বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫ | ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

আম ক্যালেন্ডারে আর্থিক ক্ষতির দাবি সাতক্ষীরার চাষী-ব্যবসায়ীদের

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি অফিসের সমন্বয়ে প্রকাশিত আম ক্যালেন্ডারের কারণে পথে বসতে শুরু করেছে প্রান্তিক পর্যায়ের আম চাষীরা। গেল দুই বছরের ব্যবধানে চলতি বছর গোবিন্দভোগ ও আম্রপালি প্রজাতির আম ভাঙতে পেছানো হয়েছে ১০/১১ দিন। ২০২১ সালে ২ মে গোপালভোগ ও গোবিন্দভোগ প্রজাতির আম ভাঙার অনুমতি দেওয়া হলেও দুই বছরের ব্যবধানে এই আম ভাঙতে ১০দিন বৃদ্ধি করে ১২ মে করেছে জেলা প্রশাসন। আর আম্রপালি আম ভাঙতে ১১ দিন বৃদ্ধি করে ৪ জুনের পরিবর্তে করা হয়েছে ১৫ জুন।

জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর জেলার চার হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ করেছেন ১৩ হাজার ১০০ চাষি। এর মধ্যে সদর উপজেলায় এক হাজার ২৩৫ হেক্টর, কলারোয়ায় ৬৫৫ হেক্টর, তালায় ৭১৫ হেক্টর, দেবহাটায় ৩৭০ হেক্টর, কালিগঞ্জে ৮৩৫ হেক্টর, আশাশুনিতে ১৪৫ হেক্টর ও শ্যামনগরে ১৬০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। আর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৫ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন।

এ জন্য গত ১৬ এপ্রিল সকালে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনে কক্ষে নিরাপদ আম বাজারজাতকরণ বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় ১২ মে থেকে সাতক্ষীরার গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, বোম্বাই, গোলাপঘাস, বৈশাখীসহ আরও কয়েকটি প্রজাতির আম, ২৫ মে হিমসাগর, ১ জুন ল্যাংড়া ও ১৫ জুন আম্রপালি ভাঙার অনুমতি দেয় জেলা প্রশাসন।

অথচ আমের রাজধানী হিসেবে পরিচিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত কয়েক বছর ধরে কোনো প্রকার আম ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা হয় না। আম চাষী ও ব্যবসায়ীরা তাদের সুবিধামতো গাছ থেকে ফল সংগ্রহ করে বাজারজাত করেন। এক্ষেত্রে সহযোগিতা করেন সেখানকার সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ। সেখানে সাতক্ষীরার মতো আম ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা কতটুকু যুক্তিসংগত? জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের দায়িত্ব কী? সেটা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।

আম সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভৌগলিক কারণে দেশে প্রথম আম পাকে সাতক্ষীরায়। সেখানে জেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি বিভাগ প্রতি বছর আম ভাঙার তারিখ পেছানোর কারণে প্রতি বছর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা। এ জন্য আম ক্যালেন্ডার বাতিল করে জনসচেতনতা ও বাজার মনিটরিংয়ের উপরে গুরুত্ব দিতে জেলা প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেন তারা।

তবে সাতক্ষীরা জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, প্রকাশিত আম ক্যালেন্ডার নামমাত্র করা। নির্ধারিত তারিখের আগে যদি কোনো বাগানে আম পাকে তা হলে ওই এলাকার সংশ্লিষ্ট কৃষি কর্মকর্তার মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে বাজারজাত করতে পারবেন তারা।

এ প্রসঙ্গে সাতক্ষীরার সদর উপজেলার আম ব্যবসায়ী সুফিয়ান জানান, প্রতি বছর প্রায় ৬০ বিঘা জমিতে আম চাষ করেন তিনি। তবে জেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি বিভাগের প্রকাশিত আম ক্যালেন্ডারের কারণে প্রতি বছর ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। তবে গেল কয়েক বছরের চেয়ে এবার ক্ষতির পরিমাণটা অনেকাংশে বেশি বলে জানান তিনি।

শফিকুল ইসলাম নামে অপর এক আম ব্যবসায়ী জানান, কয়েক লাখ টাকা দিয়ে এবার ৪০টি আম বাগান কিনেছেন তিনি। এর ভিতরে ৫টা বাগানের গোবিন্দভোগ প্রজাতির আম পাকলেও ভাঙতে পারছেন না। এতে করে আর্থিকভাবে প্রচুর ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।

এই আম ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের হাতে জেলা প্রশাসন থেকে একটা লিফলেট দেওয়া হয়। সেখানে ১২ মে থেকে গোবিন্দভোগ প্রজাতির আম, ২৫ মে হিমসাগর, ১ জুন ল্যাংড়া ও ১৫ জুন আম্রপালি ভাঙার জন্য বলা হয়। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্ধারিত তারিখের আগে আম পাকলে করণীয় কী সেই সম্পর্কিত বিষয়ে জেলা প্রশাসনের দেওয়া ওই লিফলেটে কোনো কিছু লেখা ছিল না। তবে কৃষি বিভাগ যদি বলে থাকে আমাদেরকে আম পাকা সম্পর্কিত কোনো নির্দেশনার লিফলেট দিয়েছে তাহলে সেটা তাদের ভুল হবে।

সুফিয়ান-শফিকুলের মতো একাধিক আম চাষী ও ব্যবসায়ীরা আম ক্যালেন্ডার নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ১২ মে থেকে গোবিন্দভোগ প্রজাতির আম ভাঙার অনুমতি দেয় জেলা প্রশাসন। তবে ওই তারিখে অধিকাংশ বাগানে হিমসাগর আম পাকবে। আর গোবিন্দভোগ প্রজাতির অধিকাংশ আমের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। এভাবে আম ক্যালেন্ডার করে চাষী-ব্যবসায়ীদের ক্ষতি করার অধিকার কী কারও আছে? বলে প্রশ্ন রাখেন তারা।

এ সময় তারা আরও বলেন, এভাবে আম ক্যালেন্ডার না করে প্রশাসনের উচিত বাজার মনিটরিং করা। তৃণমূলের চাষীদের সাথে মতবিনিময় ও জনসচেতনতা করা।

খোজঁ নিয়ে জানা যায়, দেশের অধিকাংশ জায়গায় আম ক্যালেন্ডার প্রকাশ না করা হলেও সাতক্ষীরায় প্রকাশ করা হয়। একমাত্র ল্যাংড়া আম ব্যতিত প্রতি বছর আম ভাঙার তারিখ পেছানো হয় এই জেলাতে। এতে করে দুর্যোগ কবলিত এই অঞ্চলের আম চাষী ও ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতির শিকার হন। গেল কয়েক বছরের ব্যবধানে এবার বিভিন্ন প্রজাতির আম ভাঙার তারিখ পেছানো হয়েছে ১০/১১ দিন। এতে করে সাতক্ষীরা থেকে প্রতি বছর যে আম ইউরোপের বাজারসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হতো এবার বিশ্ব বাজারে সেই আম রপ্তানিতে অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে সাতক্ষীরার আম থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বিভিন্ন এজেন্ট। কেননা, আম ভাঙ্গার যে ক্যালেন্ডার জেলা প্রশাসন প্রকাশ করেছে সেই সময়ে দেশের অন্যান্য জায়গার আমে পাক ধরে। আর সাতক্ষীরার চেয়ে বাজার দর কম ও পরিবহন খরচ কম হওয়াতে ওই সমস্ত এলাকায় ঝুঁকছেন এজেন্টরা। এতে করে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে সাতক্ষীরার আম চাষীরা।

অথচ আমের আতুরঘর হিসেবে পরিচিত চাপাইনবাবগঞ্জে ২০২১ সাল থেকে আম ক্যালেন্ডার প্রকাশ করে না সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ। এই বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩৭ হাজার ৮৫৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। চাষকৃত ওই আম কেউ যাতে অপরিপক্ব অবস্থায় ভাঙতে বা বাজারজাত করতে না পারে সেক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন নিয়মিত মনিটরিং করলেও তারা কোনো প্রকার আম ক্যালেন্ডার প্রকাশ করিনি। মূলত, আম চাষী ও ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে এমন সিদ্ধান্ত নেন তারা।

এ প্রসঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক এ. কে. এম গালিভ খান বলেন, একটা সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা হতো। এতে (আম ক্যালেন্ডার প্রকাশ করলে) চাষী-ব্যবসায়ীদের ক্ষতির পরিমাণটা বেশি হয়। এ কারণে, গেল কয়েক বছর ধরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা হয় না। বাগানে আম পাকলে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা তাদের সুবিধামতো বাজারজাত করেন। এক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি বিভাগ তাদেরকে সহযোগিতা করেন। তবে কেউ যাতে অপরিপক্ব আম বাজারজাত করতে না পারেন এ জন্য জেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি বিভাগ নিয়মিত আমবাগানসহ বাজার মনিটরিং করেন।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ন কবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেস্টা করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা কৃষিসম্প্রসারণ (খামারবাড়ি) অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো.সাইফুল ইসলাম বলেন, 'আম ক্যালেন্ডারের কারণে কোনো চাষী ও ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না।'

‘চাষী-ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন তারা ক্ষতিগ্রস্ত’- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'নির্ধারিত তারিখের আগে যদি কোনো বাগানে আম পাকে তাহলে ওই এলাকার সংশ্লিষ্ট কৃষি কর্মকর্তার মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে বাজারজাত করতে পারবেন।’

‘ভৌগলিক কারণে সাতক্ষীরার আম আগাম পাকে অথচ প্রতি বছর আম ভাঙার তারিখ পেছানো হয় অথচ চাপাইনবাবগঞ্জে আম ক্যালেন্ডার হয় না তাহলে সাতক্ষীরাতে কেন?’-এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আম ক্যালেন্ডারটি না করলে নই বলে করা। মূলত জেলায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রয়েছেন যারা অপরিপক্ব অবস্থায় আম ভেঙে বাজারজাত করে। এ কারণে জেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি বিভাগের সমন্বয়ে আম ভাঙার একটি প্রাথমিক তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। যাতে অসাধু ব্যবসায়ীরা অপরিপক্ব আম বাজারজাত করতে না পারে।'

এসআইএইচ

Header Ad
Header Ad

উপদেষ্টা মাহফুজ শাহরিয়ার কবিরদের ভাষাতেই কথা বলেছেন : জামায়াত

উপদেষ্টা মাহফুজ শাহরিয়ার কবিরদের ভাষাতেই কথা বলেছেন : জামায়াত। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ১৩ মার্চ এক বিবৃতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, মাহফুজ আলম গত ১২ মার্চ ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেছেন যে, “জামায়াত যুদ্ধাপরাধের সহযোগী ছিল।” মিয়া গোলাম পরওয়ার এ বক্তব্যকে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা আখ্যা দিয়ে বলেন, মাহফুজ আলম জামায়াত সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন তা আসলে একটি প্রতিবেশি দেশের গুপ্তচর শাহরিয়ার কবিরদের ভাষার অনুকরণ।

তিনি আরও বলেন, মাহফুজ আলমের উচিত স্মরণ রাখা যে, তিনি একটি অরাজনৈতিক অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা এবং কোনো রাজনৈতিক দলকে টার্গেট করে এমন মন্তব্য করার অধিকার তার নেই। এমন মন্তব্য দিয়ে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অরাজনৈতিক চরিত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন।

মিয়া গোলাম পরওয়ার উল্লেখ করেন যে, শেখ মুজিবুর রহমানের সময় গঠিত তদন্ত কমিশনেও জামায়াতের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এমনকি অধ্যাপক গোলাম আযম সুপ্রিম কোর্টে নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে নাগরিকত্ব ফিরে পেয়েছিলেন।

তিনি আরও বলেন, শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের প্রভাবিত বিচার এবং স্কাইপ কেলেঙ্কারি, বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বক্তব্য এবং সাঈদীর মামলার সাক্ষী সুখরঞ্জন বালীর বক্তব্য এই বিচার ব্যবস্থার গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, জামায়াতে ইসলামী আহলে সুন্নত আল জামায়াতের অনুসারী এবং এর আক্বিদার বিষয়ে প্রশ্ন তোলা অযৌক্তিক। জামায়াতে ইসলামী স্বাধীনতার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন ইসলামি দলগুলোর সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করে আসছে।

মিয়া গোলাম পরওয়ার আশা প্রকাশ করেন যে, মাহফুজ আলম তার মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করবেন এবং ভবিষ্যতে এমন বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

Header Ad
Header Ad

নওগাঁ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

শফিউল আজম টুটুলকে আহ্বায়ক ও মোস্তাফিজুর রহমান মানিককে সদস্য সচিব করে নওগাঁ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ৫১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানি ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান এই কমিটি অনুমোদন দেন।

কমিটির অন্যান্য নেতারা হলেন, যুগ্ম-আহ্বায়ক দেওয়ান কামরুজ্জামান কামাল,মো. জাহাঙ্গীর আলম গুলজার, শামিম নুর আলম শিপলু,মো. মাহমুদ হাসান,গোলাম মোস্তফা তাতু,আলম তাজ তাজু,মো. মিজানুর রহমান রনি, মো. মামুনুর রশিদ,আব্দুল্লাহ আল মামুন শিমুল,হাসিবুর রহমান প্লাবন,মো. নূর নবী,মো. আব্দুল বারী তুহিন,মো. রাগিব শাহরিয়ার কৌশিক,মো. শহিদুজ্জামান সৌরভ,মো. ফারহিম ইসলাম মুন্না।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

এছাড়া সদস্যরা হলেন, আব্দুল বারী হিরা, মহসিন আলী,মুশফিকুর রহমান সুজন চৌধুরী,মেহেদী হাসান পলাশ,মো. হেলাল উদ্দিন,আরিফুল ইসলাম বাপ্পী,স্বাধীন সরদার,কে এম রাব্বি রিফাত স্বচ্ছ,মো. সুরুজ সরকার,মো. মামুনুর রশিদ বুলেট,মো. মাসুদ রানা,মো. শাহরিয়ার হক রাজু,মো. সালমান ফারসী রাজ,মো. শামীম হোসেন, মো. ইস্রাফিল আলম তিতাস,মো. রায়হানুল ইসলাম রিপন,মো.শামস বিন আইয়ুব,মো. আশাদুল ইসলাম,মো. রুহুল আমিন মল্লিক,মো. ইশতিয়াক আহমেদ মিনার,মো. এনামুল হক (দপ্তরের দায়িত্বে),মো. রাকিন হোসেন (সহ-দপ্তরের দায়িত্বে),মো. পাঠান মুরাদ,মো. আশিক আহমেদ শাওন,মো. সবুজ হোসেন,মো. ডলার,শ.ম. আলেফ হোসেন সুমন,মো. শহীদুজ্জামান মুরাদ,মো. রিপন রেজা, এ্যাড, আলতাফ হোসেন উজ্জল,সোহেলী আক্তার শুভ,সোহাগ কুমার কর্মকার,মোঃ ওমর ফারুক (ওমর),মো. স্বাধীন আহমেদ।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

 

Header Ad
Header Ad

শিশু আছিয়ার দাফন সম্পন্ন, অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন দিলো বিক্ষুব্ধ জনতা

ছবি: সংগৃহীত

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার হয়ে রাজধানীর সিএমএইচ-এ মৃত্যুবরণ করা আট বছরের শিশু আছিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার এশার নামাজের পর তার আদি নিবাস শ্রীপুরের সোনাইকুন্ডীতে জানাজা শেষে দাফন করা হয়।

এর আগে, শিশুটির মরদেহ সিএমএইচ থেকে হেলিকপ্টারে করে গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মাগুরা শহরের নোমানী ময়দানে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে হাজারো মানুষ অংশগ্রহণ করে। এরপর মরদেহ গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়।

অন্যদিকে, ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ জনতা অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৮টায় বাড়িটিতে আগুন দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, শিশুটি গত ৫ মার্চ মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গেলে গভীর রাতে ধর্ষণের শিকার হয়। এরপর তাকে মাগুরা সদর হাসপাতাল, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সিএমএইচ-এ নেওয়া হয় এবং সেখানে দীর্ঘ চিকিৎসার পর বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

ধর্ষণের ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। অভিযুক্তরা হলেন- শিশুটির ভগ্নিপতি সজিব (১৮), সজীবের ভাই রাতুল (১৭), তাদের বাবা হিটু মিয়া (৪২) এবং মা জাবেদা বেগম (৪০)। তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

উপদেষ্টা মাহফুজ শাহরিয়ার কবিরদের ভাষাতেই কথা বলেছেন : জামায়াত
নওগাঁ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা
শিশু আছিয়ার দাফন সম্পন্ন, অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন দিলো বিক্ষুব্ধ জনতা
বেইজিংয়ে শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ড. ইউনূস
‘২০২৬ সালেই বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে উত্তরণ করা হবে’
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি শোভনের বাবা গ্রেপ্তার
শুক্রবার থেকে বন্ধ হচ্ছে দেশের সব পর্ন ওয়েবসাইট
ট্রাম্পের গাজা দখলের পরিকল্পনা থেকে সরে আসা নিয়ে যা বলল হামাস
গাম্বিয়ার সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও গভীরতর করবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্ত্রীসহ সাবেক বিজিবি প্রধান সাফিনুল ইসলামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
মাগুরার শিশু ধর্ষণ ও হত্যার বিচার ৭ দিনের মধ্যে শুরু হবে: আইন উপদেষ্টা
আছিয়ার মরদেহ সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে মাগুরায় নেওয়া হবে
ঢাকায় পৌঁছেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস
সোয়া ২ কোটি শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল
ধর্ষণের হুমকি পেলেন ভাইরাল কন্যা ফারজানা সিঁথি, অতঃপর...
যমুনা সেতু মহাসড়কে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ২৫
নওগাঁ মেডিকেল কলেজ নিয়ে ষড়যন্ত্র বন্ধ ও স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবি
চুয়াডাঙ্গায় ১ লাখ ৪৭ হাজার শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাপসুল
টাঙ্গাইলে ‘বঙ্গবন্ধু সেনানিবাস ও বঙ্গবন্ধু ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ’র নাম পরিবর্তন
নরপশুদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে: মির্জা ফখরুল