শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পরিবর্তন আনা হলো সাতক্ষীরার আম সংগ্রহের ক্যালেন্ডারে

সংবাদ প্রকাশের পর টনক নড়েছে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি বিভাগের। পরিবর্তন আনা হয়েছে আম ক্যালেন্ডারে। বুধবার (৩ মে) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের আইডি থেকে একটি ছবিযুক্ত পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়। শুধুমাত্র গোবিন্দভোগ প্রজাতির আম ভাঙার তারিখে পরিবর্তন করা হলেও অন্যান্য আম ভাঙার ক্ষেত্রে আগের আম ক্যালেন্ডার বিদ্যমান রয়েছে।

এর আগে বুধবার (৩ মে) সকালে 'ঢাকাপ্রকাশ' অনলাইন নিউজ পোর্টালে ‘‘আম ক্যালেন্ডারে আর্থিক ক্ষতির দাবি সাতক্ষীরার চাষি-ব্যবসায়ীদের’’ শীর্ষক শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়। সংবাদটি প্রকাশের সাথে সাথে আলোচনা ও সমালোচনার মুখে পড়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি বিভাগ। এর কয়েক ঘণ্টার ভিতরে শুধুমাত্র গোবিন্দভোগ প্রজাতির আম ভাঙার তারিখ পরিবর্তন করে পুনরায় সংশোধিত আম ক্যালেন্ডার প্রকাশ করে জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ। তবে এই সংশোধিত আম ক্যালেন্ডার যুক্তিসঙ্গত ক্যালেন্ডার নয়। বরং এতে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত ও হয়রানির শিকার হবে বলে ধারণা নাগরিক সমাজের।

তবে পরিবর্তন নয় বরং আম ক্যালেন্ডার পুরোপুরিভাবে বাতিল চান প্রান্তিক পর্যায়ের চাষীরা। তারা জানান, এই আম ক্যালেন্ডারটা অযৌক্তিক। কেউ যদি কেমিক্যাল দ্রব্য দিয়ে আম বাজারজাত করে তাহলে প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক। একজনের অপরাধের জন্য হাজার হাজার চাষির রিযিক নিয়ে নয়-ছয় সিদ্ধান্ত নেওয়া মোটেও যুক্তিসংগত না। আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জে যদি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ আম ক্যালেন্ডার না করে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তাহলে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ কেন নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না? বলে প্রশ্ন রাখেন তারা।

জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর জেলার ৪ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ করেছেন ১৩ হাজার ১০০ চাষি। যার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৫ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন। আর চাষ করা ওই আমের ভিতরে শুধুমাত্র ল্যাংড়া আম ব্যতিত গত দুই বছরের ব্যবধানে বিভিন্ন প্রজাতির আম ভাঙতে পেছানো হয়েছে ১০ থেকে ১১ দিন।

জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের এমন সিদ্ধান্তের কারণে প্রতি বছর আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়ছে সাতক্ষীরার আম চাষিরা। কেননা, ভৌগলিক কারণে দেশে প্রথম আম পাকে সাতক্ষীরায়। সেখানে জেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি বিভাগ প্রতি বছর আম ভাঙার তারিখ পিছিয়েছে। কারণ হিসেবে তারা বলছে, 'অপরিপক্ব কেমিক্যাল মেশানো আম বাজারজাত রোধে তাদের এই সিদ্ধান্ত।' এখন জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত যদি যৌক্তিক হয় তাহলে সংশোধিত আম ক্যালেন্ডার কেন প্রকাশ করল? সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে জনমনে! সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের সমন্বয়ে প্রকাশিত সংশোধিত আম ক্যালেন্ডার প্রমাণ করে তাদের নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো ভুল ছিল।

খোজঁ নিয়ে জানা যায়, দেশের অধিকাংশ জায়গায় আম ক্যালেন্ডার প্রকাশ না করা হলেও সেক্ষেত্রে ভিন্ন সাতক্ষীরা। গেল দুই বছরের ব্যবধানে এবার বিভিন্ন প্রজাতির আম (ল্যাংড়া আম ব্যতিত) ভাঙার তারিখ পেছানো হয়েছে ১০ থেকে ১১ দিন। আর জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের এমন সিদ্ধান্তের কারণে সাতক্ষীরার আম থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বিভিন্ন এজেন্ট। প্রকাশিত আম ক্যালেন্ডারের ওই সময়ে দেশের অন্যান্য জায়গার আম পাকে। আর সাতক্ষীরার চেয়ে বাজার দর কম ও পরিবহন খরচ কম হওয়াতে ওই সমস্ত এলাকায় ঝুঁকছেন এজেন্টরা। এতে করে ইউরোপসহ বিশ্ববাজারে এবার সাতক্ষীরার আম রপ্তান্তিতে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

এদিকে, ঢাকাপ্রকাশে ওই সংবাদ প্রকাশের পর স্বস্তি ফিরেছে আম ব্যবসায়ী ও চাষিদের মাঝে। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে নাম প্রকাশ করতে আগ্রহী নন কেউ।

এ প্রসঙ্গে জেলার একাধিক আম চাষি ও ব্যবসায়ীরা বলেন, জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের হুটহাট সিদ্ধান্তের কারণে এবার সবচেয়ে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন তারা। তারা যে সময়টা বেঁধে দিয়েছে সে সময়ের আগে সিংহভাগ বাগানে আম পাকবে। এখন মুখে যত বলুক আম অগ্রিম পাকলে ভাঙা যাবে। তবে বাস্তবতা অনেকটা ভিন্ন। এতে আম চাষি ও ব্যবসায়ীদের প্রচুর হয়রানির শিকার হতে হয় বলে দাবি করেন তারা।

তারা আরও বলেন, আমটা কখন পাকবে সেটা আবহাওয়া ও ভৌগলিক অবস্থার উপর নির্ভর করে। অথচ জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ আম ক্যালেন্ডার প্রকাশ করেছে। কারণ হিসেবে তারা (জেলা প্রশাসন ও কৃষিবিভাগ) বলছে, নিরাপদ আম বাজারজাত করতে তাদের এমন সিদ্ধান্ত। এখন কিছু সময়ের জন্য হলেও আমরা মেনে নিলাম প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ নিরাপদ আম বাজারজাত করতে কঠোর ভূমিকা রাখছে। তবে আপনারা (সাংবাদিকরা) নিশ্চয় অবগত আছেন, গত সোমবার দেবহাটাতে ৮ টন আম নষ্ট করে উপজেলা প্রশাসন। আর কয়েক টন কাঁচা আম জব্দ করে স্থানীয় বাজারে আচারের জন্য বিক্রি করে। যে আম গুলো নষ্ট করা হয়েছে সেগুলো কেমিক্যাল মিশ্রিত ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলে জানানো হয়। অথচ নামমাত্র ওই আম নষ্ট করার পর প্রশাসন ও গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতিতে ওই আম নিতে স্থানীয়দের ভিতরে লঙ্কাকাণ্ড শুরু হয়। অথচ সেই সময় নিশ্চুপ ছিলেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

ক্ষোভ প্রকাশ করে আম চাষি ও ব্যবসায়ীরা বলেন, এমনটা না যে অপরিপক্ব আম খাওয়া যায় না বা সেটা থেকে কিছু তৈরি করা যায় না। অপরিপক্ব আম দিয়ে আচার, চাটনী তৈরি হয়। এ কারণে অনেক ব্যবসায়ী অপরিপক্ব আম বাজারজাত করেন। অথচ দেবহাটার ওই ঘটনায় দেখুন। যেখানে একটি মিনি পিকাপে অপরিপক্ব কাঁচা আম জব্দ করে প্রশাসন। ওই আমে কোনো কেমিক্যাল পাওয়া না গেলেও প্রশাসন সেটা স্থানীয় বাজারে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়। এখন কোনটা ঠিক কোনটা বেঠিক সেটা আমাদের চেয়ে আপনারা ভালো অনুমান করতে পারবেন বলে সাংবাদিকদের জানান তারা।

এ বিষয়ে দেশের একমাত্র আম গবেষণা কেন্দ্রের (চাপাইনবাবগঞ্জ) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আবহাওয়া ও ভৌগলিক অবস্থান ভেদে দেশের বিভিন্ন জায়গাতে একেক সময় আম পাকে। একটা সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম ক্যালেন্ডার হতো। তবে এই তিন বছর এই জেলাতে কোনো আম ক্যালেন্ডার করা হয় না।’

আম ক্যালেন্ডার না করার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ গবেষণার প্রেক্ষিতে যখন আমরা বুঝতে পারলাম আম ক্যালেন্ডারের কারণে লাভের চেয়ে ক্ষতির পরিমাণটা বেশি তখন ওই আম ক্যালেন্ডারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছি। বর্তমানে এখনকার চাষিরা তাদের সুবিধা মতো আম বাজারজাত করেন। আর আমরাসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ বাজার মনিটরিং করি। যাতে কেমিক্যাল মিশ্রিত আম কেউ বাজারজাত করতে না পারে।’

এক্ষেত্রে ওই এলাকার সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের প্রতি ওই কর্মকর্তার পরামর্শ জানতে চাইলে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আম ক্যালেন্ডারের কারণে চাষি-ব্যবসায়ী উভয়ে কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এখন আম ক্যালেন্ডার না করে যদি বাজার মনিটরিং ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কে চেকপোষ্ট বসিয়ে তল্লাশি গুরুত্ব দেওয়া হয় তাহলে কেমিক্যাল মিশ্রিত আম বাজারজাত না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এতে করে একদিকে যেমন অসাদু ব্যবসায়ীরা কোণঠাসা হয়ে পড়বে অপরদিকে প্রান্তিক পর্যায়ের চাষিরা তাদের সুবিধা মতো আম বাজারজাত করতে পারবে।’

এ প্রসঙ্গে সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. শেখ আজাদ হোসেন বেলাল বলেন, ‘সব কিছুর একটি সিষ্টেম রয়েছে। এমন কিছু করা ঠিক না যেখানে লাভের চেয়ে ক্ষতির পরিমাণটা বেশি হয়। জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ যে আম ক্যালেন্ডার প্রকাশ করেছে সেটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক একটি সিদ্ধান্ত।

তিনি বলেন, ‘কাঁচা আম দিয়ে তো অনেক কিছু তৈরি করা যায়। তাহলে আম চাষিরা কেন অপরিপক্ব অবস্থায় আম ভাঙতে পারবে না? প্রশাসনের উচিত বাজার মনিটরিং করা। যাতে কেমিক্যাল মিশ্রিত আম বাজারজাত না হয়।'

আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রসঙ্গ তুলে ধরে শেখ আজাদ হোসেন বেলাল বলেন, ‘দেশের ভিতরে আমের জন্য বিখ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জ। যেখানে সাতক্ষীরার চেয়ে ৯ গুণ বেশি আমের চাষ হয়। অথচ সেখানে এই তিন বছর আম ক্যালেন্ডার হয় না। বরং সেখানকার চাষিরা তাদের সুবিধা মতো আম বাজারজাত করেন। আর সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ কঠোরভাবে সেটা মনিটরিং করেন। যাতে কেমিক্যাল মিশ্রিত আম কেউ বাজারজাত করতে না পারে। আর এটাতে তারা সফলও হয়েছে।’

চাপাইনবাবগঞ্জে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ আম ক্যালেন্ডার ব্যতিত ভেজালমুক্ত আম বাজারজাত করতে সফল তবে সাতক্ষীরা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ কেন পারে না? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা মূলত দায়িত্ব গাফিলতি হিসেবে ভাবতে পারেন। সরকার প্রতিটি সেকশনে একাধিক কর্মকর্তা নিয়োগ করেছে জনগণের সুবিদার্থে। তাদের উচিত সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করা। এখন সেটা না করে যদি অযৌক্তিকভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় আর সেই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে যদি ভুক্তভোগীরা নিরব থাকে তাহলে এমন ঘটনা অনবরত ঘটতে থাকবে।’

এ সময় ক্ষোভ প্রকাশ করে এই নাগরিক নেতা বলেন, ‘নাগরিক নেতা হওয়ার সুবাদে আমরা বিভিন্ন বিষয়ে অবগত। এই আম ক্যালেন্ডারের কারণে অনেক সরকারি কর্মকর্তা অর্থ নিয়ে অগ্রিম আম ভাঙার অনুমতি দিচ্ছে। অথচ খেটে খাওয়া চাষিরা বা বসত আঙিনায় যারা আম চাষ করেন তারা চাইলে তাদের অগ্রিম পাকা আম বিক্রি করতে পারছেন না। এতে নানা ধরনের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে তাদের।’

এ জন্য আম ক্যালেন্ডার বাতিল করে বাজার মনিটরিং ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কে চেকপোষ্ট বসিয়ে তল্লাসি চালাতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এর আগে এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ (খামারবাড়ি) অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো.সাইফুল ইসলাম বলেছিলেন, 'আম ক্যালেন্ডারের কারণে কোনো চাষি ও ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না।'

এসআইএইচ

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত