শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আম ক্যালেন্ডারে আর্থিক ক্ষতির দাবি সাতক্ষীরার চাষী-ব্যবসায়ীদের

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি অফিসের সমন্বয়ে প্রকাশিত আম ক্যালেন্ডারের কারণে পথে বসতে শুরু করেছে প্রান্তিক পর্যায়ের আম চাষীরা। গেল দুই বছরের ব্যবধানে চলতি বছর গোবিন্দভোগ ও আম্রপালি প্রজাতির আম ভাঙতে পেছানো হয়েছে ১০/১১ দিন। ২০২১ সালে ২ মে গোপালভোগ ও গোবিন্দভোগ প্রজাতির আম ভাঙার অনুমতি দেওয়া হলেও দুই বছরের ব্যবধানে এই আম ভাঙতে ১০দিন বৃদ্ধি করে ১২ মে করেছে জেলা প্রশাসন। আর আম্রপালি আম ভাঙতে ১১ দিন বৃদ্ধি করে ৪ জুনের পরিবর্তে করা হয়েছে ১৫ জুন।

জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর জেলার চার হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ করেছেন ১৩ হাজার ১০০ চাষি। এর মধ্যে সদর উপজেলায় এক হাজার ২৩৫ হেক্টর, কলারোয়ায় ৬৫৫ হেক্টর, তালায় ৭১৫ হেক্টর, দেবহাটায় ৩৭০ হেক্টর, কালিগঞ্জে ৮৩৫ হেক্টর, আশাশুনিতে ১৪৫ হেক্টর ও শ্যামনগরে ১৬০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। আর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৫ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন।

এ জন্য গত ১৬ এপ্রিল সকালে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনে কক্ষে নিরাপদ আম বাজারজাতকরণ বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় ১২ মে থেকে সাতক্ষীরার গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, বোম্বাই, গোলাপঘাস, বৈশাখীসহ আরও কয়েকটি প্রজাতির আম, ২৫ মে হিমসাগর, ১ জুন ল্যাংড়া ও ১৫ জুন আম্রপালি ভাঙার অনুমতি দেয় জেলা প্রশাসন।

অথচ আমের রাজধানী হিসেবে পরিচিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত কয়েক বছর ধরে কোনো প্রকার আম ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা হয় না। আম চাষী ও ব্যবসায়ীরা তাদের সুবিধামতো গাছ থেকে ফল সংগ্রহ করে বাজারজাত করেন। এক্ষেত্রে সহযোগিতা করেন সেখানকার সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ। সেখানে সাতক্ষীরার মতো আম ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা কতটুকু যুক্তিসংগত? জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের দায়িত্ব কী? সেটা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।

আম সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভৌগলিক কারণে দেশে প্রথম আম পাকে সাতক্ষীরায়। সেখানে জেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি বিভাগ প্রতি বছর আম ভাঙার তারিখ পেছানোর কারণে প্রতি বছর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা। এ জন্য আম ক্যালেন্ডার বাতিল করে জনসচেতনতা ও বাজার মনিটরিংয়ের উপরে গুরুত্ব দিতে জেলা প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেন তারা।

তবে সাতক্ষীরা জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, প্রকাশিত আম ক্যালেন্ডার নামমাত্র করা। নির্ধারিত তারিখের আগে যদি কোনো বাগানে আম পাকে তা হলে ওই এলাকার সংশ্লিষ্ট কৃষি কর্মকর্তার মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে বাজারজাত করতে পারবেন তারা।

এ প্রসঙ্গে সাতক্ষীরার সদর উপজেলার আম ব্যবসায়ী সুফিয়ান জানান, প্রতি বছর প্রায় ৬০ বিঘা জমিতে আম চাষ করেন তিনি। তবে জেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি বিভাগের প্রকাশিত আম ক্যালেন্ডারের কারণে প্রতি বছর ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। তবে গেল কয়েক বছরের চেয়ে এবার ক্ষতির পরিমাণটা অনেকাংশে বেশি বলে জানান তিনি।

শফিকুল ইসলাম নামে অপর এক আম ব্যবসায়ী জানান, কয়েক লাখ টাকা দিয়ে এবার ৪০টি আম বাগান কিনেছেন তিনি। এর ভিতরে ৫টা বাগানের গোবিন্দভোগ প্রজাতির আম পাকলেও ভাঙতে পারছেন না। এতে করে আর্থিকভাবে প্রচুর ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।

এই আম ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের হাতে জেলা প্রশাসন থেকে একটা লিফলেট দেওয়া হয়। সেখানে ১২ মে থেকে গোবিন্দভোগ প্রজাতির আম, ২৫ মে হিমসাগর, ১ জুন ল্যাংড়া ও ১৫ জুন আম্রপালি ভাঙার জন্য বলা হয়। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্ধারিত তারিখের আগে আম পাকলে করণীয় কী সেই সম্পর্কিত বিষয়ে জেলা প্রশাসনের দেওয়া ওই লিফলেটে কোনো কিছু লেখা ছিল না। তবে কৃষি বিভাগ যদি বলে থাকে আমাদেরকে আম পাকা সম্পর্কিত কোনো নির্দেশনার লিফলেট দিয়েছে তাহলে সেটা তাদের ভুল হবে।

সুফিয়ান-শফিকুলের মতো একাধিক আম চাষী ও ব্যবসায়ীরা আম ক্যালেন্ডার নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ১২ মে থেকে গোবিন্দভোগ প্রজাতির আম ভাঙার অনুমতি দেয় জেলা প্রশাসন। তবে ওই তারিখে অধিকাংশ বাগানে হিমসাগর আম পাকবে। আর গোবিন্দভোগ প্রজাতির অধিকাংশ আমের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। এভাবে আম ক্যালেন্ডার করে চাষী-ব্যবসায়ীদের ক্ষতি করার অধিকার কী কারও আছে? বলে প্রশ্ন রাখেন তারা।

এ সময় তারা আরও বলেন, এভাবে আম ক্যালেন্ডার না করে প্রশাসনের উচিত বাজার মনিটরিং করা। তৃণমূলের চাষীদের সাথে মতবিনিময় ও জনসচেতনতা করা।

খোজঁ নিয়ে জানা যায়, দেশের অধিকাংশ জায়গায় আম ক্যালেন্ডার প্রকাশ না করা হলেও সাতক্ষীরায় প্রকাশ করা হয়। একমাত্র ল্যাংড়া আম ব্যতিত প্রতি বছর আম ভাঙার তারিখ পেছানো হয় এই জেলাতে। এতে করে দুর্যোগ কবলিত এই অঞ্চলের আম চাষী ও ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতির শিকার হন। গেল কয়েক বছরের ব্যবধানে এবার বিভিন্ন প্রজাতির আম ভাঙার তারিখ পেছানো হয়েছে ১০/১১ দিন। এতে করে সাতক্ষীরা থেকে প্রতি বছর যে আম ইউরোপের বাজারসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হতো এবার বিশ্ব বাজারে সেই আম রপ্তানিতে অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে সাতক্ষীরার আম থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বিভিন্ন এজেন্ট। কেননা, আম ভাঙ্গার যে ক্যালেন্ডার জেলা প্রশাসন প্রকাশ করেছে সেই সময়ে দেশের অন্যান্য জায়গার আমে পাক ধরে। আর সাতক্ষীরার চেয়ে বাজার দর কম ও পরিবহন খরচ কম হওয়াতে ওই সমস্ত এলাকায় ঝুঁকছেন এজেন্টরা। এতে করে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে সাতক্ষীরার আম চাষীরা।

অথচ আমের আতুরঘর হিসেবে পরিচিত চাপাইনবাবগঞ্জে ২০২১ সাল থেকে আম ক্যালেন্ডার প্রকাশ করে না সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ। এই বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩৭ হাজার ৮৫৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। চাষকৃত ওই আম কেউ যাতে অপরিপক্ব অবস্থায় ভাঙতে বা বাজারজাত করতে না পারে সেক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন নিয়মিত মনিটরিং করলেও তারা কোনো প্রকার আম ক্যালেন্ডার প্রকাশ করিনি। মূলত, আম চাষী ও ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে এমন সিদ্ধান্ত নেন তারা।

এ প্রসঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক এ. কে. এম গালিভ খান বলেন, একটা সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা হতো। এতে (আম ক্যালেন্ডার প্রকাশ করলে) চাষী-ব্যবসায়ীদের ক্ষতির পরিমাণটা বেশি হয়। এ কারণে, গেল কয়েক বছর ধরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা হয় না। বাগানে আম পাকলে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা তাদের সুবিধামতো বাজারজাত করেন। এক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি বিভাগ তাদেরকে সহযোগিতা করেন। তবে কেউ যাতে অপরিপক্ব আম বাজারজাত করতে না পারেন এ জন্য জেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি বিভাগ নিয়মিত আমবাগানসহ বাজার মনিটরিং করেন।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ন কবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেস্টা করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা কৃষিসম্প্রসারণ (খামারবাড়ি) অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো.সাইফুল ইসলাম বলেন, 'আম ক্যালেন্ডারের কারণে কোনো চাষী ও ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না।'

‘চাষী-ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন তারা ক্ষতিগ্রস্ত’- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'নির্ধারিত তারিখের আগে যদি কোনো বাগানে আম পাকে তাহলে ওই এলাকার সংশ্লিষ্ট কৃষি কর্মকর্তার মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে বাজারজাত করতে পারবেন।’

‘ভৌগলিক কারণে সাতক্ষীরার আম আগাম পাকে অথচ প্রতি বছর আম ভাঙার তারিখ পেছানো হয় অথচ চাপাইনবাবগঞ্জে আম ক্যালেন্ডার হয় না তাহলে সাতক্ষীরাতে কেন?’-এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আম ক্যালেন্ডারটি না করলে নই বলে করা। মূলত জেলায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রয়েছেন যারা অপরিপক্ব অবস্থায় আম ভেঙে বাজারজাত করে। এ কারণে জেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি বিভাগের সমন্বয়ে আম ভাঙার একটি প্রাথমিক তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। যাতে অসাধু ব্যবসায়ীরা অপরিপক্ব আম বাজারজাত করতে না পারে।'

এসআইএইচ

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত