যালেন্ডার করা হয় না।’

আম ক্যালেন্ডার না করার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ গবেষণার প্রেক্ষিতে যখন আমরা বুঝতে পারলাম আম ক্যালেন্ডারের কারণে লাভের চেয়ে ক্ষতির পরিমাণটা বেশি তখন ওই আম ক্যালেন্ডারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছি। বর্তমানে এখনকার চাষিরা তাদের সুবিধা মতো আম বাজারজাত করেন। আর আমরাসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ বাজার মনিটরিং করি। যাতে কেমিক্যাল মিশ্রিত আম কেউ বাজারজাত করতে না পারে।’

এক্ষেত্রে ওই এলাকার সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের প্রতি ওই কর্মকর্তার পরামর্শ জানতে চাইলে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আম ক্যালেন্ডারের কারণে চাষি-ব্যবসায়ী উভয়ে কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এখন আম ক্যালেন্ডার না করে যদি বাজার মনিটরিং ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কে চেকপোষ্ট বসিয়ে তল্লাশি গুরুত্ব দেওয়া হয় তাহলে কেমিক্যাল মিশ্রিত আম বাজারজাত না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এতে করে একদিকে যেমন অসাদু ব্যবসায়ীরা কোণঠাসা হয়ে পড়বে অপরদিকে প্রান্তিক পর্যায়ের চাষিরা তাদের সুবিধা মতো আম বাজারজাত করতে পারবে।’

এ প্রসঙ্গে সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. শেখ আজাদ হোসেন বেলাল বলেন, ‘সব কিছুর একটি সিষ্টেম রয়েছে। এমন কিছু করা ঠিক না যেখানে লাভের চেয়ে ক্ষতির পরিমাণটা বেশি হয়। জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ যে আম ক্যালেন্ডার প্রকাশ করেছে সেটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক একটি সিদ্ধান্ত।

তিনি বলেন, ‘কাঁচা আম দিয়ে তো অনেক কিছু তৈরি করা যায়। তাহলে আম চাষিরা কেন অপরিপক্ব অবস্থায় আম ভাঙতে পারবে না? প্রশাসনের উচিত বাজার মনিটরিং করা। যাতে কেমিক্যাল মিশ্রিত আম বাজারজাত না হয়।'

আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রসঙ্গ তুলে ধরে শেখ আজাদ হোসেন বেলাল বলেন, ‘দেশের ভিতরে আমের জন্য বিখ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জ। যেখানে সাতক্ষীরার চেয়ে ৯ গুণ বেশি আমের চাষ হয়। অথচ সেখানে এই তিন বছর আম ক্যালেন্ডার হয় না। বরং সেখানকার চাষিরা তাদের সুবিধা মতো আম বাজারজাত করেন। আর সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ কঠোরভাবে সেটা মনিটরিং করেন। যাতে কেমিক্যাল মিশ্রিত আম কেউ বাজারজাত করতে না পারে। আর এটাতে তারা সফলও হয়েছে।’

চাপাইনবাবগঞ্জে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ আম ক্যালেন্ডার ব্যতিত ভেজালমুক্ত আম বাজারজাত করতে সফল তবে সাতক্ষীরা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ কেন পারে না? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা মূলত দায়িত্ব গাফিলতি হিসেবে ভাবতে পারেন। সরকার প্রতিটি সেকশনে একাধিক কর্মকর্তা নিয়োগ করেছে জনগণের সুবিদার্থে। তাদের উচিত সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করা। এখন সেটা না করে যদি অযৌক্তিকভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় আর সেই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে যদি ভুক্তভোগীরা নিরব থাকে তাহলে এমন ঘটনা অনবরত ঘটতে থাকবে।’

এ সময় ক্ষোভ প্রকাশ করে এই নাগরিক নেতা বলেন, ‘নাগরিক নেতা হওয়ার সুবাদে আমরা বিভিন্ন বিষয়ে অবগত। এই আম ক্যালেন্ডারের কারণে অনেক সরকারি কর্মকর্তা অর্থ নিয়ে অগ্রিম আম ভাঙার অনুমতি দিচ্ছে। অথচ খেটে খাওয়া চাষিরা বা বসত আঙিনায় যারা আম চাষ করেন তারা চাইলে তাদের অগ্রিম পাকা আম বিক্রি করতে পারছেন না। এতে নানা ধরনের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে তাদের।’

এ জন্য আম ক্যালেন্ডার বাতিল করে বাজার মনিটরিং ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কে চেকপোষ্ট বসিয়ে তল্লাসি চালাতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এর আগে এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ (খামারবাড়ি) অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো.সাইফুল ইসলাম বলেছিলেন, 'আম ক্যালেন্ডারের কারণে কোনো চাষি ও ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না।'

এসআইএইচ

Header Ad
Header Ad

সচিবালয়ের সকল বেসরকারি পাস বাতিল, ঢুকতে পারবেন না সাংবাদিকেরাও

সচিবালয়। ছবি: সংগৃহীত

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া সচিবালয়ে প্রবেশের বেসরকারি সব পাস বাতিল করা হয়েছে। অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড দিয়ে আপাতত ঢুকতে পারবেন না সাংবাদিকরাও। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মোঃ খোদা বখস চৌধুরীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সচিবালয়ের সার্বিক নিরাপত্তা বৃদ্ধির স্বার্থে সচিবালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনুকূলে ইস্যুকৃত স্থায়ী প্রবেশ পাস এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ইস্যুকৃত অস্থায়ী প্রবেশ পাস ব্যতীত সব ধরনের অস্থায়ী (বেসরকারি ব্যক্তিবর্গের জন্য) সচিবালয় প্রবেশ পাস বাতিল করা হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সাংবাদিকদের অনুকূলে ইস্যুকৃত অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দ্বারা সচিবালয়ে প্রবেশাধিকার পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এতদ্বারা বাতিল করা হলো।

বিজ্ঞপ্তির শেষে জানানো হয়, বাতিলকৃত বিভিন্ন ক্যাটাগরির সচিবালয় প্রবেশ পাসধারীরা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশ, ক্রাইম কমান্ড এন্ড কন্ট্রোল সেন্টার, ডিএমপি, ১৫ আব্দুল গণি রোড, ঢাকায় স্থাপনকৃত বিশেষ সেলের মাধ্যমে নতুন করে অস্থায়ী প্রবেশ পাসের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সচিবালয়ের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ জারি করা হলো।

উল্লেখ্য, গত বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে সচিবালয়ে ৭ নম্বর ভবনে আগুন লেগে ৬ থেকে ৯তলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়। আগুনে স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের দপ্তরও পুড়ে যায়।

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনা-জয়ের ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচারের প্রমাণ পেয়েছে এফবিআই

শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও অর্থপাচারের প্রমাণ পেয়েছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)। লন্ডনের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এফবিআই।

যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসের সিনিয়র ট্রায়াল অ্যাটর্নি লিন্ডা স্যামুয়েলস স্পেশাল এজেন্ট লা প্রিভোটের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেখতে পান, বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে।

গত ৯ সেপ্টেম্বর এফবিআইয়ের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মানি লন্ডারিং অ্যান্ড লিগ্যাল ইউনিটের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কমিশনের সদর দপ্তরে বৈঠক করেন। এই বৈঠকে বিপুল পরিমাণ দলিল বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

দুদক কর্মকর্তারা জানান, গত ১ অক্টোবর বাংলাদেশে ইইউ ডেলিগেশনের হেড অব কো-অপারেশন মাইকেল ক্রেজার নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল দুদকের তৎকালীন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পাচার হওয়া তহবিল প্রত্যাবাসন এবং কমিশনের পরিচালন সক্ষমতা বাড়াতে কারিগরি সহায়তা নিয়ে আলোচনা করেন। শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে

যুক্তরাষ্ট্রে ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগও তদন্ত শুরু করেছে দুদক। সংস্থার কর্মকর্তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পকে বলেন, শেখ হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ অধিকতর তদন্তের জন্য দুদকের মহাপরিচালক (বিশেষ তদন্ত) বরাবর পাঠানো হয়েছে।

গত ১৭ ডিসেম্বর দুদকের মহাপরিচালক আখতার হোসেন জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ৯টি অগ্রাধিকার উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে শেখ হাসিনা, জয়, হাসিনার বোন শেখ রেহানা, ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ওঠা ৭০০ কোটি ডলার আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে পৃথকভাবে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।

সূত্র জানায়, বেপজা ও বেজার আওতাধীন নয়টি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, আশ্রয়ণসহ আরও কিছু প্রকল্প। ৭০০ কোটি ডলারের মধ্যে শুধু রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প থেকেই ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাৎ করা হয়েছে। বাংলাদেশে দুর্নীতিবিরোধী তদন্তে টিউলিপ সিদ্দিকসহ তার পরিবারের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

টিউলিপ ২০১৩ সালে রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও অস্ত্র সরবরাহের একটি চুক্তির মধ্যস্থতা করছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছিল।

টিউলিপের খালা শেখ হাসিনা ২০ বছরেরও বেশি সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং এখন দুর্নীতি দমন কমিশনের বিস্তৃত তদন্তের মুখোমুখি হচ্ছেন। টানা ১৫ বছর শাসনের পর শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে ভারতে পালিয়ে যান হাসিনা।

দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তাদের মতে, ২০১৪ সালে ‘যুক্তরাষ্ট্র বনাম রিজভী আহমেদের মামলায়’ সজীব ওয়াজেদ জয়ের নাম প্রথম নজরে আসে। এফবিআইয়ের তদন্তে জয়ের গুরুতর আর্থিক অসদাচরণের বিষয়টি উঠে আসে। বিশেষত জয়ের নামে হংকং এবং কেম্যান দ্বীপপুঞ্জের বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি এবং লন্ডন ব্যাংকে অর্থ স্থানান্তরিত করার তথ্য সামনে এসেছে। এফবিআই তাদের লন্ডন প্রতিনিধির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এবং গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও অর্থ পাচারের প্রমাণ পেয়েছে।

একজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বিচার বিভাগের একজন বিশেষ এজেন্ট নিশ্চিত করেছেন, কেম্যান আইল্যান্ড ও হংকংয়ের শেল কোম্পানির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশ থেকে ৩০ কোটি ডলার জমা হয়েছে।

এ বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনা অনেকাংশেই সত্য। আমরা ভবিষ্যতে আরও সুনির্দিষ্ট তথ্য পেতে পারি। এ বিষয়ে আমরা পরে সরাসরি কথা বলব।

বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত শ্বেতপত্র অনুযায়ী, কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অবৈধ তহবিল প্রবাহের কারণে ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বার্ষিক ১৬ বিলিয়ন ডলার হারিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

দুর্নীতিবাজদের ফাইলগুলো পুড়ে গেছে : রুহুল কবির রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু হওয়ার পরই সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা রহস্যজনক। শুক্রবার রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে জাতীয়তাবাদী ৮৮ এসএসসি ব্যাচ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী অভিযোগ করেন, সচিবালয়ের মতো নিরাপদ সরকারি দপ্তরে আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফাইল। এর মধ্যে রয়েছে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত সাবেক কেবিনেট সচিবের ফাইল, যার ওপর তদন্ত চলছিল। তিনি প্রশ্ন করেন, “শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠজনদের ফাইল তলব করার পরপরই কেন এমন ঘটনা ঘটল? এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়, বরং পরিকল্পিত।”

তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার স্বৈরাচারের দোসরদের চিহ্নিত করে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। শেখ হাসিনার সহযোগীদের প্রশাসনে বসিয়ে গণতন্ত্র রক্ষার বিপ্লবকে ব্যর্থ করার চেষ্টা চলছে। যারা অতীতে গণতন্ত্র রক্ষায় আন্দোলন করেছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ তৈরি করার চেষ্টা হচ্ছে।

রিজভী বলেন, নির্বাচন গণতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনকে উপেক্ষা করে সংস্কারের কথা বলছে। তিনি অভিযোগ করেন, “এটি মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দিন আমলের ষড়যন্ত্রের মতো। জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচনই গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি। আনুপাতিক হারে নির্বাচন জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়, কারণ এটি জটিল এবং সরাসরি ভোটাধিকারের বিরোধী।”

রিজভী আরও বলেন, যারা গণতন্ত্রের জন্য জীবন দিয়েছে, তাদের অবদানের প্রতি সম্মান জানিয়ে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের রায়কে গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে সতর্ক করে বলেন, গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করতে হবে এবং কোনো ষড়যন্ত্রমূলক পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকতে হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সচিবালয়ের সকল বেসরকারি পাস বাতিল, ঢুকতে পারবেন না সাংবাদিকেরাও
শেখ হাসিনা-জয়ের ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচারের প্রমাণ পেয়েছে এফবিআই
দুর্নীতিবাজদের ফাইলগুলো পুড়ে গেছে : রুহুল কবির রিজভী
শনিবার যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না
গুম অবস্থায় ভারতের কারাগারে যাওয়ার লোমহর্ষক বর্ণনা সুখরঞ্জন বালির
শেখ হাসিনাকে ‘নারী’ বলতে রাজি নন মৎস্য উপদেষ্টা
সূর্যের সবচেয়ে কাছে মানুষের তৈরি যান
বর্তমান সরকার রিজার্ভ বাড়িয়েছে, ব্যাংক সেক্টর সচল করছে: জামায়াত আমির
বাংলাদেশ জটিল রাজনৈতিক সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে : মির্জা ফখরুল
সংবিধান সংস্কারে রাজনৈতিক দলের সংকল্প জরুরি: অধ্যাপক আলী রীয়াজ
চলতি বছরের বিজিবি-বিএসএফ বৈঠক হচ্ছে না
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে নিহত সবাই একই পরিবারের
ইউসুফ (আঃ)- এর সমাধিতে নিয়ে গেল ইসরায়েলি সেনারা
ইন্টারপোলের রেড নোটিশে ৬৩ বাংলাদেশি: অপরাধীদের ধরতে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজমীর বরখাস্তের আদেশ বাতিল
মাহফিলে আজহারী উঠবেন রাতে, দুপুরেই ভরে গেছে ময়দান
ইসরায়েলি হামলায় অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন ডব্লিউএইচও প্রধান
থাইল্যান্ডে নিখোঁজ হওয়া বাংলাদেশিকে পাওয়া গেল থাই নারীর সঙ্গে হোটেলে  
হাসিনার দোসররা সচিবালয়ে পরিকল্পিতভাবে অগ্নিকাণ্ড করেছে: শাকিল উজ্জামান
ভারতে ইসকন মন্দিরে চিন্ময়ের আইনজীবীর বৈঠক